বাগেরহাটে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার শতকরা ৫৩.৩৯ শতাংশ। বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত জেলায় ১০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৫ জনের করোনা শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এনিয়ে জেলায় এপর্যন্ত করোনা শনাক্তের সংখ্যা সাত হাজার ২৬৩ জন। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলায় মারা গেছে ১৪৪ জন।
তবে বাগেরহাটে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও হাসপাতালগুলোতে বাড়েনি করোনা রোগীদের ভিড়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাগেরহাট জেলায় করোনা আক্রান্ত সাত জন রোগী হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকিরা বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যু ১৫, শনাক্তের হার ৩১.৯৮
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। একারণে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ১৩৫টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে চিকিৎসক এবং নার্সরা প্রস্তুত রয়েছেন। জেলা সদর হাসপাতালে ৩৫টি এবং কচুয়া, রামপাল, শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, মোংলা, ফকিরহাট, মোল্লাহাট ও চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০টি করে শয্যা প্রস্তত রাখা হয়েছে। এছাড়া বাগেরহাট সদর হাসপতালে আগামি মাসে তিনটি আইসিউ শয্যা যুক্ত হবে।
এদিকে বাগেরহাটে হাট-বাজার,ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শপিংমহল এবং গণপরিবহনসহ সর্বত্রই নানা ভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানতে চাইছে না। সরকারি নির্দেশনা কঠোর ভাবে মানতে বিধিনিষেধ জারি করা হলেও সেই নির্দেশনা মানার বালাই নেই।
স্বাস্থ্যবিধি পালন জোরদার করতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত জেলায় প্রতিদিন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছে।
অপর দিকে বাগেরহাটে করোনার ভ্যাকসিন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাগেরহাট সদর হাসপাতাল কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে বুথগুলোতে ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষের উপচে পড়া ভিড়। জেলার ৯টি উপজেলায় ২৪টি বুথে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলছে। প্রতিদিন ১২ হাজারের উপরে মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে জেলায়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা শনাক্তের হার ৫৬ শতাংশ!