তারা হলো ভাঙ্গুড়া উপজেলার পার ভাঙ্গুড়া গ্রামের রশিদ প্রামানিকের ছেলে ইমন হোসেন (১৬) ও ইমরান হোসেন (১৪) এবং তাদের চাচা শফিকুল ইসলামের মেয়ে ছুম্মা খাতুন (১৩)।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, ব্যাটারিচালিত অটোভ্যানে করে চারজন চর ভাঙ্গুড়া থেকে ভাঙ্গুড়ার হাটগ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল। দুপুর দেড়টার দিকে তাদের বহনকারী ভ্যানটি ভাঙ্গুড়ার রাঙ্গালিয়া এলাকায় পৌঁছালে পাবনাগামী একটি দ্রুতগতির ট্রাক অটোভ্যানকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই ভাই ও তাদের চাচাতো বোন নিহত হয়।
আরও পড়ুন:নভেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার নিহত ৪৩৯: প্রতিবেদন
আহত একজনকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রাকটি জব্দ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ছয়জনসহ নিহত ৭
দেশের সড়ক দুর্ঘটনা পরিস্থিতি:
দেশের সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা গত নভেম্বরে কিছুটা বেড়েছে। মাসজুড়ে সংঘটিত ৪১৭ দুর্ঘটনায় ৪৩৯ জন নিহত এবং ৬৮২ জন আহত হয়েছেন।
নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নামে এক সংস্থার ৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
সংস্থাটির তথ্যমতে, গত অক্টোবর মাসে ৩১৪ দুর্ঘটনায় ৩৮৩ জন নিহত হন।
আরও পড়ুন:সুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৪
গত নভেম্বর মাসে এককভাবে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। এ ধরনের ১২৮টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৪১ জন। যা মোট নিহতের ৩২.১১ শতাংশ। আর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা মোট ঘটনার ৩০.৬৯ শতাংশ।
প্রতিবেদনে দেয়া তথ্যমতে, দুর্ঘটনায় ১১৬ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৬.৪২ শতাংশ। আর যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৪৯ জন, যা মোট নিহতের ১১.১৬ শতাংশ।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। রাজধানীতে ১১১ দুর্ঘটনায় ১২৮ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২২ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৪ জন।
আরও পড়ুন:হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসকসহ নিহত ২
দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে ১০ বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এগুলো হলো- ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, নির্দিষ্ট বেতন ও কর্মঘণ্টা না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহণ খাতে চাঁদাবাজি।
সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।