অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মো. মিজানুর রহমান। তিনি সদরপুর উপজেলার সতেররশি গ্রামের মৃত মুনছের আলী বেপারীর ছেলে।
সোমবার রাতে সদরপুর থানায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারের উল্লেখ করেন, স্কুলের ওই শিক্ষক বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। এরপর প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সদরপুর উপজেলার পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে মোবাইলে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফারুক হোসেন বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। তার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি প্রমাণিত হলে সরকারি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সদরপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মশিউর রহমান জানান, শিক্ষকের বিরুদ্ধে সদরপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। রাতেই অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ফরিদপুর জেল কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়েছে।
‘ওই শিক্ষকের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য উদঘাটনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।