বান্ধবীর আমন্ত্রণে ময়মনসিংহের তরুণী (২৩) সিলেটে ঘুরতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় দম্পতিসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। গত ১৯ আগস্ট শুক্রবার থেকে ২১ আগস্ট রবিবার পর্যন্ত সিলেট শহরতলীর নাজিরেরগাঁওয়ের একটি বাড়িতে এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে জালালাবাদ থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় মামলা হয়। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখসহ সাত জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:শিক্ষিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সিলেট সুনামগঞ্জের জেলার মেরুয়াখলা গ্রামের বাসিন্দা জুবায়ের হোসেন (২৮), তার স্ত্রী জুলেখা ওরফে জুলি (১৯), নাজিরেরগাঁও গ্রামের আব্দুল মছব্বিরের ছেলে জয়নাল মিয়া (৪০)।
গ্রেপ্তারদের একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্য দুজনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে জুলেখার সঙ্গে পরিচয়, বন্ধুত্ব হয় ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর। স্বামী পরিত্যক্তা ওই তরুণীর বাড়ি ময়মনসিংহে। তিনি ঢাকার আজিমপুরে থাকেন। বান্ধবীর আমন্ত্রণে সিলেটে আসেন। এরপর আমন্ত্রণকারী বান্ধবীর সহযোগিতায় ধর্ষণের শিকার হন।
ওসি আরও বলেন, ‘শুক্রবার রাত ৯টা থেকে রবিবার দিবাগত রাত প্রায় ৩টা পর্যন্ত নাজিরেরগাঁওয়ের জুবায়ের হোসেনের স্ত্রী জুলেখার ঘরে ভুক্তভোগীকে আটকে রাখা হয়। শনিবার রাত ও রবিবার রাতে দুই দফায় সাতজন তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এর সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেন জুলেখা।’
এ ঘটনায় মহানগর পুলিশের (এসএমপি) উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘ভুক্তভোগীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়াদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
এর মধ্যে জুবায়ের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি দুজনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।