তবে স্প্যানবহনকারী ক্রেনটি কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে প্রস্তুত রয়েছে এবং ১৫ নম্বর খুঁটির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। স্প্যানটি সেতুর ১৫-১৬ পিলারের মধ্যে স্থাপন করা হবে।
পদ্মা সেতুর দায়িত্বশীল এক প্রকৌশলী দুপুরে জানান, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে নির্ধারিত সময়ে স্প্যানটি রওনা দিতে পারেনি। এছাড়া ১৫-১৬ নম্বর পিলারের কাছে পলি জমেছে। যার কারণে ড্রেজিং করে পলি অপসারণের কাজও চলছে। ভাসমান ক্রেনটিতে পলি থাকার কারণে নোঙর করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তাই পলি অপসারণ করার পর এটি বসবে।
ইতোমধ্যেই পলির স্থান চিহ্নিত করতে সার্ভে শুরু হয়েছে। সার্ভে শেষেই ড্রেজিং শুরু হবে। তবে সার্ভে করতে কিছুট সময় লাগছে। এতে স্প্যানটি কবে নাগাদ বসছে তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
উল্লেখ্য, স্প্যানটি পিলারের উপর বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে সেতুর ২১০০ মিটার। ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের আর ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে বহন করে নিয়ে যাবে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেন।
পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৪২টি খুঁটির মধ্যে এ পর্যন্ত ২৯টি খুঁটি সম্পন্ন হয়েছে। ২৯৪টি পাইলের মধ্যে ২৯০টি পাইল স্থাপন হয়ে গেছে। ৪১টি স্প্যানের এ পর্যন্ত ১৩টি স্প্যান বসেছে।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।