রাত থেকে বৃষ্টি ফোটার মতো নেমে আসা কুয়াশায় কনকনে ঠাণ্ডার মাত্রা বেড়ে গেছে। দিনের বেলায়ও ঘন কুয়াশায় প্রকৃতি ঢেকে থাকছে।
শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে শীতজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে
উত্তরের এ জেলায় হাড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে শ্রমিকরা কাজে যেতে না পারায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে বোরো চাষ। তীব্র কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়া প্রচণ্ড শীতের কারণে দিনমজুর, ছিন্নমূল ও চরাঞ্চলের মানুষজন চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শীতজনিত রোগে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩,৭২৬
নিম্ন আয়ের মানুষজন খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন হত দরিদ্র পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধরা।
রাজারহাট কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘এ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে যা আগামী আরও কয়েক দিন থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে স্থবির জনজীবন
এদিকে, জেলার হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডায়রিয়ায় ৩৫ ও নিউমোনিয়ায় ১৪ রোগী ভর্তি রয়েছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড শীতে চরম দুর্ভোগে কুড়িগ্রামের মানুষ
আবহাওয়ার পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার বার্তা অনুযায়ী সীতাকুণ্ড, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ এবং চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পাওয়া গেছে দিনাজপুরে। গতকাল সর্বোচ্চ ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় সীতাকুণ্ডে।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড শীতে কুড়িগ্রামে বোরো বীজতলা নষ্টের উপক্রম
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বল