শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কের পোড়ার দোকান ডাইভারশনের বেইলি ব্রিজের দক্ষিণ পাশের মাটি বন্যার পানির তোড়ে ধসে গিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় শেরপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ২৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। যেকোনো মুহূর্তে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পুরাতন ভাঙনের অংশগুলো দিয়ে বন্যার পানি ডুকে শেরপুরে চরা লের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। ফলে সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী, চরমোচারিয়া, কামারেরচর, বেতমারি-ঘুঘুরাকান্দি, লছমনপুর, রৌহা ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া পাহাড়ি ঢলে সদরের গাজীর খামার ও নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে বীজতলা, সবজির আবাদ ও খেতের ফসল।
পোড়ার দোকান এলাকার বাসিন্দা সামেদুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে বন্যার পানি এসে বীজতলা, আবাদি জমি সব তলিয়ে গেছে। ব্রিজের মাটি সরে সড়কের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে।
হরিণধরা গ্রামের ক্ষুদ্র কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ৫ শতাংশ জমিতে আমন বীজতলা করেছিলাম। বন্যার পানিতে সব তলিয়ে গেছে। বন্যার পানি নেমে গেলেও সরকার থেকে সহায়তা না দিলে আবাদ করা সম্ভব হবে না।
শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পিকন কুমার সাহা জানান, বন্যায় শেরপুর সদরে ১০০ হেক্টর জমির আমন বীজতলা ও ২০ হেক্টর জমির সবজির আবাদ পানিতে ডুবে গেছে।
শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন বলেন, বন্যার কারণে শেরপুর-জামালপুর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বন্যাকবলিত কামারেরচর ও চরপক্ষিমারী ইউনিয়নের জন্য ৬ মেট্রিক টন করে ১২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।