বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) টি এম মুসা এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর কেশবপুর উপজেলার মেহেরপুর গ্রামের রুস্তম আলী মোড়লের ছেলে। আদালতের বিশেষ পিপি এম ইদ্রিস আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জাহাঙ্গীর হোসেন প্রতিবেশীর নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০০২ সালের ২৪ জুলাই রাতে ধর্ষণ করে। এরপর তাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করার ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। বাড়ির লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে এ ঘটনার সাথে জাহাঙ্গীর জড়িত বলে জানায়। জাহাঙ্গীরের পরিবারের কাছে বিষয়টি জানালে তারা ওই কিশোরীর সাথে তাদের ছেলের বিয়ে দেবে বলে জানিয়ে দেয়। এরপর কিশোরীর গর্ভপাত ঘটিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসায় ব্যর্থ হলে ২০০৩ সালের ২২ আগস্ট কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর হোসেনসহ চারজনকে আসামি করে কেশবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার তদন্ত শেষে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় জাহাঙ্গীর হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা বিএম লিয়াকত আলী। দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।