কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ৩
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন। তাদের রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ভুন্দুর চর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন ( ৪০), গোলাম শহিদের ছেলে বলু মিয়া ( ৫৫) ও ফুলবাবু ( ৫০)।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে শাহাজাহান মিয়া ও রাজু মিয়া পক্ষের মধ্যে ৫০ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। জমিটি নিয়ে একাধিক মামলাও রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে শাহাজাহান মিয়ার লোকজন ওই জমিতে সেচ দিতে গেলে রাজু মিয়ার পক্ষের লোকজন বাধা দেন। এতে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। তারা সবাই শাহাজাহান মিয়ার অনুসারী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিবির-ছাত্রদল সংঘর্ষে আহত অন্তত ২০
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে এবং নিহত তিনজনের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানান ওসি লুৎফর রহমান।
১৩৩ দিন আগে
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা
দলকে ঢেলে সাজানোর অংশ হিসেবে কুড়িগ্রাম জেলার পাঁচ সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে বিএনপি।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে শরিকদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
মোস্তাফিজুর রহমানকে (মোস্তফা) আহ্বায়ক ও সোহেল হোসেন কায়কোবাদকে সদস্য সচিব করে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া শফিকুল ইসলাম বেবুকে প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক, হাসিবুর রহমান হাসিবকে দ্বিতীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও তাসভীর উল ইসলামকে সদস্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সতর্ক থাকুন, দেশকে কেউ যেন বিভক্ত করতে না পারে: মির্জা ফখরুল
৩৪৬ দিন আগে
কুড়িগ্রামে আ. লীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ দুই যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ধরনীবাড়ি ইউনিয়নের বামনের হাট বাজার থেকে ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি উপজেলা কৃষক লীগ নেতা ছিলেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: রাবিতে সার্টিফিকেট তুলতে এসে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
এর আগে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে পৌর শহরের পাট হাটি থেকে পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র খোরশেদ আলম লিটন (৪৪) ও গুনাইগাছ ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলামকে (৪০) গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগরাকুড়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ১৮ জুলাই দুপুরে উলিপুর মহারাণী স্বর্ণময়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং মসজিদুল হুদা সংলগ্ন এলাকা থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মারধর করা হয়। এই ঘটনার পর গত ২১ নভেম্বর মোসাব্বির হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৮০ জনকে আসামি করা হয়।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, ‘গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলাকারী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
৩৫৭ দিন আগে
ঘন কুয়াশা চাদরে ঢাকা কুড়িগ্রাম
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে চারপাশ। চার দিন ধরে সন্ধ্যা থেকে শুরু করেছে কুয়াশা পড়া। রাতভর বৃষ্টির মতো টপ টপ করে শিশির পড়ছে।
কুয়াশার কারণে দিনের বেলায় সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে যানবাহন। ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম। বিশেষ করে শীতে বিপাকে পড়েছে নদীর তীরবর্তী ও চরবাসী। এছাড়া চরম বিপাকে পড়েছে খেটে-খাওয়া ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।
ঘন কুয়াশার সঙ্গে যোগ হয়েছে হিমেল বাতাস। খেটে খাওয়া মানুষ সময় মতো কাজে যেতে পারছে না।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতে কাঁপছে নওগাঁ, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
হাসপাতালেও বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যে মতে, রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নাগেশ্বরীর কেদার ইউনিয়নের দিনমজুর রফিকুল ইসলাম জানান, ঠান্ডা বাতাস আর ঘন কুয়াশায় মাঠে কাজ করা খুব কঠিন হয়েছে। কাজ করার সময় হাত-পা ঠান্ডায় জমে আসে।
অটোরিকশা চালক আশরাফুল হোসেন জানান, কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ্বালিয়ে খুব ধীর গতিতে অটো চালাতে হচ্ছে। সামান্য দূরের জিনিসও দেখা যায় না।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, এ মাসে তাপমাত্রা কমে ২-৩টি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: শীতকাল শুরু, দিন-রাতে বাড়বে আরও ঠান্ডা
৩৬২ দিন আগে
কুড়িগ্রামে অগ্নিদগ্ধ হয়ে শিশুর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের উলিপুরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে সুরাইয়া আক্তার (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নে গোড়াই মণ্ডলপাড়া গ্ৰামে এই ঘটনা ঘটে।
শিশুটি ওই গ্রামের জমশেদ আলীর মেয়ে।
শিশুটির মামা মামুন মিয়া জানান, বুধবার বেলা ১১টায় সুরাইয়ার মা জেবু বেগম বাড়ির উঠানের চুলায় রান্না শুরু করছিলেন। এ সময় সুরাইয়া পাশে বসে মোবাইলে কার্টুন দেখছিল। চুলার পাশে শিশু সুরাইয়াকে রেখে বাড়ির বাইরে চলে যান জেবু বেগম। এ সময় শিশুটি চুলায় হাত দিলে দগ্ধ হয়। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। ততক্ষণে শিশুটির শরীরের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ পুড়ে যায়। পরে শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে রাখা হলে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় তার মৃত্যু হয়।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় তার লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
৩৭৮ দিন আগে
কুড়িগ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে পুকুরের পানিতে ডুবে মেরাজ বাবু নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল ৭টায় উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নের বামনটারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু মেরাজ (৪) ওই গ্রামের আল আমিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: মতলবে পানিতে ডুবে যমজ ২ ভাইয়ের মৃত্যু
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির বাবা-মা সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধ দাদা মকবুল হোসেন ও দাদি আমিনা বেগমের কাছে রেখে ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। মেরাজ দাদা ও দাদি কাছে থাকত। সকালে দাদা-দাদিসহ বাড়ির অন্য লোকজন কাজে ব্যস্ত ছিল। সবার অজান্তে শিশুটি বাড়ির সামনের পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে যায়। এ সময় বাড়ির লোকজন তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে বাড়ির সামনের পুকুরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় শিশুটির লাশ দেখতে পায়।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
৩৯৫ দিন আগে
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমে যাওয়ায় তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে কুড়িগ্রামের উলিপুর। এক মাস ধরে উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের হবিগঞ্জ-খেয়ারচর পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভয়াবহ ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন এলাকাবাসী।
ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে একটি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ৯০০ বিঘা ফসলি জমিসহ প্রায় তিনশ' বসতবাড়ি। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে এসব পরিবার সর্বশান্ত হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
এ ছাড়াও ভাঙনের হুমকির কবলে রয়েছে নামাজের চর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, নামাজের চর মহাবিদ্যালয়, গেন্দার আলগা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাহেবের আলগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাতলামারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর নামাজের চর কমিউনিটি ক্লিনিক, উত্তর নামাজের চর নূরাণী ও হাফিজিয়া মাদরাসা, উত্তর নামাজের চর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসহ পাকা সড়ক।
অভিযোগ রয়েছে, বারবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা নদী ভাঙন রোধের আশ্বাস দিলেও কোনো কাজ করেননি।
ফলে নিরুপায় হয়ে রবিবার দুপুরে সাহেবের আলগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সাহেবের আলগা, হবিগঞ্জ, উত্তর নামাজের চরসহ আশপাশের এলাকার সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, সাহেবের আলগা ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন, প্রভাষক রফিকুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, ফজলুল হক, শিক্ষার্থী ইরিকা খাতুন, বিউটি খাতুন প্রমুখ।
গেন্দার আলগা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ইরিকা খাতুন বলেন, আমদের এই জায়গায় অনেক মানুষ বসবাস করত। নদী ভাঙনে সবাই ভিটেমাটি হারা হয়েছে। এখনও নদী ভাঙছে আমরা কোথায় যাব তা এখনও ঠিক হয়নি। নদী ভাঙনের ফলে আমাদের স্কুল হুমকির মুখে, স্কুল ভেঙে গেলে আমরা কোথায় পড়ব। এজন্য নদী ভাঙন রোধে আমরা মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। এখানে অনেক ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বিউটি খাতুন বলেন, নদীতে পানি কমে যাচ্ছে, কিন্তু নদের ভাঙন কমছে না। এখানে আবাদি জমি-বাড়িঘর ভেঙে যাচ্ছে। এখানকার মানুষ কষ্ট করে বসবাস করছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদ ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। কিন্তু তারা ভাঙন রোধে কাজ করার আশ্বাস দিলেও কোনো কাজ শুরু করে না। এলাকাবাসীর পক্ষে ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের জোর দাবি জানাচ্ছি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ভাঙনরোধে সাময়িক সময়ের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। তবে ভাঙনকবলিত এলাকার নোট দেওয়া আছে বরাদ্দ এলে কাজ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতাউর রহমান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কমতে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের নদীর পানি, ভাঙন আতঙ্কে মানুষ
৪১০ দিন আগে
কুড়িগ্রামে দুই যুবদল নেতাকে বহিষ্কার
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. নুর জামাল হক ও সদস্য সচিব মো. আতিকুর রহমান লেবুকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যুবদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির আরও ৫ নেতাকে বহিষ্কার
যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত নেতাদের কর্মকাণ্ডের জন্য দল দায়ী থাকবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির আরও ৫ নেতাকে বহিষ্কার
যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম নয়ন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও ১৩ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি
৪৫৪ দিন আগে
কুড়িগ্রামে বন্যার পানি কমে তিস্তায় তীব্র ভাঙন
কুড়িগ্রামে বন্যার পানি কমতে থাকায় তিস্তায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ৪০ কিলোমিটার নদীপথে ১০টি স্পটে ভাঙনের কারণে শত শত ফসলি জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়েছে। বিপাকে পড়েছে তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা।
এরই মধ্যে রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় ২০০ বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে।
রাজারহাটের ঘরিয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস প্রামাণিক জানান, বন্যায় তার ইউনিয়নের শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত তিন দিনে ইউনিয়নের খিতাব খাঁ বড় দরগা, বুড়ির হাট এলাকায় ব্যাপক ভাঙনে ২০টি বাড়ির বসতভিটা নদীগর্ভে চলে গেছে। সেই সঙ্গে বড় দরগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যেকোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে।
উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাইজুল ইসলাম জানান, তিস্তার ভাঙনে তার ইউনিয়নের চর বিদ্যানন্দ, তৈয়ব খাঁ এলাকার ১৩টি বাড়ির বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখনও নদী ভাঙন চলছে।
উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী বলেন, তার ইউনিয়নের কর্পূরা সরদার পাড়া এলাকার ৭টি বসতভিটা ভেঙে নদীতে তলিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিপাতে জাপানে বন্যা ও ভূমিধস, বাস্তুচ্যুত শত শত মানুষ
একই উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জানান, তার ইউনিয়নের চর গোরাইপিয়ার, চর জুয়ান সুতরা, নগরপাড়া, পশ্চিম কিশোরপুর, বামনপাড়ায় ৪৫টি পরিবারের বসতভিটা তিস্তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে বেশ কয়েক একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও।
একই উপজেলার বজরা ইউনিয়নের অবস্থা সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত। তিস্তার ভাঙনে এই ইউনিয়নের সাদুয়া, দামারহাট, খামার দামারহাট, সাতা লস্কর, পশ্চিম বজরা, চর বজরা এলাকায় ব্যাপক ভাঙন চলছে। এরই মধ্যে ১০০ পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনবার্সন কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান, ‘আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে আবেদন পেলে এক থেকে দুই বান্ডিল ঢেউটিন সরবরাহ করে থাকি। বর্তমানে আমাদের কাছে কোনো বরাদ্দ নেই। আগস্টে বরাদ্দ পেলে সহযোগিতা করা যাবে।’
কুড়িগ্রাম পাউবোর নিবার্হী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘কুড়িগ্রামে ১০টি স্পটে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই।’
আরও পড়ুন: বন্যায় কুড়িগ্রামে কৃষিতে শত কোটি টাকার ক্ষতি
৪৯৩ দিন আগে
বন্যায় কুড়িগ্রামে কৃষিতে শত কোটি টাকার ক্ষতি
কুড়িগ্রামে চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় দফার দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। জেলার ৯ উপজেলায় শুধুমাত্র কৃষিতেই ক্ষতি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলার ৯ উপজেলায় ৮ হাজার হেক্টর কৃষিজমির বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০৫ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫০ হাজারেরও বেশি কৃষক।
কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের গারুহারা এলাকার কৃষক কোবাদ আলী বলেন, ‘আমার এক বিঘা জমির পটলের আবাদ শেষ। এখনও বাড়ির চারিদিকে পানি। আমন বীজতলা করতে পারছি না। আমন আবাদও মনে হয় করা হবে না।’
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বন্যার পানি কমলেও দুর্ভোগ বাড়ছে হাওরপাড়ের বাসিন্দাদের
একই এলাকার কৃষক আব্বাস বলেন, ‘বন্যার পানিতে এখনও সব জমি তলিয়ে। বীজতলা করার সময় শেষের দিকে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের এলাকার কৃষক কিভাবে আবাদ করবে সেই দুশ্চিন্তায় আছে সবাই।’
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দ্বিতীয় দফা বন্যায় কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করছি। এছাড়াও কৃষকরা যেন আমন আবাদ ভালোভাবে করতে পারে সেই পরামর্শ দিচ্ছি।
অন্যদিকে বন্যার পানির প্রবল স্রোতে কাঁচা-পাকা সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। তবে এসব সড়ক ও ঘরবাড়ির ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ পর ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত সব নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে বন্যার কোনো পূর্বাভাস নেই।
আরও পড়ুন: দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে: এফএফডব্লিউসি
৫০৭ দিন আগে