রবিবার দুপুরে ফরিদপুর ১নং আমলি আদালতের বিচারক মো. ফারুক হোসাইনের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তিনদিনের রিমান্ড শেষে দুপুরে আদালতে বরকত ও রুবেলকে হাজির করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ১ হাজার ২০০ বস্তা চাল ও বিপুল পরিমান বিদেশি মুদ্রা উদ্ধারের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানায় পুলিশ। আদালত শুনানি শেষে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
এর আগে গত ১৮ জুন মাদক মামলায় তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল আদালত।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক বেলাল হোসেন জানান, চারদিনের রিমান্ড রবিবার থেকেই কার্যকর হবে।
গত ৭ জুন পুলিশের হাতে আটকের পরে বরকত ও রুবেলের গাড়ির গ্যারেজ, গোডাউন থেকে ১ হাজার ২০০ বস্তা চাল জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক জাকির হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করছে উপপরিদর্শক কবিরুল হক।
এর আগে প্রথম দফায় অস্ত্র মামলায় বরকত, রুবেলসহ চারজনকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। দ্বিতীয় দফায় সুবল সাহার বাড়িতে হামলার মামলায় বরকত ও রুবেলসহ তিনজনকে আরও পাঁচদিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তৃতীয় দফায় মাদকদ্রব্য আইনে দায়েরকৃত মামলায় তিনদিনের রিমান্ড শেষে রবিবার আদালতে হাজির করে চাল উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের মামলায় চতুর্থ দফায় রিমান্ড আবেদন জানায় পুলিশ।
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলায় ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৭ জুন শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রুবেলসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। পরে রুবেল ও বরকতের দেহ ও বাড়ি তল্লাশি করে ৭ টি আগ্নেয়াস্ত্র, বিদেশি মদ, ইয়াবা, ডলার, ভারতীয় রুপি ও নগদ ২৯ লাখ টাকা এবং ১ হাজার ২০০ বস্তায় ৬০ হাজার কেজি চাল জব্দ করে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।