ব্যাংক থেকে প্রায় ৮৬ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামের জামিন আবেদন মঙ্গলবার খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ জেসমিনের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
আদালতে জেসমিন ইসলামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবীখুরশীদ আলম খান।
এর আগে হাইকোর্ট ২০১৯ সালের ১০ মার্চ রুল মঞ্জুর করে এ মামলায় জেসমিন ইসলামকে জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। এ জামিনের পর কারামুক্তি পান জেসমিন ইসলাম। পরে আপিল বিভাগ ২০১৯ সালের ১৫ জুন তার জামিন বাতিল করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী আত্মসমর্পণের পর থেকে জেসমিন ইসলাম কারাগারে রয়েছে।
তবে দীর্ঘদিনেও এ মামলায় দুদক চার্জশীট না দেয়ায় ফের হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন জেসমিন ইসলাম। আপিল বিভাগ তার জামিন বাতিল করায় হাইকোর্ট জামিন না দিয়ে তার জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে আপিল বিভাগে যেতে বলেন।
২০১৬ সালের ১ নভেম্বর জেসমিনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় এই মামলা করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক জয়নাল আবেদিন। ওই দিন বিকালেই তাকে দুদকের একটি দল রাজধানীর বংশাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন:২৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৭২ বিলিয়ন ডলার
মামলার অভিযোগে বলা হয়, হল-মার্কের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম এবং তার স্বামী কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ তাদের প্রতিষ্ঠানের বেতনভুক্ত কর্মচারী মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক এবং মীর জাকারিয়াকে ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক সাজিয়ে জনতা ব্যাংকের জনতা ভবন করপোরেট শাখায় একটি হিসাব খোলেন।
প্রতিষ্ঠান দুটির মাধ্যমে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির মাধ্যমে কোনো মালামাল আমদানি-রপ্তানি না হওয়া সত্ত্বেও ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সোনালী ব্যাংক থেকে ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৬ টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয় মামলায়।
সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করায় দুদকের করা মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ২০১৮ সালের ১১ জুলাই জেসমিন ইসলামকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা করে। এ মামলায় জেসমিন ইসলাম একই বছরের ৬ অক্টোবর জামিন পান।
আরও পড়ুন:ইউএস-বাংলার ব্যাংকক ফ্লাইটের টিকেট কিনলেই হোটেল ফ্রি
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা বিশ্বব্যাংকের