নাটোর সদর উপজেলার সিংহারদহ গ্রামের ভাটা শ্রমিক ওমর ফারুক মিঠু হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
পরকীয়ার কারণে স্ত্রী ও আপন বড় ভাই মিলে ইটভাটা শ্রমিক মিঠুকে হত্য করে বলে মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয় চত্বরে এক ব্রিফিংয়ে জানান নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
তিনি জানান, ইটভাটায় কাজ করার কারণে দীর্ঘদিন বাড়ির বাইরে থাকতে হয় মিঠুকে। অনুপস্থিতির এ সময়ে মিঠুর বড় ভাই আব্দুল কাদেরের সাথে স্ত্রী আম্বিয়া বেগমের অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়। এ সম্পর্ক স্থায়ী করতে গত ৩ মে রাতে বড় ভাই ও স্ত্রী মিলে মিঠুর খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়।
ঘুমিয়ে গেলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ বাড়ির দরজার বাইরে ফেলে রেখে সবাইকে ডাকাডাকি করতে থাকেন তারা। তদন্তের পর পুলিশ আম্বিয়া ও বড় আব্দুল কাদেরকে আটক করে। পরে তারা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে বলে জানান পুলিশ সুপার।