মৃত শ্রী কৃষ্ণ (৩৫) নওগাঁর মান্দা উপজেলার পলাশ গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে শনিবার সকাল ১০টার দিকে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কৃষ্ণকে মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে সরাসরি রাজশাহীতে পাঠিয়ে দেয় চিকিৎসকরা। তিনি ঢাকায় কাজ করতেন। সম্প্রতি তিনি বাড়িতে এসেছিলেন বলে জানা গেছে।
রবিবার হাসপাতালের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ডা. আজাদ জানান, নওগাঁর মান্দা থেকে আসা ওই রোগীর জ্বর ও প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। তিনি অজ্ঞান অবস্থায় থাকার কারণে তার কাছ থেকে কিছু জানা সম্ভব হয়নি। তবে ওই যুবক নিয়মিত মদ পান করতেন বলে জানা গেছে। তার নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু রোনাভাইরাসের কিছু উপসর্গ তার মধ্যে ছিল এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার সৎকার করতে বলা হয়েছে বলে জানান ডা. আজাদ।
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আরও তিনজন ভর্তি হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া ওই তিন রোগীকে সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের বাড়ি নগরের দরগাপাড়ায়। যার বয়স প্রায় ৬০ বছর। অপরজনের বাড়ি নগরের কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায়। তিনি নারী, বয়স ২৬ বছর। এছাড়াও আরেকজনের বাড়ি নওগাঁয়। তার বয়স ৫০ বছরের মতো।
এ নিয়ে বরিবার পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ৯০টি নমুনার পরীক্ষা হচ্ছে। শনিবার ৯২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে যার সবগুলোর ফলাফল নেগেটিভ পাওয়া গেছে।