বরিশালে কীর্তনখোলা নদীতে নোঙর করা অয়েল ট্যাংকার এমটি ইবাদি-১ এর ইঞ্জিনরুমের বিস্ফোরণে নিখোঁজ আবুল কাশেমের সন্ধান মেলেনি।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় এই তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বরিশালের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বেলাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকালে বিস্ফোরণের পর থেকে কাশেম নিখোঁজ রয়েছেন। ঘটনার সময় তিন কর্মচারী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন। তাই কাশেমকে উদ্ধারে নদীতে ডুবুরি নামিয়ে সন্ধান চালানো হয়েছে। ঘটনাস্থল ইঞ্জিনরুমেও খোঁজ করেছি, কোথাও তাকে পাইনি। তার সন্ধানে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।’
উল্লেখ্য, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিডেট বরিশাল ডিপোর জন্য চট্টগ্রাম থেকে তিনদিন আগে কীর্তনখোলা নদীতে আসে জাহাজটি। এতে ১৩ লাখ লিটার অকটেন, পেট্রোল ও ডিজেল ভর্তি ছিল। সেই তেল উত্তোলনের জন্য ইঞ্জিন চালু করলে এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানিয়েছেন জাহাজের কর্মচারীরা।
এই ঘটনায় স্বাধীন (২২) ও বাবুল কান্তি দাস (৬৪) নিহত হয়েছেন।
আহত অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে কর্মচারী কুতুব উদ্দিন, মো. রুবেল ও কামাল হোসেনকে। নিখোঁজ রয়েছেন আবুল কাশেম।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের প্রাথমিক ধারণা- জাহাজের ইঞ্জিনরুমের এয়ারকম্প্রেসার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
বরিশাল জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। নিহতদের দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনা কী কারণে ঘটলো তা তদন্ত করে দেখবে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: বরিশালে তেল ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ২