এদিকে বাংলাদেশে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর বেনাপোল বন্দর ও আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়া বন্দরের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ও চেকপোস্ট এলাকায় রেড এলার্ট জারি করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
করনোভাইরাস শনাক্তকরণ একমাত্র ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানারটি অচল থাকায় বিপাকে পড়েছেন মেডিকেল টিমের কর্মকর্তারা। দেশি-বিদেশি পাসপোর্ট যাত্রীসহ ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারদের শুধুমাত্র হ্যান্ড থার্মোমিটার দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন তারা।
জানা গেছে, ২৭ জানুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত মোট ১ লাখ ২৭ হাজার পাসপোর্ট যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ভারতীয় ২৯ হাজার, অন্যান্য দেশের ৪০০ জন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনে কর্মরত মেডিকেল টিমের ইনচার্জ ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে আসা ২৫ জন ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারাদের দেহে তাপমাত্রা বেশি পাওয়ায় পুনরায় ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ একমাত্র ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানার অচল থাকায় পাসপোর্ট যাত্রী, ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে হ্যান্ড থার্মোমিটার দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছেন থার্মার স্ক্যানার নষ্টের বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. আবু শাহীন বলেন, বেনাপোল চেকপোস্টে ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানার অচল থাকায় স্বাস্থ্য পরীক্ষায় সমস্যা হচ্ছে, তারপরও হ্যান্ড থার্মোমিটার দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। আশা করি ২-৩ দিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে।