শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের নিজকুলিহার গ্রামে এ ঘটনায় স্বামী ওয়াহেদ আলী জয়কে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আটক ওয়াহেদ আলী জয় নিজকুলিহার গ্রামের ইমরান হোসেন বাবুর ছেলে ও নিহত জাকিয়া সুলতানা সুমি একই উপজেলার কাশোপাড়া ইউনিয়নের রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, প্রেমের সম্পর্ক ধরে প্রায় চার মাস আগে সুমি আক্তারের সাথে জয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই ছিল। একই সাথে মোটা অংকের টাকা যৌতুক দাবিতে সুমির ওপর নির্যাতন শুরু করে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এর জের ধরে শুক্রবার দিনভর নববধূর ওপর নির্যাতন চালানো হয়।
সুমির বাবা জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ওয়াহেদ আলী জয় মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মেয়ে জাকিয়া সুলতানা সুমিকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই জয়সহ পরিবারের লোকজন ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে তার ওপর নির্যাতন করে আসছিল।
এরই জেরে সুমিকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ জানালার গ্রিলে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
মান্দা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তারেকুর রহমান সরকার জানান, শুক্রবার রাতে স্বামীর বাড়ির শয়নকক্ষের জানালার গ্রিলে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় সুমির লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুমির মুখ ও গলা দিয়ে রক্ত বের হওয়ায় নিহতের বাবা-মায়ের দাবি তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ জানালার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে হত্যার এ ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলেই এর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এদিকে, এ ঘটনায় নিহতের মা আসমা খাতুন বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় ওয়াহেদ আলী জয়কে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।