স্বপ্ন
পলিথিন নিষিদ্ধের পক্ষে ক্রেতারা, বিকল্প নিয়ে শঙ্কা
পলিথিন ব্যাগের ওপর সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন জানিয়েছেন সুপারমার্কেটের গ্রাহকরা। তবে এর বিকল্প হিসেবে যেসব শপিং ব্যাগ ব্যবহার করতে হয় সেগুলোর জন্য তাদের ব্যয় বেড়েছে বলে জানালেন ক্রেতারা।
তারা মনে করেন, সুপারমার্কেটগুলোতে ছোট পণ্যের জন্য স্বল্পমূল্যের পরিবেশবান্ধব শপিং ব্যাগ বা বিনামূল্যের শপিং ব্যাগ সরবরাহ করা উচিত।
সুপারমার্কেটের কর্মীরাও জানান, তাদের বেশিরভাগ ভোক্তা পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করার পদক্ষেপকে প্রশংসা করেছেন। তবে স্বল্পসংখ্যক ক্রেতা শপিং ব্যাগের জন্য বাড়তি অর্থ দেওয়ার ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, দেশে পর্যায়ক্রমে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে ১ অক্টোবর থেকে সুপার শপগুলোতে 'নো মোর পলিথিন ব্যাগ' নীতিমালা চালু করেছে সরকার।
এই নিষেধাজ্ঞা চালুর পর দিন ২ অক্টোবর শেওড়াপাড়ায় স্বপ্নের আউটলেটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতাদের বিভিন্ন দামে বিভিন্ন ধরনের পরিবেশবান্ধব শপিং ব্যাগ দিচ্ছেন তারা।
সেখানে কেনাকাটা করতে আসা শাহিনা সুলতানা বলেন, 'সুপারমার্কেটে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি কিন্তু নন-পলিথিন ব্যাগের দাম কিছুটা বেশি, যে কারণে আমাদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে।’
বেসরকারি সংস্থা আরটিএম ইন্টারন্যাশনালের কর্মরত শাহিনা মনে করেন, সুপারমার্কেটগুলোতে ছোট পণ্যের জন্য স্বল্পমূল্যের শপিং ব্যাগ বা বিনামূল্যে শপিং ব্যাগ সরবরাহ করা উচিত, না হলে ক্রেতারা মুদি দোকান থেকেই কেনাকাটা করবে।
আউটলেটে আসা আরেক ক্রেতা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পীযূষ চন্দ্র শীল বলেন, পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করা সঠিক সিদ্ধান্ত। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে আমরা এটাকে স্বাগত জানাচ্ছি।
স্বপ্ন আউটলেটের ব্যবস্থাপক শাওন ইসলাম জানান, তারা ৬ টাকা থেকে ১৬ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন দামে শপিং ব্যাগগুলো দিচ্ছেন। বেশিরভাগ ক্রেতা স্বেচ্ছায় পরিবেশবান্ধব ব্যাগ কিনলেও কেউ কেউ বলছেন, শপিং ব্যাগের জন্য বাড়তি অর্থ দিতে রাজি নন তারা।
তিনি আরও বলেন, ‘আউটলেটে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধের নীতিমালা বাস্তবায়নের পর আমরা বড় ধরনের কোনো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি না। এখন আমাদের গ্রাহকদের ছোট একটি অংশকে পরিবেশবান্ধব শপিং ব্যাগ কেনার ব্যাপারে রাজি করাতে হবে।’
চাল, মাছ ও ডালসহ বেশকিছু পণ্যের সঙ্গে তারা বিনামূল্যে কাগজের ব্যাগ সরবরাহ করেন বলে জানান শাওন ইসলাম।
শেওড়াপাড়ার আগোরার আউটলেটে কেনাকাটা করতে আসা সাদাত রাসেল বলেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় পলিথিন ব্যাগ ২০-২৫ বছর আগেই নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল।
এই বেসরকারি চাকরিজীবী আরও বলেন, ‘এটি একটি ভালো উদ্যোগ। আমরা শপিং ব্যাগের জন্য অর্থ দিতে রাজি। পরিবেশ রক্ষায় আমাদের নন-ডিসপোজেবল পলিথিন ও প্লাস্টিক পরিষ্কার করতে হবে। তাছাড়া এসব জিনিস স্বাস্থ্যসম্মত নয়।’
আগোরা আউটলেটের ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন জীবন বলেন, টাকা দিয়ে শপিং ব্যাগ কেনায় অভ্যস্ত হতে ক্রেতাদের আরও সময় লাগবে। সবক্ষেত্রে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলে পরিবেশবান্ধব শপিং ব্যাগের মূল্য পরিশোধে জনগণের মধ্যে ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে উঠবে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, ১ অক্টোবর থেকে দেশের সব সুপারশপে পলিথিন ও পলি-প্রোপিলিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে।
পরে গত মঙ্গলবার পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, দেশে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করতে সরকার পলিথিনের উৎপাদন, মজুদ, পরিবহন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে।
আগামী ১ নভেম্বর থেকে দেশের সব কাঁচাবাজারে দেশব্যাপী পলিথিনবিরোধী অভিযান শুরু হবে।
১ মাস আগে
বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ যথেষ্ট এগিয়েছে। তাই বাংলাদেশ রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘বেগম রোকেয়া যেমন বলেছিলেন আমাদের নারীরা যাতে স্বাবলম্বী হতে পারে এবং নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে- সেজন্য আমরা সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছি। তিনি (রোকেয়া) বলেছিলেন, যেদিন নারীরা জজ-ব্যারিস্টার হবেন সেদিনই তার স্বপ্ন পূরণ হবে। সে ক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট এগিয়েছি।’
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৩ উদযাপন ও বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিশিষ্ট ৫ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক ২০২৩ তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক উন্নত দেশ এখনো একজন নারীকে সরকার প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করতে পারেনি। আজ পর্যন্ত সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশেও একজন নারী প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি।
রোকেয়ার স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশেই আমরা তার প্রত্যাশা অনেকটাই পূরণ করতে পেরেছি।’
বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সমাজ, নারী শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের জন্য ৫ জন নারীকে বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জ সফরে নির্বাচনী আচরণবিধি রক্ষা করেছেন প্রধানমন্ত্রী
পদক গ্রহীতা ৫ জন হলেন- নারী শিক্ষার জন্য বগুড়ার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রথম নারী উপাচার্য অধ্যাপক খালেদা একরাম (মরণোত্তর); নারী অধিকারের জন্য রংপুরের প্রখ্যাত প্রজনন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. হালিদা হানুম আক্তার; নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদানের জন্য নেত্রকোণার কামরুন্নেসা আশরাফ দিনা (মরণোত্তর); পল্লী উন্নয়নের জন্য ঠাকুরগাঁওয়ের রণিতা বালা এবং লক্ষ্মীপুরের নিশাত মজুমদার (পর্বতারোহী)।
অনুষ্ঠানে পদক গ্রহীতাদের পক্ষ থেকে নিশাত মজুমদার তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর
১১ মাস আগে
আকাশে ওড়ার স্বপ্ন পূরণ হলো জুনায়েদের
নিরাপত্তাকর্মীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বিমানের আসন পর্যন্ত যেতে পারলেও আকাশ থেকে পাখির চোখে পৃথিবী দেখার সুযোগ হয়নি শিশু জুনায়েদের। অবশেষ জুনায়েদ ঢাকা থেকে বিমানে উড়ে কক্সবাজারে এসেছে। এতে আকাশে উড়ার স্বপ্ন পূরণ হলো জুনায়েদের । শুধু তাই নয় কক্সবাজার পর্যটন এলাকায় ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ হয়েছে। আর এই সুযোগ করে দিয়েছে ওয়ালটন গ্রুপ।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে একটি ফ্লাইটে ঢাকা আন্তর্জাতিক শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় জুনায়েদ মোল্লা। এরপর কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে রাখা হয় তাকে।
জুনায়েদ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের পারইহাটি গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী ইমরান মোল্লার ছেলে।
জুনায়েদ বলে, ‘নিরাপত্তা পেরিয়ে বিমানে উঠতে পারলেও বিমানে চড়ার স্বপ্নটি থেকে গেল। অবশেষে আমার সেই স্বপ্নটি পূরণ করেছে ওয়ালটন। তারা ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বিমানে করে নিয়ে আসল। আমার খুবই ভালো লেগেছে। এজন্য আমি ওয়ালটনের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল: ৭ অক্টোবর উদ্বোধনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ
জুনায়েদের চাচা ইউসুফ মোল্লা বলেন, ‘আমার ভাতিজার কারণে আমিও জীবনে প্রথম বিমানে চড়তে পারলাম। ওয়ালটন আমাদের ঢাকা থেকে কক্সবাজার নিয়ে আসল। আমার ভাতিজা জুনায়েদের স্বপ্ন পূরণ হলো সেটা ছাড়াও যে নিরাপত্তাকর্মীদের চাকরি চলে গেল, তাদের চাকরি যেন তারা ফিরে পায়। সরকারের কাছে এই আবেদন জানাই।’
১১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নিরাপত্তাবেষ্টনী পেরিয়ে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ওঠে পড়েছিল শিশু জুনায়েদ। পাসপোর্ট কিংবা বোর্ডিং পাস ছাড়াই ১৪টি নিরাপত্তা স্তর ফাঁকি দিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে উঠে প্রায় ঘণ্টা খানেক বসে থাকে জুনায়েদ। কেবিন ক্রু তাকে সিটে বসতে দিলেও পরে তার কাছে ভিসা-পাসপোর্ট পাওয়া না গেলে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি তাকে বিমান থেকে নামিয়ে পুলিশের জিম্মায় দেয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ফাঁকি দিয়ে বিমানে শিশু: ১০ কর্মকর্তা বরখাস্ত
১ বছর আগে
স্বপ্নতে আলু, পেঁয়াজ ও চিনিতে বিশেষ ছাড়
ঢাকা, কুমিল্লা, সিলেট ও চট্টগ্রামের গ্রাহকদের জন্য আলু, দেশি পেঁয়াজ, চিনিতে বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে সুপারশপ স্বপ্ন। ১১ ও ১২ জুলাই এই দুই দিন পণ্য বিক্রির ঘোষণা নিয়ে এলে।
ঢাকা ও কুমিল্লার গ্রাহকদের জন্য থাকছে প্রতি কেজি আলু ৪৪ টাকায় (খোলা বাজারে যা ৪৮ টাকা প্রতি কেজিতে), বিশেষ ছাড়ে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৬ টাকায় (যা খোলা বাজারে ৭০-৭৫ টাকা প্রতি কেজিতে), চিনি (খোলা) স্বপ্নতে প্রতি কেজি বিক্রি হবে ১৩৬ টাকায় (বাজারে যা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়)।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে এক কোটি নিম্ন-আয়ের পরিবারের কাছে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি শুরু আজ
অন্যদিকে চট্টগ্রাম আউটলেটের জন্য প্রতি কেজি আলু ৪৭ টাকায় (খোলা বাজারে যা ৫০ টাকা প্রতি কেজিতে), বিশেষ ছাড়ে আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫৭ টাকায় (যা খোলা বাজারে ৬০ টাকা প্রতি কেজিতে), চিনি (খোলা) প্রতি কেজি বিক্রি হবে ১৩৬ টাকায় (বাজারে যা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়)।
সবশেষ সিলেটের স্বপ্ন গ্রাহকদের জন্য থাকছে বিশেষ ছাড়। প্রতি কেজি আলু ৪০ টাকায় (খোলা বাজারে যা ৪২ টাকা প্রতি কেজিতে), বিশেষ ছাড়ে আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৭ টাকায় (যা খোলা বাজারে ৪৯-৫০ টাকায় প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে)।
আরও পড়ুন: রমজানকে সামনে রেখে টিসিবির ৫টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু
১ কোটি পরিবারের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে পণ্য বিক্রি শুরু টিসিবির
১ বছর আগে
শৈবাল: সুন্দরবন উপকূলে স্বপ্ন দেখাচ্ছে কৃষকদের
সামুদ্রিক শৈবাল বাণিজ্যিক চাষের সম্ভাব্যতা যাছাই চলছে। সফলতাও পেয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। এতে নতুন আয়ের পথ সৃষ্টি হয়েছে সুন্দরবন উপকূলে। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ সংলগ্ন খুলনার কয়রায় ও সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সামুদ্রিক শৈবাল চাষের সম্ভাব্যতা যাচাই করে সফলতা পায় সরকারের কৃষির উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা সংস্থাটি।
বর্তমানে সামুদ্রিক শৈবালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারেও। ফলে সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় চাষ সম্প্রসারণ করার পাশাপাশি বাজারজাতের ব্যবস্থা করতে পারলে নতুন আয়ের দুয়ার খুলবে।
শ্যামনগর উপজেলার দাতিনাখালীর মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রায় দু’বছর আগে প্রশিক্ষণ দেয়ার পরে বীজ দিয়েছিল। এখানে আমরা ৩০ জন চাষ করি। তেমন কোন কষ্ট নেই। মাঝেমধ্যে রশিতে আবর্জনা বাধলে ছাড়িয়ে দিতে হয়। দুই রকম বীজ দিয়েছিল। এর মধ্যে বারি ১ খুব ভালো হয়।
তিনি আরও বলেন, শৈবাল কাঁচা অবস্থায় আমাদের কাছ থেকে স্যারেরা প্রতি কেজি ১২০ টাকা দরে কিনে নেয়। আমি এ পর্যন্ত ১০ হাজার টাকার শৈবাল বিক্রি করেছি। বড় আকারে চাষ করতে পারলে তেমন কোনো পরিশ্রম ছাড়াই বেশ আয় যোগ করা যাবে।
আরও পড়ুন: শাবি অধ্যাপকের উদ্ভাবন: স্থলজ পরিবেশে হবে সামুদ্রিক শৈবাল
খুলনার কয়রা উপজেলার টেপাখালী গ্রামের বাসন্তী মুন্ডার বলেন, নোনা পানির মাছের ঘেরের মধ্যে রশি টানিয়ে শৈবালের বীজ বেঁধে রেখে দেই। এই শৈবাল পানি থেকে সরাসরি পুষ্টি নিয়ে বাড়ে। এদের কোনো মূল, কাণ্ড, পাতা, ফুল বা ফল হয় না। এটা দেখতে সেমাইয়ের মত।
তিনি বলেন, সরেজমিন কৃষি গবেষণা বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি বীজসহ যাবতীয় উপকরণের ব্যবস্থা করেছে।
একই উপজেলার ছয় নং কয়রা গ্রামের গোলাম মোস্তফাও মৎস্য ঘেরের মধ্যেও একইভাবে শৈবাল চাষ করছেন।
তিনি বলেন, পানির এক ফুট নিচ দিয়ে শক্ত রশি টানটান করে টানানো হয়েছে, বাঁশের সঙ্গে রশি বাঁধা রয়েছে। সেই রশিতে ১৫ সেন্টিমিটার পরপর শৈবালের বীজ বেঁধে দেয়া হয়। কোনো পরিচর্যা ছাড়াই বড় হয়। পরে আমাদের কাছ থেকে স্যারেরা নিয়ে যাচ্ছে। শুনেছি এগুলো অনেক কাজে লাগে, মানুষেও খায়।
পরীক্ষামূলক সামুদ্রিক শৈবাল চাষ চলছে সুন্দরবন উপকূলীয় শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জের পালবাড়িওতে। সুন্দরবন উপকূলের প্রায় শতাধিক চাষির ঘেরের নোনাপানির নিচে রশিতে দুলছে নতুন স্বপ্ন।
সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, কয়রার (এমএলটি সাইট) সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জাহিদ হাসান বলেন, কৃষকদের উৎপাদন ভালো হচ্ছে। যা উৎপাদন হচ্ছে সেটা শুকিয়ে রেখে দেয়া হচ্ছে। বাজারজাতের ব্যবস্থা করতে পারলে কৃষকরা আরও আগ্রহী হবে এবং লাভবান হবে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. দেবেষ দাস (উবনবংয উধং) বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ল্যাবরেটরির আওতায় স্বল্প পরিসরে একটি গবেষণা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এখনও ফলাফল পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, সামুদ্রিক শৈবাল মানুষের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এটি গুড়া করে হারবাল পণ্য হিসেবে মানুষ ব্যবহার করতে পারে। প্রসাধনী তৈরিতেও এটির গুরুত্ব রয়েছে। এছাড়া কৃষিক্ষেত্রে এটির ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে। শুকিয়ে পাউডার হিসেবে মাটিতে ব্যবহার করলে মাটির পুষ্টি ধারণ ও পানি শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, লবণাক্ততার প্রভাব কমাবে।
এছাড়া ক্ষতিকর ব্যাকটোরিয়া যেগুলো ফসলে রোগ সৃষ্টি করে সেটা নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে।
আরও পড়ুন: রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে দেশের সবচেয়ে বড় শিমুল বাগান
১ বছর আগে
ভোলায় সরিষা আবাদে লাভের স্বপ্ন দেখছে কৃষক
কৃষি কাজ করেই চলে মো. তাজুল ইসলামের সংসার। তিনি এখন অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। তার দিগন্তজোড়া সরিষাখেতে দুলছে থোকায় থোকায় সরিষা। আর কিছুদিন পরই খেতের সরিষা ঘরে তুলবেন তিনি।
কৃষি বিভাগ থেকে সরকারিভাবে দুই কেজি বীজ পেয়েছেন এবং আরও দুই কেজি কিনে এ বছর দেড় একর জমিতে অগ্রহায়ণ মাসে সরিষা আবাদ করেন।
আরও পড়ুন: সরিষা ফুলের হলুদ হাসিতে রঙিন যশোরে দিগন্তজোড়া মাঠ
এতে তার প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সরিষার ফলন ভালো হওয়ায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন। তার আশা বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন। এমন প্রত্যাশার কথাই জানিয়েছেন ভোলা সদর উপজেলার হাজির হাট বুড়ি মসজিদ সংলগ্ন এলাকার কৃষক মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, গত বছর সরিষা আবাদ করে খুব অল্প সময়ে তার ৩৫ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। তাই এ বছর আবারও সরিষার আবাদ করেছেন। আগামী বছর তিনি আশা করছেন দুই একর জমিতে আবাদ করবেন। তার মতো এলাকার আবদুল খালেকসহ বহু কৃষক সরিষার আবাদ করেছেন। কাঁচা সরিষা ফুলের মন জুড়ানো দৃশ্যে যেমন হাসি ফুটেছিল কৃষকের মুখে, তেমনি ভালো ফলন আসায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়ায় কৃষকরা এখন সরিষা আবাদের দিকে ঝুঁকছেন।
কৃষি বিভাগের মতে, ভোলা জেলার সাত উপজেলায় চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। সয়াবিন তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এ বছর জেলায় সরিষার আবাদ বৃদ্ধি করতে ১০ হাজার দুইশ’কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত মৌসুমে ভোলা জেলায় পাঁচ হাজার আট শত হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়। আর উৎপাদন হয়েছিল আট হাজার ১২০ মেট্রিকটন।
লাভজনক ফসল হওয়ায় এ বছর প্রায় ২৮ হাজার কৃষক সরিষা আবাদ করেছে। এ বছর সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ হাজার আটশ’হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ৬৭ হেক্টর জমিতে।
কৃষকরা জানায়, ভোলা জেলায় সাধারণত বারি-১৪, বারি-১৫, বারি-১৬, বারি-১৭, বারি-১৮, বিনা সরিষা-৯, বিনা সরিষা-৪ জাতের আবাদ বেশি করা হয়।
আমন ও বোরো ধানের মাঝামাঝি সময়ে চাষ হওয়া সরিষা জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। সরিষার পাতা থেকে সৃষ্ট জৈব সার ধানের পুষ্টি জোগান দেয়। বীজ রোপণের পর থেকে সর্বোচ্চ ৮০-৯০ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে তোলা যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে সরিষার বাম্পার ফলন
প্রথম দিকে আগাছা পরিষ্কারের কাজ ছাড়া তেমন পরিশ্রমও হয় না সরিষা চাষে। তাই স্বল্প সময়ে চাষ সম্ভব বলে অনেক চাষিই সরিষায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
ভোলার পূর্ব ইলিশার গুপ্ত মুন্সি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পারভেজ মিজি তার সরিষা খেতে শেষ সময়ের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
তিনি জানান, তিনি গত ৮/১০ বছর ধরে সরিষা আবাদ করছেন। এ বছর ৬ গন্ডা জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন। পাঁচ মণ সরিষা হয়েছে। তিনি ১৮ হাজার টাকায় বিক্রিও করেছেন। তার ১০/১২ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।
১ বছর আগে
শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখান না,স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন: পার্বত্যমন্ত্রী
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখান না, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পার্বত্য তিন জেলায় ১০ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পরিকল্পনা বিভাগে আরও এক হাজার কোটি টাকার বিদ্যুৎ প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। তা অনুমোদিত হলে পার্বত্য অঞ্চলের অধিকাংশ বিদ্যুৎবিহীন এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে।
শুক্রবার রাঙ্গামাটি জেলার সদর উপজেলাধীন বালুখালী ইউনিয়নের মরিশ্যা বিল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দুর্গম এলাকার ৬৩৯ সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সোলার হোম প্যানেল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি নির্দেশ যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে,যার প্রমাণ দেশবাসী দেখতে পাচ্ছে। সবকিছুই দৃশ্যমান। আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করে পার্বত্য তিন জেলায় উন্নয়নের ধারাকে গতিশীল রাখার জন্য সকলের সহযোগিতা চান পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান নুরুল আলম চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য-প্রশাসন ইফতেখার আহমেদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য-বাস্তবায়ন ও প্রকল্প পরিচালক মো. হারুন-অর-রশিদ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমা বিনতে আমীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় বসবাসরত ৪০ হাজার অনগ্রসর দরিদ্র পরিবারের মাঝে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আজ ৬৩৯ পরিবারের ঘরে সৌর বিদ্যুতের আলো পৌঁছে যাবে। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কাপ্তাই উপজেলাধীন দুর্গম ওয়াগ্গা ইউনিয়নের ১১৫টি পরিবার সোলার প্যানেলের আলো ভোগ করা শুরু করেছে। পার্বত্য অঞ্চলের ছেলেমেয়েরা যাতে আলো,বাতাস পায় সে ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সোলার প্যানেল বিদ্যুৎ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এর জন্য কাউকে কোনো টাকা পয়সা দিতে হবে না।
তিনি এলাকাবাসী ও উপকারভোগীদের উদ্দেশে বলেন, যদি কেউ সোলার প্যানেল নিতে টাকা পয়সা চায়, তাহলে তাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিবেন না হয়,আমাকে সরাসরি ফোন দিবেন।
পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, প্রথম পর্যায়ে বিদ্যুতের আলো বঞ্চিত ১১ হাজার পরিবারকে সোলার হোম সিস্টেম বিতরণ ও স্থাপন করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৩১ হাজার সোলার হোম প্যানেল বিতরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৯ হাজার সোলার হোম সিস্টেম চলতি বছরের মধ্যে বিতরণ ও স্থাপন কাজ শেষ হবে।
মন্ত্রী বলেন, এই সোলার প্যানেল সঠিকভাবে ব্যবহার করলে অন্তত ২০ বছর পর্যন্ত প্রত্যেকটি পরিবার বিনামূল্যে বিদ্যুতের আলো,ফ্যান ও মোবাইল চার্জারের সুবিধা পাবেন।
তিনি আরও বলেন,উপকারভোগীদের সোলার প্যানেলের ব্যবহারবিধি ভালোভাবে জানার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী প্রত্যেক উপকারভোগীকে নগদ আরও ৬৫০ টাকা করে দেয়া হবে বলে জানান পার্বত্য মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে দুই বছর লাগতে পারে: বীর বাহাদুর উশৈ সিং
মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং এমপি পার্বত্য শান্তি চুক্তির ইস্যু টেনে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো একটি গুলি খরচ না করে, হানাহানি না ঘটিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের বিরাজমান সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক ইস্যুতে সমাধান করেছেন।
তিনি বলেন,অতীতের ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনামল, ২৩ বছরের পাকিস্তানের শাসনামল এবং বাংলাদেশের ৫১ বছরের শাসনামলে কোনো সরকারই মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে নাই। সেইসময়ে বয়স্ক মানুষ, বিধবা ও প্রতিবন্ধী সবই ছিল কিন্তু কোনো সরকারই ওই সমস্ত অসহায়, গরিব ও দুঃখী মানুষকে কোনো প্রকার ভাতা বা আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে নাই।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই এসমস্ত গরিব, দুঃখী, অসহায় মানুষের জন্য বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতার ব্যবস্থা করেছেন।
সরকারের উন্নয়ন চিত্র জনগণের কাছে তুলে ধরে মন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে পার্বত্য তিন জেলায় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, খিয়াম, গীর্জা, মসজিদ, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, বিদ্যুৎ, মানুষের জীবন মান উন্নয়ন সব কিছু হয়েছে।
মন্ত্রী বীর বাহাদুর দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, এ সরকারের মেয়াদকালের মধ্যেই পার্বত্য অঞ্চলের ১৪৪টি বিদ্যালয়কে সরকারীকরণের আওতায় আনা হবে।
মন্ত্রী বীর বাহাদুর বালুখালী সোলার প্যানেল হোম সিস্টেম বিতরণ শেষে নানিয়ারচর উপজেলাধীন বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ এর সমাধীস্থল পরিদর্শন করেন।
তিনি বীরশ্রেষ্ঠ শহীদের সমাধীস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। স্মৃতিস্তম্ভে দাঁড়িয়ে তিনি কিছু সময় নিরবতা পালন করেন এবং বীরশ্রেষ্ঠ শহীদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর প্রতি প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক: উশৈ সিং
১ বছর আগে
স্বপ্নার স্বপ্ন পূরণ, গর্বিত এলাকাবাসী
রংপুর শহর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিণী ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের পালিচড়া গ্রামটি এখন পরিচিত হয়ে উঠেছে ফুটবলকন্যাদের হাত ধরে।
এক অজপাড়াগাঁ থেকে জাতীয় নারী ফুটবল দলসহ অনূর্ধ্বভিত্তিক দল ও বিভিন্ন ক্লাবে খেলছেন এখানকার মেয়েরা।
এদেরই একজন সিরাত জাহান স্বপ্না। তার ধুলোমাখা শৈশব আর কৈশোরের দিনগুলো ছিল অভাব অনটনে ভরা। তবুও শত বাধা পেরিয়ে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে উঠলেন অজপাড়াগাঁয়ের এই মেয়েটি।
পালিচড়া জয়রাম গ্রামে জন্ম নেয়া স্বপ্নার ফুটবল খেলা নিয়ে যারা এতদিন বিরোধিতা করতেন আজ তারাও খুশিতে আত্মহারা।
নেপালের সঙ্গে ইতিহাস গড়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতা দলে রংপুরের সদ্যপুস্করিণী ইউনিয়নের পালিচড়ার মেয়ে সিরাত জাহান স্বপ্নার জন্য এখন হাসছে গোটা রংপুর।
আরও পড়ুন: বাঘিনীদের রাজসিক বরণ
পালিচড়ার জয়রাম গ্রামে স্বপ্নার বাড়িতে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গিয়ে দেখা যায়, উৎসুক মানুষের ভিড়। অনেকে স্বপ্নার মা বাবার সঙ্গে দেখা করতে ছুটে আসছেন বাড়িতে। মিষ্টি বিতরণ করছেন, হৈ-হুল্লোড়ে মেতেছেন গ্রামের মানুষজন।
হাট, বাজার, দোকান, পাড়া-মহল্লা সবখানেই এখন চলছে স্বপ্নার বন্দনা। যা শুরু হয়েছে সোমবার রাত থেকেই।
স্থানীয়রা জানান, সিরাত জাহান স্বপ্না যেমন আমাদের গর্ব তেমনি গোটা দেশের একজন সম্পদ। এই গ্রামের মেয়েরা অনেক বাধা উপেক্ষা করে ফুটবল খেলা শুরু করে। আমরা স্বপ্ন দেখছিলাম বিশ্বজয়ের। সেটি পূরণ হয়েছে।
স্বপ্নারা তিন বোন। এরমধ্যে দুই বোনের বিয়ে হয়েছে। স্বপ্না সবার ছোট।
ছোটবেলায় ফুটবলের প্রতি স্বপ্নার আগ্রহ দেখে রাগ করতেন মা লিপি বেগম। পরে মেয়ের অদম্য ইচ্ছাশক্তির কাছে হার মেনে দেন উৎসাহ, দেন সাহস।
স্বপ্নার মা লিপি বেগম বলেন, চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে তার ফুটবল খেলার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। তখন রাগ করতাম। পরে আমার ভাই আব্দুল লতিফ এসে তাকে নিয়ে যায়। সেই থেকে খেলে। মেয়েকে খুব কষ্ট করে মানুষ করছি।
আরও পড়ুন: সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের জন্য ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা বিসিবির
আজ গর্ববোধ হচ্ছে।
স্বপ্নার বাবা মোকছার আলী একজন কৃষক। মেয়ের এই সাফল্যে আনন্দের সীমা নেই তারও।
মোকছার আলী বলেন, খুব আনন্দ লাগছে। আজকে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল জয়ী হয়েছে। এতে আমার মেয়ে খেলেছে। আমরা সবাই খুব খুশি। আমার মেয়ের জন্য সকলে দোয়া করবেন। সে যাতে দেশের জন্য আরও ভালো কিছু করতে পারে।
পালিচড়া গ্রামের মোতালেব হোসেন বলেন, স্বপ্না আমাদের গ্রামের সুনাম ছড়িয়ে দিয়েছে। তার কারণে গোটা দেশের মানুষ আজ এই অজপাড়াগাঁটিকে চিনছে। আমরা তার এই সাফল্যে গর্বিত।
সদ্যপুস্করিণী যুব স্পোর্টিং ক্লাবের কোচ মিলন খান বলেন, এই গ্রাম নারী ফুটবলারদের গ্রাম। এর আগে কখনও সাফ চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। এটাই প্রথম। এই দলে স্বপ্না দশ নস্বর জার্সি পরে খেলেছে।
তার এই সফলতায় আমরা খুশি এবং আনন্দিত। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, তাকে বড় সংবর্ধনা দেয়ার।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।
এই টুর্নামেন্টে স্বপ্নার জোড়াগোলে ভারতকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এক গোল দিয়েছে স্বপ্না। ভুটানকে এক গোল দেয়ার ১২ মিনিটের মাথায় ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন স্বপ্না।
ফাইনালে স্বপ্নাকে মাঠে নামানো হয়েছিল। কিন্তু ইনজুরির কারণে কিছুক্ষণ পরে তাকে তুলে নেয়া হয়।
ভারত, পাকিস্তান ও ভুটানের বিপক্ষে মোট চারটি গোল করেছেন স্বপ্না।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরলেন সাফজয়ী নারী ফুটবল দল
২ বছর আগে
আগের অবস্থায় ফিরে গেছে প্রয়াত মেয়র আনিসুলের স্বপ্নের সড়ক!
প্রায় সাত বছর আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র প্রয়াত আনিসুল হক রাজধানীর সাত রাস্তা মোড় থেকে তেজগাঁও রেলক্রসিং পর্যন্ত অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছিলেন। কিন্তু এই স্থানটি আবারও ট্রাকচালক ও কাভার্ড ভ্যানের মালিকদের দখলে চলে গেছে।
যার ফলে পথচারী ও স্থানীয়দের যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে এবং ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
ঢাকা উত্তরের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক ২০১৫ সালে ট্রাক মালিকদের সহিংস প্রতিবাদ সত্ত্বেও শিল্প এলাকার রাস্তাটি দখলের হাত থেকে পুনরুদ্ধার করেছিলেন। কিন্তু এখনও অবৈধভাবে পার্ক করা কয়েকশ’ ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহন দিয়ে সড়কজুড়ে লাইন ধরে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাচেলেট কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেননি: আনিসুল হক
২ বছর আগে
বিদায় নিল পদ্মা ও সেতু, রইল শুধু স্বপ্ন
সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছে পদ্মা ও সেতু। একাই রয়ে গেল শুধু স্বপ্ন। একদিনের ব্যবধানে একে একে দুই বোনের বিদায়ে একা হয়ে পড়েছে সে।
দিনাজপুরের বিরামপুরের বিনাইল ইউনিয়নের কৃষ্টবাটি গ্রামে সাদিয়া-জাহিদুল ইসলাম দম্পতির কোলজুড়ে এসেছিল তিন মেয়ে। আদর করে তাদের নাম দেয়া হয়ে়ছিল দেশের বৃহৎ সেতুর সঙ্গে মিল রেখে ‘স্বপ্ন’, ‘পদ্মা’ ও ‘সেতু’।
জন্মের ছয়দিন পরে ২৩ জুলাই, শনিবার দুই বোন স্বপ্ন এবং সেতুকে রেখে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে যায় ‘পদ্মা’ নামের এক বোন। একদিন পর ২৪ জুলাই, রবিবার পদ্মার পথ ধরে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যায় আরেক বোন সেতু। পদ্মার পর সেতুর বিদায়ে একা হয়ে পড়েছে স্বপ্ন। গত ১৮ জুলাই মায়ের কোলজুড়ে একসঙ্গে জন্ম নিয়েছিল তিন বোন স্বপ্ন, পদ্মা, সেতু।
রবিবার রাত সোয়া ৯টায় পদ্মা এবং আগের দিন শনিবার বিকালে প্রথমে মারা যায় পদ্মা। জন্মের পর তিনজনকেই সুস্থ বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। উন্নত চিকিৎসা এবং পরীক্ষা নিরীক্ষাও করা হয়েছিল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে বিদায় নিয়েছে দুই বোন পদ্মা ও সেতু।
এক সঙ্গে তিন সন্তানের জনক জাহিদুল ইসলাম জানান, পর পর দুই মেয়ের হঠাৎ মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না তারা। এখন স্বপ্নকে টিকিয়ে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। তিন সন্তানের ছবি এখন শুধুই স্মৃতি।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগের কাজ শুরু: মন্ত্রী
পদ্মা সেতু ভ্রমণ প্যাকেজ চালু
২ বছর আগে