তাদের অভিযোগ, উলিপুরের শিক্ষা কর্মকর্তার গাফিলতির কারণে তারা প্রধানমন্ত্রীর অনুদান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের কাছে এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জেলার ১ হাজার ৩৫৭ জন শিক্ষক ও ৪৬৮ জন কর্মচারীর জন্য ৭৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। এককালীন অনুদান হিসেবে প্রত্যেক শিক্ষক ৫০০০ ও কর্মচারী ২৫০০ টাকা পেয়েছেন। উলিপুর উপজেলার প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ১২৬ জন শিক্ষক ও ৪০ জন কর্মচারী এ অনুদান পেয়েছেন। বাকিরা অনুদানের টাকা না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন।
মন্ডলের হাট মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ নুরন নবী মিঞার অভিযোগ, দুইবার কাগজপত্র দেয়ার পরও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও তার অফিসের কর্মচারীদের গাফিলতির কারণে তারা এ দুঃসময়ে সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
এ প্রতিষ্ঠানের ১৮ শিক্ষক-কর্মচারী একই ধরনের অভিযোগ করেছেন।
বাবুরহাট নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলার রহমান সরকার জানান, তিনিসহ আটজন শিক্ষক-কর্মচারী অনুদান পাননি।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রব বলেন, ‘কাগজপত্র পাঠানোর পরও ঢাকা থেকে কিছু শিক্ষক-কর্মচারীর নাম কর্তন করা হয়েছে। এছাড়া ঈদের ছুটির কারণে তালিকা পাঠাতে ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে।’
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলম বলেন, ‘সময় মতো আবেদন না করায় অনেকেই অনুদান পাননি। তবে এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠান প্রধানের গাফিলতি থাকতে পারে। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানান, ২০০৯ সালের হালনাগাদ তালিকা অনুযায়ী অনুদান দেয়া হয়েছে। কেউ বাদ পড়ে থাকলে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে তাদের অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ করে চিঠি পাঠানো হবে।