বসতবাড়ি তলিয়ে যাওয়া ছাড়াও সারা বছরের আয়ের উৎস সমস্ত ফসল এখন পানির নিচে চলে যাওয়ায় বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে তাদের কাছে।
বন্যা কবলিত এলাকার চাষিরা জানান, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আখ চাষিরা। চরের হাজার হাজার বিঘা আখ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পানি নামার পর ২০ ভাগ আখও ঘরে তোলা সম্ভব হবে না।
লালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, কৃষকের সীমাহীন ক্ষতি হয়েছে। জীবন-জীবিকা নিয়ে আগামী দিনে তারা হুমকির মুখে পড়বে। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা চেয়েছেন তিনি।
এদিকে, এরই মধ্যে ১৮টি চরের ১২শ দুর্গত মানুষের তালিকা তৈরি করে ১৮ মেট্রিক টন চাল ও ১৯০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
বন্যার্ত এলাকায় পরিদর্শন করে দেখা যায়, ইতিমধ্যেই চরের অনেক বাসিন্দা উপজেলা শহরসহ বিভিন্নস্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
যারা চরের নিজেদের বসত ভিটা ছাড়তে নারাজ, তারা অনেকেই নৌকা ও উচু মাচায় বিষধর পোকা-মাকড়ের সাথে গবাদি পশু নিয়ে বসবাস করছে বলে নাটোর প্রতিনিধি জানিয়েছেন।