বাগানবাড়ি ও বাজারে উচ্ছেদ হওয়া ১৫০টি পরিবারকে বালিয়াপুকুর ও মহিষডুবা পুকুরপাড়ে পুনর্বাসিত করা হয়েছে।
এ কার্যক্রমের নেতৃত্বে আছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোহাগ চন্দ্র সাহা।
তিনি জানান, সরকারি নির্দেশনার আলোকে গত ৪ এপ্রিল থেকে কয়েক দফায় অবৈধ বসবাসকারী ব্যক্তিদের কাছে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে ও মাইকিং করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কোন কাজ না হওয়ায় ১০ জুন থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে ও অভিযান এখনও চলমান রয়েছে।
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত তোহা বাজারের ২.২০ একর, চান্দিনাভিটের ৪০ শতাংশ, বাগানবাড়ির ১.৯৩ শতাংশ মোট ৪ একর ৫৩ শতাংশ সরকারি খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।
এ উচ্ছেদ অভিযানে নেকমরদ বাজারে ও বাগান বাড়িতে নোটিশ বিলি করতে গিয়ে অবৈধ দখলদারদের হাতে ভূমি অফিসের লোকজনকে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাও ঘটে। তবে পরে তা নিরসন করা হয়।
রাণীশংকৈল ইউএনও মৌসুমি আফরিদা জানান, বাগানবাড়ি ও বাজারে উচ্ছেদকৃত ১৫০টি পরিবারকে বালিয়াপুকুর ও মহিষডুবা পুকুরপাড়ে পুনর্বাসিত করা হয়। যাদের প্রত্যেককে দুই বান্ডিল করে ঢেউটিন ও ছয় হাজার টাকা নগদ দেওয়া হয়। সেই সাথে সেখানে মুসল্লিদের নামাজের জন্য একটি মসজিদের নির্মাণ কাজ চলছে।
নেকমরদ ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, সরকারি স্বার্থে এ উচ্ছেদ অভিযান প্রশংসনীয়, তবে উচ্ছেদকৃতদের পুনর্বাসন পরবর্তী সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিনুল ইসলাম ও রাণীশংকৈল ইউএনও বলেন, সরকারের অবৈধ অভিযানের অংশ হিসেবে এ কার্যক্রম চলছে এবং উচ্ছেদকৃতদের পুনর্বাসনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
উচ্ছেদ অভিযানে এলাকার সাধারণ মানুষ, প্রশাসন ও সরকারের প্রতি অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।