কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পোস্টার টাঙানোকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ ও জাসদের কর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছয়জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় জাসদ মনোনীত মশাল প্রতীকের একটি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ভাগজোত বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে উভয় পক্ষ পৃথকভাবে থানায় অভিযোগ করার কথা বললেও দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তা অস্বীকার করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্বাচনের পোস্টার টাঙানোকে কেন্দ্র করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সিরাজ মন্ডল ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) মশাল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল আজিজের সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনার জের ধরে রাত ১১ টার দিকে ভাগজোত বাজারে উভয় গ্রুপের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের আয়নাল আলী নামে মশালের প্রতীকের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ এবং রামদার আঘাতে রাশেদ, হান্নান, আশিক, ইমদাদুল ও মন্টু নামে নৌকার দুই সমর্থক আহত হন। আহত আয়নালকে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় ভাগজোত বাজারে মশালের একটি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: কুষ্টিয়ায় সংঘর্ষে আ'লীগের ১০ কর্মী আহত
মশাল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল আজিজ বলেন, সোমবারও তার এক কর্মীকে মারধোর করেছে নৌকা প্রতীকের কর্মীরা। মঙ্গলবার রাতে নৌকার সমর্থকরা তার মশাল প্রতীকের একটি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে। এ বিষয়ে বুধবার সকালে দৌলতপুর থানায় ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বরাবর পৃথক লিখিত দুটি অভিযোগ করা হয়েছে।
নৌকার প্রার্থী সিরাজ মন্ডল মশালের অফিস ভাঙচুরের কথা অস্বীকার করে বলেন, মশাল প্রার্থীর সমর্থকরা গুন্ডাপান্ডা নিয়ে নৌকার সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলার সময় রামদা ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে নৌকার পাঁচ কর্মীকে আহত করেছে। এ সময় আতংক সৃষ্টি করতে মশালের লোকজন বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
দৌলতপুর থানার ওসি নাসির উদ্দীন বলেন, এ বিষয়ে তিনি অবগত নন। এ ব্যাপারে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগও করেননি।
আরও পড়ুন: সংস্কারের ৪ মাসের মধ্যে আবারও দেবে গেল কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক মহাসড়ক