পাবনা
পাবনায় ট্রলিচাপায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত
পাবনায় বালুবোঝাই ট্রলিচাপায় মাসুদ রানা নামের এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চালককে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনার সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের শ্রীপুর বাজারের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মাসুদ রানা সুজানগর উপজেলার কামালপুর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে রূপালী ব্যাংক থেকে ৩ ডাকাতের আত্মসমর্পণ
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনার সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের শ্রীপুর বাজারের সামনে পেছন থেকে মাসুদ রানাকে চাপা দেয় ট্রলিটি। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং চালককে আটক করা হয়েছে।
২ দিন আগে
পাবনায় ওয়াজ মাহফিলে ছুরিকাঘাতে যুবক হত্যার অভিযোগ
পাবনায় ওয়াজ মাহফিলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে শিমুল হোসেন (২১) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এতে আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ৯ টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার চরঘোষপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিমুল চর ঘোষপুর গ্রামের শাহীন হোসেনের ছেলে। তিনি পাবনা জিলা স্কুলের এসএসসি ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। আহতরা একই এলাকার কাওসার হোসেন (১৯) ও দিসার আলী (২০)।
এ ঘটনায় শান্ত হোসেন (২৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, চরঘোষপুর গ্রামে একটি ওয়াজ মাহফিল চলছিল। মাহফিলের প্যান্ডেলের বাইরে বসা মেলার মধ্যে কয়েকজন যুবকের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনজন আহত হয়। এর মধ্যে শিমুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পাবনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে চিকিৎসার আগেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি আব্দুস সালাম জানান, মাহফিলের প্যান্ডেলের বাইরে তর্কের জেরে এ ঘটনা ঘটে। আহত তিনজনের মধ্যে একজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
২ সপ্তাহ আগে
পাবনায় চরমপন্থি দলের সাবেক নেতাকে গলাকেটে হত্যা
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় বাকুল ইসলাম নামে চরমপন্থি দলের সাবেক এক নেতাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের রাউতি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত বাকুল ইসলাম (৪৫) রাউতি গ্রামের রওশন আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় হাজতির মৃত্যু
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, ঘোড়ার গাড়িতে করে স্থানীয় জালাল মাস্টারের ধান পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বকুল ইসলাম। পথে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করেছে। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, চলতি নভেম্বরে পাবনা জেলায় ৪টি হত্যার ঘটনা ঘটল। এছাড়াও এ মাসেই পদ্মা নদী থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘ভুল চিকিৎসায়’ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, হাসপাতাল ও কলেজে ভাঙচুর
৩ সপ্তাহ আগে
পাবনায় চরমপন্থি নেতাকে গলা কেটে হত্যা
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় বাকুল ইসলাম (৪৫) নামে চরমপন্থি দলের সাবেক এক নেতাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের রাউতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাকুল ইসলাম রাউতি গ্রামের রওশন আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান জানান, রাতে ঘোড়ার গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন বাকুল। পথে দুর্বৃত্তরা তাকে ঘিরে ধরে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চলতি নভেম্বর মাসেই পাবনা জেলা ৪টি হত্যার ঘটনা ঘটল। এছাড়াও এ মাসেই পদ্মা নদী থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ। জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কায় স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: চানাচুর কোম্পানির ভেতরে কর্মচারীকে গলা কেটে হত্যা
৩ সপ্তাহ আগে
পাবনায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, আটক ৩
পাবনায় ছুরিকাঘাতে তুষার নামে এক যুবককে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) রাতে পাবনা শহরের বড় ব্রিজ এলাকার বর্ণমালা কিন্ডারগার্টেনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তুষার (২০) পাবনা পৌর এলাকার রাধানগরের ময়দানপাড়ার আব্দুল মান্নানের ছেলে। গত বছর শহরের ওরিন নামে এক যুবক হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ছাত্রদল নেতার ছুরিকাঘাতে আহত ১৩
তাৎক্ষণিকভাবে আটকদের নাম-পরিচয় পাওয়া সম্ভব হয়নি।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, ‘রবিবার রাতে পূর্ব শত্রুতার জেরে বর্ণমালা কিন্ডারগার্টেনের জঙ্গলের ভেতরে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করা হয় তুষারকে। এ সময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।’
তিনি আরও জানান, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে ছুরিকাঘাতে আহত যুবকের মৃত্যু, আটক ১
১ মাস আগে
পাবনায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
পাবনার হেমায়েতপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী জালাল উদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের মানসিক হাসপাতাল সংলগ্ন বেতেপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
জালাল উদ্দিন হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়ার শকর আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সদস্য মুন্তাজ আলীর সঙ্গে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেমের বিরোধ চলছিল। শুক্রবার(১৫ নভেম্বর) রাতে ওই এলাকার ইসলামী জলসা নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরদিন সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হন। তাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে আবুল হাসেমের কর্মী জালালের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুপুর ১টার দিকে মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মুন্তাজ ও হাসেমের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। রাজশাহী নেওয়ার পথে জালালের মৃত্যু হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: ফুটবল খেলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জন টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ১২
১ মাস আগে
পাবনায় অতিরিক্ত মদপানে ২ বন্ধুর মৃত্যু, অসুস্থ ৩
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পাঁচ বন্ধু মিলে মদপান করতে গিয়ে অতিরিক্ত মদপানে ২ বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিনজনকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাতে উপজেলার চরভাঙ্গুড়া গ্রামে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- উপজেলার চর ভাঙ্গুরা গ্রামের রামচন্দ্র ঘোষের ছেলে রবীন ঘোষ (২৫) ও মানিক চৌধুরীর ছেলে হৃদয় চৌধুরী (১৭)।
আরও পড়ুন: পাবনায় নদীর পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, দুর্গাপূজার উৎসব শেষে সোমবার সন্ধ্যায় বন্ধুরা মিলে মদপান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন উপজেলার চরভাঙ্গুড়া গ্রামের ঘোষপাড়ার পাঁচ যুবক। পরে তাদের প্রথমে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে নেওয়ার পথে হৃদয় চৌধুরীর মৃত্যু হয়। আর রবিন ঘোষকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. উজ্জল হোসেন বলেন, ‘দুইজন মারা যাওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। আর গুরুতর অসুস্থ তিনজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। তাদের অবস্থাও গুরুতর।’
ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মদপান করে পাঁচজন অসুস্থ হয়েছিল। তার মধ্যে দুইজন মারা গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করছে।’
আরও পড়ুন: পাবনায় বৃষ্টিতে ভিজতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু
২ মাস আগে
পাবনায় বৃষ্টিতে ভিজতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু
পাবনায় বৃষ্টিতে ভিজতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেয়ে অরশা খাতুন (১৩) ও মা আরজিনা খাতুনের (৪৫) মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার আতাইকুলা থানার আতইকুলা ইউনিয়নের কাচারপুর পূর্বপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে সিএনজি ও ট্রাক সংঘর্ষে মা-মেয়ের মৃত্যু
নিহত দুইজন ওই গ্রামের মো. নবাব উদ্দিন খানের স্ত্রী ও মেয়ে। অরশা কাচারপুর দাখিল মাদরাসার অস্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টিতে গোসল করে গোয়ালঘরে যাওয়ার সময় লোহার দরজায় ধরতেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হয় অরশা।
এসময় বিদ্যুতের তার ছিড়ে পুরো গোয়ালঘর বিদ্যুতায়িত হওয়ায় মা আরজিনা এগিয়ে গেলে মেয়েসহ তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান।
নিহতের স্বামী নবাব উদ্দিন খান বলেন, মেয়েকে মাদরাসায় পড়াচ্ছিলাম। মেয়ে আমার খুব মেধাবী ছিল। মেয়ের সঙ্গে স্ত্রীও চলে গেল। আমার সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। আল্লাহ দুইজনকে যেন জান্নাতবাসী করেন।
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম বলেন, গোয়াল ঘরে প্রথমে মেয়ে বিদ্যুতায়িত হোন। পরে তাকে উদ্ধার করতে গেলে মাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। ঘটনাস্থলেই মা ও মেয়ে মারা যান।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে ঘুমন্ত মা-মেয়ের মৃত্যু
২ মাস আগে
পাবনায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত, আহত ৭
পাবনায় বাসের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন অটোরিকশার চালকসহ আরও সাতজন।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের সাহাপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে দুই ট্রাকের ধাক্কায় চালকের সহকারী নিহত
নিহতরা হলেন- পাবনা উপজেলার সাহাপুর যশোদল গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে শিমুল হোসেন (৩২) ও একই উপজেলার ইসলাম গাঁতি ভাটাপাড়া গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে সফর আলী (৩৫)।
আহতরা হলেন- গাঁতি গ্রামের হামিদুল ইসলাম, রেজাউল করিম, সাহাপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম, ইসলাম গাঁতি গ্রামের ইসমাইল হোসেন, হারেছ আলী, রবিউল ইসলাম ও আব্দুল আজিজ।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি যাত্রী নিয়ে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া থেকে পাবনার টেবুনিয়ায় যাচ্ছিল। সাহাপুর এলাকায় পাবনা থেকে ঈশ্বরদীর দিকে যাওয়া সাব্বির পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে সব যাত্রী গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিমুল ও সফর মারা যান। বাকি সাতজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে কাভার্ডভ্যানে সিএনজির ধাক্কায় ৫ জনের মৃত্যু
নড়াইলে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল তিন যুবকের
৩ মাস আগে
পাবনায় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাবনার আমিনপুরে সিএনজি চালক ইমরান হত্যা মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে পাবনা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা জজ আহসান তারেক এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: ইয়াছিন হত্যাকাণ্ড: এক ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জগনাথপুর গ্রামের আবুল কালাম (৩৫), মোকছেদ আলী (৪৫), মুক্তার হোসেন (৩৫), আপেল মাহমুদ (৪১) ও জাহিদ (৫০)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই সকাল ১০টার দিকে রাতে ইমরানকে ফোন করে সিএনজি ভাড়া নেয় একই গ্রামের জগন্নাথপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম। পরে আবুল কালাম কাশিনাথপুর বাজার থেকে তার সহযোগী চারজনকে তুলে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হত্যা করে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার একদিন পর ১৬ জুলাই আমিনপুর থানা চক কৃষ্ণপুর মুজিব বাঁধের পাশে এলাকাবাসী লাশ দেখতে পেয়ে খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে নিহত ইমরানের বাবা কালু সরদার তার ছেলে ইমরানের লাশ বলে শনাক্ত করেন।
১৬ জুলাই ইমরানের বাবা আমিনপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে মামলার প্রধান আসামি আবুল কালামকে আটক করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়। দীর্ঘ ১০ বছর মামলা পরিচালনা করে বিচারক সাক্ষী শেষে এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সন্তান হত্যার দায়ে মায়ের যাবজ্জীবন
নড়াইলে ২ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
৪ মাস আগে