তিশা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ও পৌর এলাকার মৌড়াইল কলেজপাড়ার হাবিবুর রহমানের মেয়ে।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে স্বজনরা জানান, তিশার মেরুদণ্ডের হাড় ক্ষয় হয়ে গেছে এবং হাড়ের ওই অংশে টিউমার ধরা পড়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করে অস্ত্রোপচার করতে হবে। কিন্তু টাকার অভাবে তার উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না পরিবার।
এদিকে তিশার মা আরজু বেগম জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খানের কাছে তিশার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতার জন্য আবেদন করেছেন। জেলা প্রশাসক তাকে সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মৌড়াইল কলেজপাড়ার হাবিবুর রহমানের চার মেয়ে দুই ছেলের মধ্যে তিশা পঞ্চম। হাবিবুর রহমান তার ভাইদের সাথে জেলার কসবা উপজেলায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত অক্টোবর মাসে তিশার ব্যথা শুরু হয়। গত ১০ অক্টোবার পরিবারের লোকজন তাকে জেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তিশাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে শহীদ সোহরোওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
পরে চিকিৎসকের পরামর্শে গত ২৭ অক্টোবর তিশার এমআরই পরীক্ষা করে দেখা যায়, তিশার মেরুদণ্ডের ছয় শতাংশ হাড় ক্ষয় হয়ে গেছে এবং সেখানে একটি টিউমার রয়েছে।
পরে শহীদ সোহরোওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তিশাকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিশার মেরুদণ্ডের হাড় প্রতিস্থাপন ও টিউমার অপারেশন করানো সম্ভব। কিন্তু এর জন্য তিন মাস সময় লাগবে এবং চিকিৎসায় প্রায় ১০/১২ লাখ টাকা খরচ হবে। এখন টাকার অভাবে তিশার চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে।
তিশার মা আরজু আক্তার জানান, এখন পর্যন্ত মেয়ের চিকিৎসায় লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। সেটিও ঋণ করে যোগাড় করা। তাই তিনি মেয়ের চিকিৎসায় সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন।