শুক্রবার ভোর ৪টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক, চাল ব্যবসায়ী ও নারীসহ এ চারজন মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মৃতরা হলেন- বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলা সদরের দক্ষিন শাহপাড়ার মৃত বিভতি বসু কুন্ডুর স্ত্রী দীপা রানী সাহা (৬৫), বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের জোড়া মন্ডলপাড়ায় বাসিন্দা মনসুর আলী (৬৫), বগুড়া শহরের বাদুরতলার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম (৬৫) ও সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ার জিকিড়ার বাসিন্দা নারায়ন চন্দ্র (৮০)।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি হিসেবে আরও একজনের মৃত্যু এবং নতুন করে ৫০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
বগুড়া সদরের বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ (টিএমসি) ও রফাতউল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোর ৪টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দীপা রানী সাহা মারা যান। তিনি গত ৬ জুলাই করোনার উপসর্গ নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তির পর পজিটিভ শনাক্ত হন।
বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে শুক্রবার সকাল ৬টায় চাল ব্যবসায়ী মনসুর আলীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি গত ১৭ জুলাই করোনার উপসর্গ নিয়ে এ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। একই হাসপাতালে শুক্রবার সকাল ১০টায় ডিপজল পরিবহনের টিকিট মাস্টার জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়েছে। তিনি গত ২৫ জুন করোনা শনাক্ত হওয়ার পরে হাসপাতালে ভর্তি হন।
এদিন সকাল সাড়ে ৭টায় মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অবসরপ্রাপ্ত প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র মারা যান। করোনা শনাক্ত হলে তিনি ১৮ জুলাই এ হাসপাতালে ভর্তি হন।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বগুড়া শাখার সমন্বয়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, কোয়ান্টাম সদস্যরা দুজনের মৃতদেহ দাফন ও দুজনের লাশ সৎকারে সহযোগিতা করে।
এদিকে, বগুড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এসময় সুস্থ্ হয়েছেন ১৮৪ জন ও সরকারি হিসাবে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার বগুড়া জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ব্রিফিংয়ে ডা. ফারজানুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ার ৭টি উপজেলায় নতুন করে কেউ করোনায় সংক্রমিত হননি। বগুড়া সদর, দুপচাঁচিয়া, শাজাহানপুর, নন্দীগ্রাম ও শেরপুরে মোট ৫০ জন শনাক্ত হয়েছেন।
বগুড়ায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ৪৪২০ জন এবং মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১ জনে।