পরে শেরপুর জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসন খাস জমি বন্দোবস্তসহ সেই পাকা বাড়ি নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করে।
রবিবার দুপুরে নাজিম উদ্দিনকে নতুন ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব।
জেলা প্রশাসক বলেন, নাজিম উদ্দিন সাধারণ ভিক্ষুক হয়েও অসাধারণ কাজ করেছেন। তিনি করোনা তহবিলে নিজের ঘর মেরামতের জমানো অর্থ দান করে যে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন তা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুসারে আমরা আজ জমিসহ নতুন বাড়ি তার নিকট হস্তান্তর করলাম। তার আয়ের জন্য একটি দোকানও করে দেয়া হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান একটি ইজিবাইকও দিয়েছেন। আশা করি তিনি এখন থেকে ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছেও শেরপুরবাসী কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত নাজিমুদ্দিন ও তার পরিবার। তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামন করেন। সেইসাথে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সরাসরি দেখা করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের আকাঙ্খা ব্যক্ত করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তোফায়েল আহমেদ, ঝিনাইগাতীর ইউএনও রুবেল মাহমুদ, উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম ওয়ারেজ নাইম, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান লেবু এবং প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।