কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে অগ্নিদগ্ধ হয়ে শিশুর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের উলিপুরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে সুরাইয়া আক্তার (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নে গোড়াই মণ্ডলপাড়া গ্ৰামে এই ঘটনা ঘটে।
শিশুটি ওই গ্রামের জমশেদ আলীর মেয়ে।
শিশুটির মামা মামুন মিয়া জানান, বুধবার বেলা ১১টায় সুরাইয়ার মা জেবু বেগম বাড়ির উঠানের চুলায় রান্না শুরু করছিলেন। এ সময় সুরাইয়া পাশে বসে মোবাইলে কার্টুন দেখছিল। চুলার পাশে শিশু সুরাইয়াকে রেখে বাড়ির বাইরে চলে যান জেবু বেগম। এ সময় শিশুটি চুলায় হাত দিলে দগ্ধ হয়। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। ততক্ষণে শিশুটির শরীরের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ পুড়ে যায়। পরে শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে রাখা হলে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় তার মৃত্যু হয়।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় তার লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
৪ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে পুকুরের পানিতে ডুবে মেরাজ বাবু নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল ৭টায় উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নের বামনটারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু মেরাজ (৪) ওই গ্রামের আল আমিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: মতলবে পানিতে ডুবে যমজ ২ ভাইয়ের মৃত্যু
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির বাবা-মা সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধ দাদা মকবুল হোসেন ও দাদি আমিনা বেগমের কাছে রেখে ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। মেরাজ দাদা ও দাদি কাছে থাকত। সকালে দাদা-দাদিসহ বাড়ির অন্য লোকজন কাজে ব্যস্ত ছিল। সবার অজান্তে শিশুটি বাড়ির সামনের পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে যায়। এ সময় বাড়ির লোকজন তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে বাড়ির সামনের পুকুরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় শিশুটির লাশ দেখতে পায়।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
২ সপ্তাহ আগে
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমে যাওয়ায় তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে কুড়িগ্রামের উলিপুর। এক মাস ধরে উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের হবিগঞ্জ-খেয়ারচর পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভয়াবহ ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন এলাকাবাসী।
ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে একটি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ৯০০ বিঘা ফসলি জমিসহ প্রায় তিনশ' বসতবাড়ি। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে এসব পরিবার সর্বশান্ত হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
এ ছাড়াও ভাঙনের হুমকির কবলে রয়েছে নামাজের চর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, নামাজের চর মহাবিদ্যালয়, গেন্দার আলগা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাহেবের আলগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাতলামারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর নামাজের চর কমিউনিটি ক্লিনিক, উত্তর নামাজের চর নূরাণী ও হাফিজিয়া মাদরাসা, উত্তর নামাজের চর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসহ পাকা সড়ক।
অভিযোগ রয়েছে, বারবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা নদী ভাঙন রোধের আশ্বাস দিলেও কোনো কাজ করেননি।
ফলে নিরুপায় হয়ে রবিবার দুপুরে সাহেবের আলগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সাহেবের আলগা, হবিগঞ্জ, উত্তর নামাজের চরসহ আশপাশের এলাকার সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, সাহেবের আলগা ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন, প্রভাষক রফিকুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, ফজলুল হক, শিক্ষার্থী ইরিকা খাতুন, বিউটি খাতুন প্রমুখ।
গেন্দার আলগা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ইরিকা খাতুন বলেন, আমদের এই জায়গায় অনেক মানুষ বসবাস করত। নদী ভাঙনে সবাই ভিটেমাটি হারা হয়েছে। এখনও নদী ভাঙছে আমরা কোথায় যাব তা এখনও ঠিক হয়নি। নদী ভাঙনের ফলে আমাদের স্কুল হুমকির মুখে, স্কুল ভেঙে গেলে আমরা কোথায় পড়ব। এজন্য নদী ভাঙন রোধে আমরা মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। এখানে অনেক ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বিউটি খাতুন বলেন, নদীতে পানি কমে যাচ্ছে, কিন্তু নদের ভাঙন কমছে না। এখানে আবাদি জমি-বাড়িঘর ভেঙে যাচ্ছে। এখানকার মানুষ কষ্ট করে বসবাস করছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদ ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। কিন্তু তারা ভাঙন রোধে কাজ করার আশ্বাস দিলেও কোনো কাজ শুরু করে না। এলাকাবাসীর পক্ষে ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের জোর দাবি জানাচ্ছি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ভাঙনরোধে সাময়িক সময়ের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। তবে ভাঙনকবলিত এলাকার নোট দেওয়া আছে বরাদ্দ এলে কাজ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতাউর রহমান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কমতে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের নদীর পানি, ভাঙন আতঙ্কে মানুষ
১ মাস আগে
কুড়িগ্রামে দুই যুবদল নেতাকে বহিষ্কার
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. নুর জামাল হক ও সদস্য সচিব মো. আতিকুর রহমান লেবুকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যুবদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির আরও ৫ নেতাকে বহিষ্কার
যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত নেতাদের কর্মকাণ্ডের জন্য দল দায়ী থাকবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির আরও ৫ নেতাকে বহিষ্কার
যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম নয়ন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও ১৩ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি
২ মাস আগে
কুড়িগ্রামে বন্যার পানি কমে তিস্তায় তীব্র ভাঙন
কুড়িগ্রামে বন্যার পানি কমতে থাকায় তিস্তায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ৪০ কিলোমিটার নদীপথে ১০টি স্পটে ভাঙনের কারণে শত শত ফসলি জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়েছে। বিপাকে পড়েছে তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা।
এরই মধ্যে রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় ২০০ বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে।
রাজারহাটের ঘরিয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস প্রামাণিক জানান, বন্যায় তার ইউনিয়নের শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত তিন দিনে ইউনিয়নের খিতাব খাঁ বড় দরগা, বুড়ির হাট এলাকায় ব্যাপক ভাঙনে ২০টি বাড়ির বসতভিটা নদীগর্ভে চলে গেছে। সেই সঙ্গে বড় দরগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যেকোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে।
উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাইজুল ইসলাম জানান, তিস্তার ভাঙনে তার ইউনিয়নের চর বিদ্যানন্দ, তৈয়ব খাঁ এলাকার ১৩টি বাড়ির বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখনও নদী ভাঙন চলছে।
উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী বলেন, তার ইউনিয়নের কর্পূরা সরদার পাড়া এলাকার ৭টি বসতভিটা ভেঙে নদীতে তলিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিপাতে জাপানে বন্যা ও ভূমিধস, বাস্তুচ্যুত শত শত মানুষ
একই উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জানান, তার ইউনিয়নের চর গোরাইপিয়ার, চর জুয়ান সুতরা, নগরপাড়া, পশ্চিম কিশোরপুর, বামনপাড়ায় ৪৫টি পরিবারের বসতভিটা তিস্তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে বেশ কয়েক একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও।
একই উপজেলার বজরা ইউনিয়নের অবস্থা সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত। তিস্তার ভাঙনে এই ইউনিয়নের সাদুয়া, দামারহাট, খামার দামারহাট, সাতা লস্কর, পশ্চিম বজরা, চর বজরা এলাকায় ব্যাপক ভাঙন চলছে। এরই মধ্যে ১০০ পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনবার্সন কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান, ‘আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে আবেদন পেলে এক থেকে দুই বান্ডিল ঢেউটিন সরবরাহ করে থাকি। বর্তমানে আমাদের কাছে কোনো বরাদ্দ নেই। আগস্টে বরাদ্দ পেলে সহযোগিতা করা যাবে।’
কুড়িগ্রাম পাউবোর নিবার্হী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘কুড়িগ্রামে ১০টি স্পটে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই।’
আরও পড়ুন: বন্যায় কুড়িগ্রামে কৃষিতে শত কোটি টাকার ক্ষতি
৩ মাস আগে
বন্যায় কুড়িগ্রামে কৃষিতে শত কোটি টাকার ক্ষতি
কুড়িগ্রামে চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় দফার দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। জেলার ৯ উপজেলায় শুধুমাত্র কৃষিতেই ক্ষতি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলার ৯ উপজেলায় ৮ হাজার হেক্টর কৃষিজমির বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০৫ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫০ হাজারেরও বেশি কৃষক।
কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের গারুহারা এলাকার কৃষক কোবাদ আলী বলেন, ‘আমার এক বিঘা জমির পটলের আবাদ শেষ। এখনও বাড়ির চারিদিকে পানি। আমন বীজতলা করতে পারছি না। আমন আবাদও মনে হয় করা হবে না।’
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বন্যার পানি কমলেও দুর্ভোগ বাড়ছে হাওরপাড়ের বাসিন্দাদের
একই এলাকার কৃষক আব্বাস বলেন, ‘বন্যার পানিতে এখনও সব জমি তলিয়ে। বীজতলা করার সময় শেষের দিকে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের এলাকার কৃষক কিভাবে আবাদ করবে সেই দুশ্চিন্তায় আছে সবাই।’
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দ্বিতীয় দফা বন্যায় কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করছি। এছাড়াও কৃষকরা যেন আমন আবাদ ভালোভাবে করতে পারে সেই পরামর্শ দিচ্ছি।
অন্যদিকে বন্যার পানির প্রবল স্রোতে কাঁচা-পাকা সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। তবে এসব সড়ক ও ঘরবাড়ির ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ পর ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত সব নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে বন্যার কোনো পূর্বাভাস নেই।
আরও পড়ুন: দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে: এফএফডব্লিউসি
৪ মাস আগে
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি অর্ধলক্ষেরও বেশি মানুষ
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়ে পড়েছে নতুন নতুন এলাকা। ৯টি জেলায় ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বেড়ে বিপৎসীমার ৭৮ সে.মি., নুনখাওয়া পয়েন্টে ৭২ সে.মি. এবং হাতিয়া পয়েন্টে ৮০ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে, কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার এবং শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার নিচেই রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। চিলমারী থেকে রৌমারীগামী ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
এছাড়াও ২ হাজার ৩০০ হেক্টর ফসলি জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় জেলায় ৩৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নদ-নদী তীরবর্তী চর ও নিম্নাঞ্চলের বসতভিটায় পানি ঢুকে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন। অনেক পরিবার গবাদিপশুসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চরের বাসিন্দা মতিউর বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্রের পানি ঘরের চারপাশে আসছে। গবাদিপশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’
বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুসার চরের মতিয়ার রহমান জানান, চরের প্রতিটি বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। কেউ নৌকা, কেউ বা মাচান করে উঁচু স্থানে আছে। এখানকার প্রতিটা পরিবার খুব কষ্টে আছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি আরও ৪৮ ঘণ্টা ধরে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরইমধ্যে ব্রহ্মপুত্রের পানি তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা নিচে রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, জেলায় ৬২ হাজার ২০০ মানুষ পানিবন্দি। এখন পর্যন্ত ১৭৩ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লক্ষ টাকা বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মজুত আছে ৬০০ মেট্রিক টন চাল ও ৩০ লাখ টাকা। যা পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, ৬০০০ মানুষ পানিবন্দি
৪ মাস আগে
কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সাপের কামড়ে আযম আলী (৩৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার অষ্টমীরচর ইউনিয়নের ছালিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আযম আলী ওই এলাকায় মোজাম্মেল হকের ছেলে। তবে আগে তিনি একই ইউনিয়নের লালচামারচর এলাকায় বসবাস করতেন।
স্থানীয় পশু চিকিৎসক এইচ এম মেহেদী জানান, শনিবার ফজরের আযানের সময় আযম আলী নিজ বাড়ির বাইরে বের হন। এসময় একটি বিষাক্ত সাপ তার পায়ে কামড় দেয়। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে পাশের গ্রামে ওঝার বাড়িতে নিয়ে যায়। ওঝার ঝাড়-ফুঁকে কাজ না হওয়ায় আযম আলীকে প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পর চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিলমারী হাসপাতালের আরএমও চিকিৎসক রবিউল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই আযম আলীর মৃত্যু হয়েছে।
৭ মাস আগে
৪৮ বোতল বিদেশি মদ জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামে মাদক ব্যবসার অভিযোগে মমতা বেগম নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ওই নারীর বাড়ি থেকে ৪৮ বোতল বিদেশি
মদ জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেটে জাল নোট জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের ঢালুয়াবাড়ি বালাবাড়ি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ রুহুল আমীন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কচাকাটার বালাবাড়ি গ্রামের মমতা বেগমের বাড়ি থেকে ৪৮ বোতল বিদেশি মদ জব্দসহ তাকে আটক করে।
তিনি আরও বলেন, আটক আসামির বিরুদ্ধে কুড়িগ্রামের কচাকাটা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অপহরণের ৬ দিন পর মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫
মেহেরপুরে ৪০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, একজন গ্রেপ্তার
৭ মাস আগে
ভুটানের বিনিয়োগকারীদের জন্য কুড়িগ্রামে ১৯০ একর জমি দেবে বাংলাদেশ, আলোচনা চলছে জলবিদ্যুৎ আমদানির
ভুটানের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে কুড়িগ্রামে ১৯০ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে চায়। আর এ বিদ্যুৎ ভারতের মধ্য দিয়ে আনতে হবে। তাই ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করছি।’
তিনি বলেন, সেখানে ভুটানের ২৫ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নেপাল থেকেও জলবিদ্যুৎ আমদানি করবে এবং এ বিষয়ে প্রাথমিক পদক্ষেপগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, শুভেচ্ছা স্বরুপ বাংলাদেশ থিম্পুতে একটি বার্ন ইউনিট নির্মাণ করবে, যা দেশের সক্ষমতারও বহিঃপ্রকাশ।
তিনি ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের সফর সম্পর্কেও জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ সময় বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে তিনটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই হবে। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক বিনিময় সংক্রান্ত আরও একটি সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হবে।
১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে যে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তার ই ধারাবাহিকতায় চার দিনের সফরে ভুটানের রাজার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বাস্থ্য, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী এবং ভুটানের রানী সোমবার সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, 'ভুটানের সঙ্গে আমাদের বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং ফার্স্ট লেডি গান স্যালুট ও গার্ড অব অনার দিয়ে বাদশাহকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
সোমবার সকাল ১০টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে রাজার।
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যাবেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির উদ্দেশ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করবেন ভুটানের রাজা। তারা দুজনের মধ্যে বৈঠক হবে।
বৈঠকের পর দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে রাজার সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার রাজা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটও পরিদর্শন করবেন রাজা।
তিনি বঙ্গভবনে যাবেন, সেখানে রাষ্ট্রপতি ও ফার্স্ট লেডি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজা।
রাষ্ট্রপতি সফররত রাজপরিবারের সম্মানে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করবেন।
বুধবার সকালে রানী জেটসুন পেমা ওয়াংচুক ও ভুটানের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা একটি বিশেষ ফ্লাইটে ভুটানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে তাদের বিদায় জানাবেন।
ভুটানের রাজা পদ্মা সেতু ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।
বৃহস্পতিবার রাজা কুড়িগ্রামের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।
একই দিন বিকেলে সোনাহাট স্থলবন্দর হয়ে আসামের গোলকগঞ্জের উদ্দেশে বাংলাদেশ ভূখণ্ড ত্যাগ করবেন।
সেখানে তাকে বিদায় জানাবেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
ভুটানের চতুর্থ রাজা জিগমে সিংগে ওয়াংচুক সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে এক চিঠিতে বলেন, তার গতিশীল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা বিরাজের পাশাপাশি অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি ভুটানকে 'ঘনিষ্ঠ বন্ধু' হিসেবে উল্লেখ করেন।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটানের তৃতীয় রাজা টেলিগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বীকৃতির বার্তা পাঠান। এর মধ্যে দিয়ে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ ভুটান।
সেই থেকে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে একটি বিশেষ বহুমাত্রিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে। স্বাধীনতার পরপরই ভুটান সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। এর ফলে ১৯৭৩ সালের ১২ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে ব্যর্থ হয়ে খেই হারিয়েছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৭ মাস আগে