ভুক্তভোগী কনা বিশ্বাস কালিয়া উপজেলার আরাজি বাঁশগ্রামের পুস্পেন বিশ্বাসের মেয়ে ও নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
মেয়েটির বাবা পুস্পেন বিশ্বাস জানান, কনা প্রতি দিনের মতো শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের হোস্টেলের পার্শ্বে কোচিং করতে যায়। সকাল ৯টা ২০মিনিটের দিকে তার সাথে কথা হয়। এরপর তার সাথে আর কথা হয়নি। দুপুরে বাড়িতে না আসায় তাকে ফোন করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আমার কাছে ফোন করে বলা হয় মেয়েকে পেতে হলে ৫ লাখ টাকা লাগবে। তখন আমি পুলিশের সাথে যোগাযোগ করি। পরে সন্ধ্যার পর এক নারী কন্ঠে আমাকে ফোন করে বলা হয় সুলতান কমপ্লেক্সের পার্শ্ব থেকে আপনার মেয়েকে নিয়ে যান। এ সময় সদর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ মেয়েকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
রবিবার সকালে জ্ঞান ফেরার পর ছাত্রী কনা জানান, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রূপগঞ্জ নিশিনাথতলা থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য ভ্যানে ওঠে। পরে মাছিমদিয়া সুলতান সেতুর কাছে গেলে একজন মুখে রুমাল ধরলে তার আর কিছু মনে নেই।
নড়াইল সদর থানার ওসি ইলিয়াছ হোসেন জানান, অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা হয়েছে। প্রযুক্তির সাহায্যে আসামিদের চিহিৃত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।