পাবনা
পাবনায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, আটক ৩
পাবনায় ছুরিকাঘাতে তুষার নামে এক যুবককে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) রাতে পাবনা শহরের বড় ব্রিজ এলাকার বর্ণমালা কিন্ডারগার্টেনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তুষার (২০) পাবনা পৌর এলাকার রাধানগরের ময়দানপাড়ার আব্দুল মান্নানের ছেলে। গত বছর শহরের ওরিন নামে এক যুবক হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ছাত্রদল নেতার ছুরিকাঘাতে আহত ১৩
তাৎক্ষণিকভাবে আটকদের নাম-পরিচয় পাওয়া সম্ভব হয়নি।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, ‘রবিবার রাতে পূর্ব শত্রুতার জেরে বর্ণমালা কিন্ডারগার্টেনের জঙ্গলের ভেতরে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করা হয় তুষারকে। এ সময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।’
তিনি আরও জানান, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে ছুরিকাঘাতে আহত যুবকের মৃত্যু, আটক ১
৩ দিন আগে
পাবনায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
পাবনার হেমায়েতপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী জালাল উদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের মানসিক হাসপাতাল সংলগ্ন বেতেপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
জালাল উদ্দিন হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়ার শকর আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সদস্য মুন্তাজ আলীর সঙ্গে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেমের বিরোধ চলছিল। শুক্রবার(১৫ নভেম্বর) রাতে ওই এলাকার ইসলামী জলসা নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরদিন সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হন। তাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে আবুল হাসেমের কর্মী জালালের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুপুর ১টার দিকে মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মুন্তাজ ও হাসেমের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। রাজশাহী নেওয়ার পথে জালালের মৃত্যু হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: ফুটবল খেলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জন টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ১২
৫ দিন আগে
পাবনায় অতিরিক্ত মদপানে ২ বন্ধুর মৃত্যু, অসুস্থ ৩
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পাঁচ বন্ধু মিলে মদপান করতে গিয়ে অতিরিক্ত মদপানে ২ বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিনজনকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাতে উপজেলার চরভাঙ্গুড়া গ্রামে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- উপজেলার চর ভাঙ্গুরা গ্রামের রামচন্দ্র ঘোষের ছেলে রবীন ঘোষ (২৫) ও মানিক চৌধুরীর ছেলে হৃদয় চৌধুরী (১৭)।
আরও পড়ুন: পাবনায় নদীর পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, দুর্গাপূজার উৎসব শেষে সোমবার সন্ধ্যায় বন্ধুরা মিলে মদপান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন উপজেলার চরভাঙ্গুড়া গ্রামের ঘোষপাড়ার পাঁচ যুবক। পরে তাদের প্রথমে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে নেওয়ার পথে হৃদয় চৌধুরীর মৃত্যু হয়। আর রবিন ঘোষকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. উজ্জল হোসেন বলেন, ‘দুইজন মারা যাওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। আর গুরুতর অসুস্থ তিনজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। তাদের অবস্থাও গুরুতর।’
ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মদপান করে পাঁচজন অসুস্থ হয়েছিল। তার মধ্যে দুইজন মারা গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করছে।’
আরও পড়ুন: পাবনায় বৃষ্টিতে ভিজতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু
১ মাস আগে
পাবনায় বৃষ্টিতে ভিজতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু
পাবনায় বৃষ্টিতে ভিজতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেয়ে অরশা খাতুন (১৩) ও মা আরজিনা খাতুনের (৪৫) মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার আতাইকুলা থানার আতইকুলা ইউনিয়নের কাচারপুর পূর্বপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে সিএনজি ও ট্রাক সংঘর্ষে মা-মেয়ের মৃত্যু
নিহত দুইজন ওই গ্রামের মো. নবাব উদ্দিন খানের স্ত্রী ও মেয়ে। অরশা কাচারপুর দাখিল মাদরাসার অস্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টিতে গোসল করে গোয়ালঘরে যাওয়ার সময় লোহার দরজায় ধরতেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হয় অরশা।
এসময় বিদ্যুতের তার ছিড়ে পুরো গোয়ালঘর বিদ্যুতায়িত হওয়ায় মা আরজিনা এগিয়ে গেলে মেয়েসহ তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান।
নিহতের স্বামী নবাব উদ্দিন খান বলেন, মেয়েকে মাদরাসায় পড়াচ্ছিলাম। মেয়ে আমার খুব মেধাবী ছিল। মেয়ের সঙ্গে স্ত্রীও চলে গেল। আমার সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। আল্লাহ দুইজনকে যেন জান্নাতবাসী করেন।
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম বলেন, গোয়াল ঘরে প্রথমে মেয়ে বিদ্যুতায়িত হোন। পরে তাকে উদ্ধার করতে গেলে মাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। ঘটনাস্থলেই মা ও মেয়ে মারা যান।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে ঘুমন্ত মা-মেয়ের মৃত্যু
১ মাস আগে
পাবনায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত, আহত ৭
পাবনায় বাসের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন অটোরিকশার চালকসহ আরও সাতজন।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের সাহাপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে দুই ট্রাকের ধাক্কায় চালকের সহকারী নিহত
নিহতরা হলেন- পাবনা উপজেলার সাহাপুর যশোদল গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে শিমুল হোসেন (৩২) ও একই উপজেলার ইসলাম গাঁতি ভাটাপাড়া গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে সফর আলী (৩৫)।
আহতরা হলেন- গাঁতি গ্রামের হামিদুল ইসলাম, রেজাউল করিম, সাহাপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম, ইসলাম গাঁতি গ্রামের ইসমাইল হোসেন, হারেছ আলী, রবিউল ইসলাম ও আব্দুল আজিজ।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি যাত্রী নিয়ে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া থেকে পাবনার টেবুনিয়ায় যাচ্ছিল। সাহাপুর এলাকায় পাবনা থেকে ঈশ্বরদীর দিকে যাওয়া সাব্বির পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে সব যাত্রী গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিমুল ও সফর মারা যান। বাকি সাতজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে কাভার্ডভ্যানে সিএনজির ধাক্কায় ৫ জনের মৃত্যু
নড়াইলে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল তিন যুবকের
২ মাস আগে
পাবনায় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাবনার আমিনপুরে সিএনজি চালক ইমরান হত্যা মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে পাবনা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা জজ আহসান তারেক এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: ইয়াছিন হত্যাকাণ্ড: এক ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জগনাথপুর গ্রামের আবুল কালাম (৩৫), মোকছেদ আলী (৪৫), মুক্তার হোসেন (৩৫), আপেল মাহমুদ (৪১) ও জাহিদ (৫০)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই সকাল ১০টার দিকে রাতে ইমরানকে ফোন করে সিএনজি ভাড়া নেয় একই গ্রামের জগন্নাথপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম। পরে আবুল কালাম কাশিনাথপুর বাজার থেকে তার সহযোগী চারজনকে তুলে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হত্যা করে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার একদিন পর ১৬ জুলাই আমিনপুর থানা চক কৃষ্ণপুর মুজিব বাঁধের পাশে এলাকাবাসী লাশ দেখতে পেয়ে খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে নিহত ইমরানের বাবা কালু সরদার তার ছেলে ইমরানের লাশ বলে শনাক্ত করেন।
১৬ জুলাই ইমরানের বাবা আমিনপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে মামলার প্রধান আসামি আবুল কালামকে আটক করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়। দীর্ঘ ১০ বছর মামলা পরিচালনা করে বিচারক সাক্ষী শেষে এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সন্তান হত্যার দায়ে মায়ের যাবজ্জীবন
নড়াইলে ২ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
৩ মাস আগে
পাবনায় ডোবায় শাপলা তুলতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যু
পাবনার সাঁথিয়ায় ডোবার পানিতে শাপলা তুলতে গিয়ে একই পরিবারে রুহান (৩) ও ইয়ামিন (৪) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১২ আগষ্ট) সকাল ১১টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে পানিতে ডুবে কিশোর নিহত
রুহান ধুলাউড়ি পূর্বপাড়া গ্রামের ইমরান হোসেনের ছেলে এবং ইয়ামানি একই গ্রামের শাহিন আলমের ছেলে। নিহত দুই শিশু সম্পর্কে চাচা ও ভাতিজা।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রুহানের মা রত্না খাতুন বাড়ির পাশে ইছামতি নদীতে কাপড় কাচতে গেলে তার সঙ্গে রুহান ও ইয়ামিন যায়। তার মায়ের অজান্তে তারা পাশেই একটি ডোবায় শাপলা ফুল তুলতে যায়। রুহানের মা কাপড় কাচা শেষে দেখতে পান তার ছেলে রুহান ও ইয়ামিন নেই। স্বজনেরা তাদের খোঁজাখুঁজির পর দেখতে পান বাড়ির পাশে ডোবায় ইয়ামিন পানিতে ভেসে আছে।
তারা পানিতে নেমে রুহানকে পানির নিচ থেকে উদ্ধার করে। দুজনকেই সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ধুলাউড়ি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ময়েন উদ্দিন বিশ্বাস শিশু দুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পানিতে ডুবে শিশু দুটির মৃত্যুর ব্যাপারে শুনেছি।’
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
নড়াইলে বালতির পানিতে ডুবে ১৫ মাস বয়সি শিশুর মৃত্যু
৩ মাস আগে
পাবনায় বাসের ধাক্কায় তিন অটোরিকশাযাত্রীর মৃত্যু
পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও ২ জন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কাশিনাথপুর-কাজিরহাট সড়কের নতুন বাজার কবরস্থানের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
হতাহতরা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।
নিহত তিনজনের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। বাকি দুইজনের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
নিহত সালভি ইসলাম (২৩) ঈশ্বরদী উপজেলার বেদুনদিয়া গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন বলে জানা গেছে।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, বেড়া উপজেলার কাজিরহাট থেকে কাশিনাথপুরে যাচ্ছিল সিএনজিচালিত একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশা। নতুন বাজার কবরস্থানের কাছে আসলে পাবনা থেকে কাজিরহাটগামী হাসান পরিবহন নামের বাস অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। অটোরিকশাটি উল্টে গিয়ে ঘটনাস্থলেই শিশুসহ ৩ যাত্রীর মৃত্যু হয়।
আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় বলে জানান ওসি।
৩ মাস আগে
পাবনায় আ.লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ শিক্ষার্থী নিহত
পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে গুলিবর্ষণের ঘটনায় তিনজন হয়ে মারা গেছেন। এ ঘটনায় ৫০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রবিবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া তত্ত্বাবধানে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী পাবনা সরকারি অ্যাডওয়ার্ড কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিলবের করেন। মিছিল শহরের আব্দুল হামিদ সড়কের জেবি মোড়ে অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সমাবেশে পেছন থেকে অতর্কিত গুলি বর্ষণ করা করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে ব্যবসায়ী নিহত
এ ঘটনায় শিক্ষার্থী জাহিদু ইসলাম (১৯), মাহবুবুল হোসেন (১৬), ফাহিম (১৭) নামে তিন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
বিক্ষোভকারী একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ৫০ জন ভাই আহত হয়েছেন। তাদের আমরা দ্রুত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। এ সময় হাসপাতালে তিনজন মারা গেছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শিবলী সাদিক ও তার লোকজন শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাদের ধাওয়া করে। এ সময় তারা পিছু হটলে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা যুবলীগের ওই নেতার অফিস ভাংচুর করে। এছাড়াও তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাংচুর করে। এ ঘটনার পর দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ চেয়ারম্যান ও তার লোকজন সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালায় ও গুলিবর্ষণ করে। এসময় ৫০ জনের অধিক গুলিবিদ্ধ হয়। এদের মধ্যে হাসপাতালে তিনজন মারা যায়। পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিলে তারা পিছু হটে। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী সাঈদ চেয়ারম্যানের গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করে। পরে শহরে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করে।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষাথীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ঘোষিত কর্মসূচি পালন করছিলেন। এ সময় পেছন থেকে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিক আলাদাভাবে হামলা চালান। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ে। পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা পিছু হটে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমবার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল-গণঅবস্থান, মঙ্গলবার ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ
আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কারফিউ জারি
৩ মাস আগে
ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে শিক্ষার্থীদের গণমিছিল
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার ও মামলা প্রত্যাহারসহ ৯ দফা দাবিতে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে শান্তিপূর্ণ গণমিছিল করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এদিকে শুক্রবার (২ আগস্ট) পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার সারা দেশে 'রিমেমবারিং আওয়ার হিরোজ' ক্যাম্পেইন করবে কোটা আন্দোলনকারীরা
৩ মাস আগে