বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ রেজানুর রহমান।
এর আগে গত সোমবার বিকালে জেলার সৈয়দপুর-পাবর্তীপুর মহাসড়কের চৌমুহনী বাজার মোড় থেকে ওই কষ্টিপাথরটি জব্দসহ চোরাকারবারি রওশন সরকার (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি দিনাজপুর জেলার পাবর্তীপুর উপজেলার মাস্টারপাড়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির উপ-পরিদর্শক মো. রেজানুর রহমানের নেতৃত্বে ডিবির একদল সদস্য গত সোমবার বিকালে সৈয়দপুর-পাবর্তীপুর মহাসড়কের চৌমুহনী বাজার মোড়ে অবস্থান নেয়। এসময় ডিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে চোরাকারবারি দলের সদস্য রওশন সরকারকে (১৯) আটক করে তার হাতে থাকা একটি ব্যাগে লুঙ্গি দিয়ে মোড়ানো মূলবান কষ্টিপাথরের তৈরি শিল্পকর্মের ভাঙা অংশ জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত ওই শিল্পকর্মের ভাঙা অংশে ফুল ও হাঁসের চিত্রকর্ম রয়েছে। ৩ দশমিক ৩৮৩ কেজি ওজনের কষ্টিপাথরটির এক প্রান্তের দৈর্ঘ্য ৭ ইঞ্চি অপর প্রান্তের দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ৫০ ইঞ্চি এবং প্রস্ত ৬ ইঞ্চি।
নীলফামারী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরির্দশক মো. হারুন অর রশীদ জানান, জব্দকৃত কষ্টিপাথরটি জেলা জুয়েলার্স সমিতির মাধ্যমে পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হয়েছে। এটি একটি মূলবান কষ্টিপাথর। যার বাজার মূল্য ৯২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এ ঘটনায় রওশন সরকারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সৈয়দপুর থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-বি(১)এ(২)/২৫-ডি ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া রওশনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য ডিবির অভিযান অব্যাহত রয়েছে।