স্বামী গ্রেপ্তার
সিলেটে স্ত্রীকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, স্বামী গ্রেপ্তার
সিলেটে নিশাত ফাতিমা চৌধুরী (৩২) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার দায়ে তার স্বামী শফি আহমদ চৌধুরী সুমনকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে, গতকাল সকালে নগরীর আরামবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে দুই সন্তানের ওই জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সাংসারিক জীবনে সুমন ও নিশাতের দুই ছেলে রয়েছে। বর্তমানে তারা নগরীর বালুচর এলাকার আরামবাগে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাত ১০টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে নিশাতকে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মেরে গুরুতর আহত করেন স্বামী সুমন। পরে বুধবার ভোর ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে নিশাতের ফুফাতো ভাইকে ফোন করেন সুমন। খবর পেয়ে নিশাতের বাপের বাড়ির আত্মীয়স্বজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিশাতকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। সে সময় নিহতের কপাল, গলা, দুই হাতের তালু ও বাহুতে আঘাতের চিহ্ন এবং কালচে জখম দেখা যায়।
নিহতের স্বজনদের দাবি, নিশাত আত্মহত্যা করেছেন বলে তাদের ভুল বোঝানো হয়েছে।
এরপর বুধবার সকালে শাহপরাণ থানা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে স্বামী সুমনের আচরণ ও কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: হত্যার পর স্ত্রীকে ১১ টুকরো: ‘ঘাতক’ স্বামী গ্রেপ্তার
সাইফুল ইসলাম জানান, নিশাতের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে শাহপরাণ থানায় হত্যা মামলা করা হয়। সেই মামলায় সুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সুমনকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, সুমন কী কারণে স্ত্রীকে মারধর করেছেন, সেটি এখনো জানা যায়নি।
শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৪১ দিন আগে
হত্যার পর স্ত্রীকে ১১ টুকরো: ‘ঘাতক’ স্বামী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ রৌফাবাদ এলাকায় স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরো করে গুম করার চেষ্টার মামলায় প্রধান আসামি সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
শুক্রবার (১১ জুলাই) মধ্যরাতে ইউএনবিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাবের জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক এম আর এম মোজাফ্ফর হোসেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিক্তিতে র্যাব-৭ এর একটি দল চট্টগ্রাম থেকে স্ত্রীর খুনি এবং হত্যার পর ঠান্ডা মাথায় লাশ ১১ টুকরো করে নিজ ঘরে ফেলে পালিয়ে যাওয়া ঘাতক স্বামীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। এ ব্যাপারে (শনিবার) সকালে সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে এসএসসি ফলপ্রত্যাশীকে হত্যা, ঘাতক গ্রেপ্তার
এর আগে বুধবার (৯ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অক্সিজেন এলাকার পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটির এফজেড টাওয়ারের ১০ তলার বাসা থেকে ওই নারীর টুকরো করা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর স্থানীয়রা নিহত গৃহবধূর স্বামীকে আটকে রাখলেও গ্রিল কেটে পালিয়ে যেতে সমর্থ হন সুমন। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা পুলিশের।
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার পাহাড়িকা আবাসিক এলাকায় দেড় মাস আগে এফজেড টাওয়ারের দশম তলায় বাসা ভাড়া নেন সুমন ও ফাতেমা। তাদের সিফাত নামে আট বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
১৪৬ দিন আগে
ঈদের দিন স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা, সেই ঘাতক স্বামী গ্রেপ্তার
লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় পারিবারিক কলহের কারণে ঈদের দিনে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়া ঘাতক স্বামী হাসিবুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (৯ জুন) বিকালে লালমনিরহাট বিজিবি ক্যান্টিন মোড়ের সেনাবাহিনীর অস্থায়ী চেকপোস্ট থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাসিবুলকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে পুশ-ইন ও কোরবানির চামড়া পাচার রোধে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। এর জেরে ঈদের দিন (শনিবার) হাসিবুল ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার স্ত্রী এ্যামি বেগমের গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পেরে পাটগ্রাম থানায় পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর আসামি হাসিবুল সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে পালানোর আশঙ্কা ছিল। তাই তাৎক্ষণিকভাবে বিজিবি ও সেনা ক্যাম্পগুলোকে সতর্ক করা হয় এবং চেকপোস্ট বসানো হয়। সেনাসদস্যরা বিজিবি ক্যান্টিন মোড়ের চেকপোস্টে সন্দেহভাজন হিসেবে হাসিবুলকে আটক করলে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় পাটগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।’
১৭৮ দিন আগে
দেবহাটায় মাদরাসা ছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরার দেবহাটার পারুলিয়ায় হাফেজা সাইমা খাতুন নামের এক মাদরাসা ছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বামী তানজিম আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত হাফেজা সাইমা খাতুন (১৮) সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মৌখালী গ্রামের হারুন অর রশিদের মেয়ে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে কিশোর গ্যাংয়ের ৩৭ সদস্য গ্রেপ্তার
নিহতের মা রাবেয়া খাতুন জানান, গত ৫ মাস আগে তার মেয়েকে ওই মাদরাসার পরিচালক মুফতি আব্দুস সবুর তার ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয় তাদের। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পরে ছেলের বাবা ফোন করে তাদের মেয়ের মৃত্যুর বিষয়টি জানান।
মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে ডায়রিয়া রোগে মারা গেছে বলে তারা জানায়। তখন তারা রাতেই ছেলের বাড়িতে চলে আসে এবং মৃত্যুর কারণ নিয়ে তাদের সন্দেহ হয়।
তার আগে স্থানীয় একজন জাতীয় সেবা ৯৯৯- এ কল দেওয়ায় দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ও ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং তার স্বামী তানজিমকে গ্রেপ্তার করে।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ মাহমুদ হোসেন জানান, স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে তিনি জানান।
ওসি আরও জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মা রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ আইনজীবী গ্রেপ্তার: ডিবি
সিলেটে ২০২ বস্তা ভারতীয় পেঁয়াজ জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
৬৩৫ দিন আগে
কুড়িগ্রামে ঘুমন্ত স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ঘুমন্ত স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী সত্য চন্দ্র শীলকে লালমনিরহাটের আদিতমারী থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: নড়াইলে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ সুপার জানান, সীমান্তবর্তী এলাকা লোহাকুচি বর্ডার হয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন সত্য চন্দ্র। ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে তাকে লালমনিরহাটের আদিতমারী থানার বড়াইবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও হত্যাকাণ্ডে আসামির ব্যবহৃত কাঠের হাতলযুক্ত রক্তমাখা ধারাল কুড়াল ও আসামির রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, পারিবারিক কলহের জেরে রবিবার ভোরে স্বামী সত্য চন্দ্র শীল তার ঘুমন্ত স্ত্রী লতা রাণী শীলকে কুড়াল দিয়ে ঘারে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত লতা রাণী শীলের পিতার বাড়ি চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের মহাদেব পাট এলাকার শীলপাড়ী গ্রামে। নিহতের স্বামী সত্য চন্দ্র শীল নাগেশ্বরী পৌরসভার হেলিপোর্ট, কবিরের ভিটা গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে কুপিয়ে হত্যা, ২ ভাই গ্রেপ্তার
শরীয়তপুরে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা!
৬৮২ দিন আগে
সাতক্ষীরায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ভোরে সুন্দরবন উপকূলীয় ঘুমঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব।
নিহত রানু বেগম (৩২) জেলার কলারোয়ার রঘুনাথপুর গ্রামের সিদ্দিক সরদারের মেয়ে এবং গ্রেপ্তার স্বামী মুজিবুর রহমান (৩৫) কলারোয়ার গোদখালি গ্রামের ইমান আলীর ছেলে।
সাতক্ষীরা র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার (এএসপি) নাজমুল হক জানান, বুধবার (১৮ অক্টোবর) শাবলের আঘাতে স্ত্রী রানু বেগমকে হত্যার ঘটনায় মুজিবুর রহমানের মা বেলফুল বেগম কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর মুজিবুর রহমান ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তিনি শ্যামনগরের সুন্দরবন উপকূলীয় ভারতীয় সীমান্তের ঘুমঘাট এলাকায় অবস্থান করছেন- এমন খবরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থার জন্য আসামিকে কলারোয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
৭৭৮ দিন আগে
সিলেটে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বামী গ্রেপ্তার
সিলেটের বিয়ানীবাজারে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১২ জুলাই) ভোরের দিকে উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের মেওয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ফাহমিদা আক্তার একই উপজেলার বৈরাগীবাজারের কইরবন্দ এলাকার দবির উদ্দিনের ছেলে আবিদুর রহমানকে বিয়ে করে।
নিহতের বাবা ও ভাই অভিযোগ করেন, ‘স্বামীর বাড়ির লোকজন দীর্ঘদিন থেকে ফাহমিদাকে মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। রাতেও ফোন দিয়ে ঝগড়ার কথা জানিয়েছিল সে। ফাহমিদা আত্মহত্যা করতে পারে না। এটি আত্মহত্যা নয়।’
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ফাহমিদার শ্বশুর দবির মিয়া বলেন, ভোরে ছেলেকে ঘর থেকে বের করে ফাহমিদা দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায় সে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় আছে।
এদিকে এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ করে থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা জমির উদ্দিন। এতে ফাহমিদার স্বামী আবিদুর রহমান, শ্বশুর দবির উদ্দিন এবং শাশুড়ি লিপি বেগমকে আসামি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বামী আবিদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পৃথক স্থানে দু’টি ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
৮৭৬ দিন আগে
ঝিনাইদহে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় পলাতক স্বামী গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় পলাতক স্বামী জহুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার ভোরে শহরের আরাপপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জহুরুল ইসলাম কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে ৯টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২
র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ইশতিয়াক হোসাইন জানান, ১৩ মে ঝিনাইদহের আরাপপুরের একটি ভাড়া বাসায় যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় স্ত্রী সীমা খাতুনের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা হয় জহুরুলের।
এক পর্যায়ে জহুরুল ইসলাম ইট ও হাতুড়ি দিয়ে সীমাকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে সীমাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওইদিনই নিহতের বাব কামাল হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর র্যাব অভিযান শুরু করে।
জহুরুল আরাপপুর এলাকায় অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
যৌতুক ও পারিবারিক কলহের কারণেই এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে খাদ্য কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক
নীলফামারীতে চার মাসের শিশুকে হত্যার অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার
৯৩৪ দিন আগে
হাটহাজারীতে নারীকে শ্বাসরোধ ও ঘাড় ভেঙ্গে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ ও ঘাড় ভেঙ্গে হত্যা করার অভিযোগে স্বামী মো. মোজাম্মেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার বিকালে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে র্যাব-৭ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পিকনিক বাসের ২ যাত্রী নিহত
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার জানান, উক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। তারই অংশ হিসেবে শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড থানাধীন ভাটিয়ারী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে স্ত্রী হত্যা মামলার প্রধান মোজাম্মেল হোসেন (৪০)কে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মোজাম্মেল সাতকানিয়া থানার কেউচিয়া এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানায়, প্রায় দুই বছর আগে নিহত ভুক্তভোগী লাকির সঙ্গে মোজাম্মেল হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং পরিবারের লোকজনকে না জানিয়ে তারা বিয়ে করে চট্টগ্রাম শহরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতে থাকে।
লাকি হাটহাজারীর মেখল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড কাইয়ুম মেম্বারের বাড়ির মৃত ফজল করিমের মেয়ে।
জানা গেছে, কিছুদিন যেতেই পারিবারিক কলহের জের ধরে লাকি একা তার ভাইয়ের বাড়িতে চলে আসে এবং পারিবারের লোকদেরকে জানায় তার স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছে।
১১১৭ দিন আগে
সিলেটে তালাবদ্ধ ঘর থেকে স্ত্রীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেপ্তার
সিলেট নগরীর বালুচর এলাকার ভাড়া বাসার তালাবদ্ধ ঘর থেকে আফিয়া বেগম নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ৯টার দিকে নগরীর দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ইসমাইল নিয়াজ খান ওই এলাকার ইসমত খানের ছেলে।
শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আমিনুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে সিলেট নগরীর শাহপরান থানার বালুচর এলাকা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিন রাতে এলাকার সেকান্দর মহলের বাসার তালা ভেঙে লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় ঘরের ভেতর থেকে ওই নারীর প্রায় দুই বছর বয়সী এক শিশু কন্যাকে জীবিত উদ্ধার কর হয়। পরে ওই শিশুকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে আফিয়ার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বুধবার তার মা কুটিনা বেগম বাদী হয়ে শাহপরান থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। এই মামলায় ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ওই মহিলার স্বামী ওমান প্রবাসী বলে শোনা গেলেও আসলে ইসমাইল প্রবাসে ছিলেন না। আফিয়ার সঙ্গে তার বিয়ে কাগজপত্রও নেই। মৌলভী ডেকে নাকি তাদের বিয়ে পড়ানো হয়েছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এছাড়া, আশরাফ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে আফিয়া বেগমের আগে আরেকটি বিয়ে হয়েছিল বলে জানা গেছে। কিন্তু ওই সংসার বেশিদিন টিকেনি বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
১১৯৮ দিন আগে