রবিবার রাতে বরগুনা পৌর শহরের আল রাজি ক্লিনিক, ডক্টরস কেয়ার হাসপাতাল এন্ড ক্লিনিক ও সেন্ট্রাল হাসপাতাল ক্লিনিকসহ বেশ কয়েকটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কথা বলে বিকাশের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা করে চাওয়া হয়। কিছু কিছু জায়গা থেকে টাকা দেয়া হলেও পুনরায় আবার টাকা দাবি করায় বিষয়টি সন্দেহের সৃষ্টি করে। এরপর ক্লিনিকের মালিকরা বিষয়টি জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহকে জানালে তিনি জেলা প্রশাসন থেকে এ রকম কিছু চাওয়া হয়নি বলে জানান।
এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে ডক্টরস কেয়ার ও আল রার মালিক পক্ষ বরগুনা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
আল-রাজির পরিচালক ডা. মাহমুদা লিলি বলেন, রবিবার রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কথা বলে জেলা প্রশাসক পরিচয়ে ফোন দিয়ে টাকা দাবি করা হয়। এরপর ০১৭৯৭৭৭০০৩১ নম্বর থেকে ফোন করে বিকাশ করার জন্য একটি নম্বর দেয়া হয় (০১৭৭৮৫৪৮৮৭৫)। সেখানে প্রথমে ১৫ হাজার টাকা পাঠানো হলে পুনরায় বাকি টাকা পাঠানোর জন্য (০১৭৭৬৬২৯৬০২) নম্বর দিয়ে মোবাইল করা হয়। কিন্তু বাকি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানো হলে হুমকি দেও=য়া হয়।
ডক্টরস কেয়ারের পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘রবিবার সন্ধ্যার পর ০১৭৯৭৭৭০০৩১ নম্বর থেকে মোবাইলে বলা হয়, আমি ডিসি মোস্তাইন বিল্লাহ বলছি। আপনার ক্লিনিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত যাচ্ছে। আদালতে আপনার জরিমানা ও সাজা হতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয় আপনাকে একটি বিকাশ নাম্বার দিচ্ছি, সেখানে ২ লাখ টাকা বিকাশ করুন তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালত যাবে না।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মাদ হোসেন বলেন, ‘দুটি ক্লিনিকের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। আমাদের ধারণা কোনো সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র করোনার এ মহামারির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে। এ প্রতারক চক্রকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। প্রয়োজনীয় আইনগত সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে কোনো প্রচারক চক্র এ কাজটি করেছে বলে আমরা ধারণা করছি। বিষয়টি নিয়ে ক্লিনিক মালিকসহ সবাইকে সতর্ক অবস্থায় থাকার জন্য বলেছি।’
প্রচারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।