সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছে পদ্মা ও সেতু। একাই রয়ে গেল শুধু স্বপ্ন। একদিনের ব্যবধানে একে একে দুই বোনের বিদায়ে একা হয়ে পড়েছে সে।
দিনাজপুরের বিরামপুরের বিনাইল ইউনিয়নের কৃষ্টবাটি গ্রামে সাদিয়া-জাহিদুল ইসলাম দম্পতির কোলজুড়ে এসেছিল তিন মেয়ে। আদর করে তাদের নাম দেয়া হয়ে়ছিল দেশের বৃহৎ সেতুর সঙ্গে মিল রেখে ‘স্বপ্ন’, ‘পদ্মা’ ও ‘সেতু’।
জন্মের ছয়দিন পরে ২৩ জুলাই, শনিবার দুই বোন স্বপ্ন এবং সেতুকে রেখে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে যায় ‘পদ্মা’ নামের এক বোন। একদিন পর ২৪ জুলাই, রবিবার পদ্মার পথ ধরে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যায় আরেক বোন সেতু। পদ্মার পর সেতুর বিদায়ে একা হয়ে পড়েছে স্বপ্ন। গত ১৮ জুলাই মায়ের কোলজুড়ে একসঙ্গে জন্ম নিয়েছিল তিন বোন স্বপ্ন, পদ্মা, সেতু।
রবিবার রাত সোয়া ৯টায় পদ্মা এবং আগের দিন শনিবার বিকালে প্রথমে মারা যায় পদ্মা। জন্মের পর তিনজনকেই সুস্থ বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। উন্নত চিকিৎসা এবং পরীক্ষা নিরীক্ষাও করা হয়েছিল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে বিদায় নিয়েছে দুই বোন পদ্মা ও সেতু।
এক সঙ্গে তিন সন্তানের জনক জাহিদুল ইসলাম জানান, পর পর দুই মেয়ের হঠাৎ মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না তারা। এখন স্বপ্নকে টিকিয়ে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। তিন সন্তানের ছবি এখন শুধুই স্মৃতি।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগের কাজ শুরু: মন্ত্রী