শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে হাসপাতালগুলোতেও বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
মাঘ মাসের শুরু থেকেই পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। মাঘের মাঝামাঝি সময়ে এসে রবিবার থেকে শুরু হয়েছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।
শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে কুড়িগ্রাম, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৫ ডিগ্রি
রবিবার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সকাল ৬টা ও সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শনিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শৈত্যপ্রবাহের কারণে বিকালের পর থেকে ক্রমশই হাটবাজার, রাস্তাঘাট ফাঁকা হতে শুরু করে। রাতের কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়ে জনজীবন।
মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে পুরো কুড়িগ্রাম
একদিকে কুয়াশা অন্যদিকে শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তি বেড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষের। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর হতে বের হচ্ছেন না। কাজকর্ম না থাকায় তাদের অধিকাংশই আর্থিক সংকট ও খাদ্য সংকটে পড়েছেন।
জেলার সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের মালাদাম গ্রামের রমেশ চন্দ্র সেন জানান, শীতের কাপড় নেই। আর ঠান্ডায় কাজ করতে না পারায় তিন বেলা খাওয়া নিয়েও সমস্যায় রয়েছেন তিনি।
জেলা শহরের ভ্যান চালক জয়নাল জানান, ঘনকুয়াশার কারণে হাটবাজারে লোকজনের চলাচল কমে গেছে। ভাড়া পাওয়া যায় না। ‘ভাড়া না পেলে মহাজনকে কীভাবে টাকা দেব, আর নিজেই কি খাবো।’
পঞ্চগড়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, শীতে দুর্ভোগ সাধারণ মানুষের
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে শনিবার সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রবিবার সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আবার শনিবার বিকাল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রবিবার বিকাল ৩টায় সবোর্চ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রামে শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন, শিশুর মৃত্যু
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সিরাজউদ্দৌলা পলিন বলেন, ‘শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। হাসপাতালের আন্তবিভাগে শিশু ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে।’
তবে পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ রয়েছে এবং সাধ্যমতো চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।