স্বামী গ্রেপ্তার
দেবহাটায় মাদরাসা ছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরার দেবহাটার পারুলিয়ায় হাফেজা সাইমা খাতুন নামের এক মাদরাসা ছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বামী তানজিম আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত হাফেজা সাইমা খাতুন (১৮) সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মৌখালী গ্রামের হারুন অর রশিদের মেয়ে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে কিশোর গ্যাংয়ের ৩৭ সদস্য গ্রেপ্তার
নিহতের মা রাবেয়া খাতুন জানান, গত ৫ মাস আগে তার মেয়েকে ওই মাদরাসার পরিচালক মুফতি আব্দুস সবুর তার ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয় তাদের। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পরে ছেলের বাবা ফোন করে তাদের মেয়ের মৃত্যুর বিষয়টি জানান।
মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে ডায়রিয়া রোগে মারা গেছে বলে তারা জানায়। তখন তারা রাতেই ছেলের বাড়িতে চলে আসে এবং মৃত্যুর কারণ নিয়ে তাদের সন্দেহ হয়।
তার আগে স্থানীয় একজন জাতীয় সেবা ৯৯৯- এ কল দেওয়ায় দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ও ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং তার স্বামী তানজিমকে গ্রেপ্তার করে।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ মাহমুদ হোসেন জানান, স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে তিনি জানান।
ওসি আরও জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মা রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ আইনজীবী গ্রেপ্তার: ডিবি
সিলেটে ২০২ বস্তা ভারতীয় পেঁয়াজ জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
৮ মাস আগে
কুড়িগ্রামে ঘুমন্ত স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ঘুমন্ত স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী সত্য চন্দ্র শীলকে লালমনিরহাটের আদিতমারী থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: নড়াইলে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ সুপার জানান, সীমান্তবর্তী এলাকা লোহাকুচি বর্ডার হয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন সত্য চন্দ্র। ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে তাকে লালমনিরহাটের আদিতমারী থানার বড়াইবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও হত্যাকাণ্ডে আসামির ব্যবহৃত কাঠের হাতলযুক্ত রক্তমাখা ধারাল কুড়াল ও আসামির রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, পারিবারিক কলহের জেরে রবিবার ভোরে স্বামী সত্য চন্দ্র শীল তার ঘুমন্ত স্ত্রী লতা রাণী শীলকে কুড়াল দিয়ে ঘারে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত লতা রাণী শীলের পিতার বাড়ি চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের মহাদেব পাট এলাকার শীলপাড়ী গ্রামে। নিহতের স্বামী সত্য চন্দ্র শীল নাগেশ্বরী পৌরসভার হেলিপোর্ট, কবিরের ভিটা গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে কুপিয়ে হত্যা, ২ ভাই গ্রেপ্তার
শরীয়তপুরে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা!
৯ মাস আগে
সাতক্ষীরায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ভোরে সুন্দরবন উপকূলীয় ঘুমঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব।
নিহত রানু বেগম (৩২) জেলার কলারোয়ার রঘুনাথপুর গ্রামের সিদ্দিক সরদারের মেয়ে এবং গ্রেপ্তার স্বামী মুজিবুর রহমান (৩৫) কলারোয়ার গোদখালি গ্রামের ইমান আলীর ছেলে।
সাতক্ষীরা র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার (এএসপি) নাজমুল হক জানান, বুধবার (১৮ অক্টোবর) শাবলের আঘাতে স্ত্রী রানু বেগমকে হত্যার ঘটনায় মুজিবুর রহমানের মা বেলফুল বেগম কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর মুজিবুর রহমান ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তিনি শ্যামনগরের সুন্দরবন উপকূলীয় ভারতীয় সীমান্তের ঘুমঘাট এলাকায় অবস্থান করছেন- এমন খবরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থার জন্য আসামিকে কলারোয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
১ বছর আগে
সিলেটে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বামী গ্রেপ্তার
সিলেটের বিয়ানীবাজারে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১২ জুলাই) ভোরের দিকে উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের মেওয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ফাহমিদা আক্তার একই উপজেলার বৈরাগীবাজারের কইরবন্দ এলাকার দবির উদ্দিনের ছেলে আবিদুর রহমানকে বিয়ে করে।
নিহতের বাবা ও ভাই অভিযোগ করেন, ‘স্বামীর বাড়ির লোকজন দীর্ঘদিন থেকে ফাহমিদাকে মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। রাতেও ফোন দিয়ে ঝগড়ার কথা জানিয়েছিল সে। ফাহমিদা আত্মহত্যা করতে পারে না। এটি আত্মহত্যা নয়।’
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ফাহমিদার শ্বশুর দবির মিয়া বলেন, ভোরে ছেলেকে ঘর থেকে বের করে ফাহমিদা দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায় সে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় আছে।
এদিকে এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ করে থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা জমির উদ্দিন। এতে ফাহমিদার স্বামী আবিদুর রহমান, শ্বশুর দবির উদ্দিন এবং শাশুড়ি লিপি বেগমকে আসামি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বামী আবিদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পৃথক স্থানে দু’টি ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
ঝিনাইদহে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় পলাতক স্বামী গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় পলাতক স্বামী জহুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার ভোরে শহরের আরাপপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জহুরুল ইসলাম কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে ৯টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২
র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ইশতিয়াক হোসাইন জানান, ১৩ মে ঝিনাইদহের আরাপপুরের একটি ভাড়া বাসায় যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় স্ত্রী সীমা খাতুনের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা হয় জহুরুলের।
এক পর্যায়ে জহুরুল ইসলাম ইট ও হাতুড়ি দিয়ে সীমাকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে সীমাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওইদিনই নিহতের বাব কামাল হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর র্যাব অভিযান শুরু করে।
জহুরুল আরাপপুর এলাকায় অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
যৌতুক ও পারিবারিক কলহের কারণেই এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে খাদ্য কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক
নীলফামারীতে চার মাসের শিশুকে হত্যার অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
হাটহাজারীতে নারীকে শ্বাসরোধ ও ঘাড় ভেঙ্গে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ ও ঘাড় ভেঙ্গে হত্যা করার অভিযোগে স্বামী মো. মোজাম্মেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার বিকালে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে র্যাব-৭ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পিকনিক বাসের ২ যাত্রী নিহত
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার জানান, উক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। তারই অংশ হিসেবে শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড থানাধীন ভাটিয়ারী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে স্ত্রী হত্যা মামলার প্রধান মোজাম্মেল হোসেন (৪০)কে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মোজাম্মেল সাতকানিয়া থানার কেউচিয়া এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানায়, প্রায় দুই বছর আগে নিহত ভুক্তভোগী লাকির সঙ্গে মোজাম্মেল হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং পরিবারের লোকজনকে না জানিয়ে তারা বিয়ে করে চট্টগ্রাম শহরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতে থাকে।
লাকি হাটহাজারীর মেখল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড কাইয়ুম মেম্বারের বাড়ির মৃত ফজল করিমের মেয়ে।
জানা গেছে, কিছুদিন যেতেই পারিবারিক কলহের জের ধরে লাকি একা তার ভাইয়ের বাড়িতে চলে আসে এবং পারিবারের লোকদেরকে জানায় তার স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছে।
২ বছর আগে
সিলেটে তালাবদ্ধ ঘর থেকে স্ত্রীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেপ্তার
সিলেট নগরীর বালুচর এলাকার ভাড়া বাসার তালাবদ্ধ ঘর থেকে আফিয়া বেগম নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ৯টার দিকে নগরীর দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ইসমাইল নিয়াজ খান ওই এলাকার ইসমত খানের ছেলে।
শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আমিনুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে সিলেট নগরীর শাহপরান থানার বালুচর এলাকা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিন রাতে এলাকার সেকান্দর মহলের বাসার তালা ভেঙে লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় ঘরের ভেতর থেকে ওই নারীর প্রায় দুই বছর বয়সী এক শিশু কন্যাকে জীবিত উদ্ধার কর হয়। পরে ওই শিশুকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে আফিয়ার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বুধবার তার মা কুটিনা বেগম বাদী হয়ে শাহপরান থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। এই মামলায় ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ওই মহিলার স্বামী ওমান প্রবাসী বলে শোনা গেলেও আসলে ইসমাইল প্রবাসে ছিলেন না। আফিয়ার সঙ্গে তার বিয়ে কাগজপত্রও নেই। মৌলভী ডেকে নাকি তাদের বিয়ে পড়ানো হয়েছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এছাড়া, আশরাফ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে আফিয়া বেগমের আগে আরেকটি বিয়ে হয়েছিল বলে জানা গেছে। কিন্তু ওই সংসার বেশিদিন টিকেনি বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
২ বছর আগে
কুমিল্লায় স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় স্ত্রী হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত আসামি স্বামীকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার রাতে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার মো. ইকবাল হোসেন অলিপুর গ্রামের কাজি আবদুল হাকিমের ছেলে ও পেশায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক।
মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর শাকতলায় কোম্পানি কার্যালয়ে কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৬
তিনি জানান, গত ২৪ এপ্রিল কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার কালিরবাজার ইউনিয়নের মস্তাপুর এলাকার পাহাড়ের পাদদেশে পড়ে থাকা হাত মুখ বাঁধা ফারজানা বেগম (২৯) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার সাত জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার হলে র্যাব ১১ এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি ২ এর গোয়েন্দারা সোমবার জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে অনলাইন প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, র্যাব এর একই কোম্পানির অপর একটি অভিযানিক দল তথ্যের ভিত্তিতে একই দিন রাতে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি স্বামী মো. ইকবাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়।
২ বছর আগে
যশোরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
যশোরে স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার মুনসেপপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ফয়সাল (২২) একই গ্রামের জব্বার বিশ্বাসের ছেলে। আগুননে পুড়ে নিহত জান্নাতির বাবা ইমামুল কোতোয়ালি থানার মামলা করেছেন।
নিহতের বাবা ইমামুল মামলায় উল্লেখ করেন, গত বছর ১০ অক্টোবর ফয়সালের সঙ্গে মেয়ে জান্নাতিকে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে ফয়সাল তার মেয়ের কাছে যৌতুক দাবি করেন। এজন্য তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো।
আরও পড়ুন: স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় পুলিশ পরিদর্শক গ্রেপ্তার
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে নিজ ঘরে জানালা দরজা বন্ধ করে জান্নাতির দুই হাত ও দুই পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন ফয়সাল। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থা খুব খারপ থাকায় চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফার করেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জান্নাতি মারা যান।
আরও পড়ুন: যশোরে স্বর্ণের বার আত্মসাতের অভিযোগে ৩ পুলিশ গ্রেপ্তার
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিন জানান, স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে।
২ বছর আগে
মানিকগঞ্জে স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপ মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপ মামলার একমাত্র আসামি নাঈম মল্লিককে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। বুধবার বেলা ১১ টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তার নাঈম মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা গ্রামের মৃত নিজাম মল্লিকের ছেলে।
র্যাব জানায়, গত ২৯ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ১টার দিকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে নাঈম সাথীর বাবার বাড়িতে গিয়ে সাথীর শয়ন কক্ষের জানালা দিয়ে এসিড ছুড়ে মারে। নাঈমের ছোঁড়া এসিড সাথীর মুখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থান, ছোট বোন ইতি আক্তার ও মা জুলেখা বেগমেরও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ঝলসে যায়। নাঈম এই ঘটনার পর দৌড়ে পালানোর সময় সাথীর মা জুলেখা বেগম জালানা দিয়ে নাঈমকে দেখে। এ ঘটনায় সাথীর মামা লাল মিয়া সাটুরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: এসিড সমৃদ্ধ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
র্যাব-৪, সিপিসি ৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আরিফ হোসেন জানান, ঘটনার পর থেকে র্যাব আসামি নাঈমকে গ্রেপ্তারে মাঠে নামে। নাঈম ঘটনার পরপরই আত্মগোপনে চলে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার এড়াতে সে ছদ্মবেশে দ্রুত স্থান পরিবর্তন করতে থাকে।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টার দিকে সদর উপজেলার সাকরাইল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় নাঈমকে। জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবের কাছে এই এসিড সন্ত্রাসের সাথে সরাসরি জড়িত মর্মে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে নাঈম।
আসামিকে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য সাটুরিয়া থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এসিড নিক্ষেপ মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার!
২ বছর আগে