রবিবার সকাল ৯টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে পুরো কুড়িগ্রাম
তিনি জানান, এ জেলার উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে যা আগামী আরও কয়েকদিন থাকতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রাত থেকে বৃষ্টির ফোঁটার মতো কুয়াশা ঝড়ে পড়ায় কনকনে ঠাণ্ডার মাত্রাও বেড়ে গেছে। দিনের বেলায়ও ঘন কুয়াশায় প্রকৃতি ঢেকে আছে। কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে শ্রমিকরা কাজে যেতে না পারায় বোরো চাষ ব্যহত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও যানবাহনকে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে দিনমুজুর, ছিন্নমূল ও চরাঞ্চলের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শীতজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে
এদিকে, জেলার হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডায়রিয়ায় ৪১ জন এবং নিউমোনিয়ায় ২০ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এদের বেশির ভাগই শিশু।
আরও পড়ুন: শীতজনিত রোগে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩,৭২৬
আবহাওয়া
আবহাওয়া অধিদপ্তরের রবিবার সকালের বার্তা অনুসারে, কুড়িগ্রাম ও রাজশাহী জেলা জুড়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ ও টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর অঞ্চলে কোথাও কোথাও কোথাও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হচ্ছে। এছাড়া গোপালগঞ্জ, নিকলী, শ্রীমঙ্গল, খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে স্থবির জনজীবন
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
সারাদেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল অবধি সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড শীতে চরম দুর্ভোগে কুড়িগ্রামের মানুষ
চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।