সকালে পুলিশের ফোনে মেয়ের সন্ধান পেয়ে ছুটে যান কয়েক কিলোমিটার দূরে শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রাম বুড়িতলা ফাঁকা মাঠে। সেখানে মেয়ে মীম আক্তারের নিথর দেহ দেখে শনাক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার রাতের যেকোনো সময় মীম আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
নিহত মীম আক্তারের মা খায়রুন্নাহার জানান, এক বছর আগে বড় মেয়ে মীম ঢাকার আশুলিয়ায় চলে যান। সেখানে একটি পোশাক কারখানায় কাজ নিয়ে সংসারের হাল ধরেন।
এক সময়ে পরিচয় হয় রংপুরের রিপনের সাথে। দুজনের সম্পর্ক গড়ে উঠলে পাঁচ মাস আগে বিয়ে হয় তাদের। কিন্তু বিয়ের পর রিপন স্ত্রীকে চাকরি করতে দিবে না। কিন্তু স্ত্রী মীম চাকরি করতে চান বগুড়ায় থাকা মা ও দুই ভাইকে সহযোগিতা করার জন্য। এ নিয়ে দ্বন্দ্বে তাদের সংসার ভেঙে যায়।
গত বুধবার রিপন মীমকে তালাক দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রংপুরগামী বাসে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন মীম। নিজের ফোনটি স্বামী কেড়ে নেয়ায় বাসের সুপারভাইজারের ফোনে মা খায়রুন্নাহারের সাথে যোগাযোগ রাখে মীম। রাত ১২টা পেরিয়ে গেলেও মেয়ে বাসায় না ফিরলে মা খায়রুন্নাহার ফোন দেন বাসের সুপারভাইজারকে।
তিনি জানান, রাত ১২টার দিকে মীমকে বনানী মোড়ে বাস থেকে নামিয়ে রিকশায় তুলে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু সারা রাতেও ফেরেনি মীম আক্তার।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, ‘হত্যার ঘটনাটির বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। মৃতদেহ উদ্ধারের পর প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।’