চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে যুবলীগ কর্মী আকাশকে হত্যার কথা আসামি মামুন স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছে র্যাব। রবিবার চট্টগ্রামের চান্দগাঁও কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ।
নিহত শহিদুল ইসলাম আকাশ (২৮) হিঙ্গুলী ইউনিয়নের যুবলীগ কর্মী।
আসামির নাম মোহাম্মদ মামুন।
র্যাব জানায়, শনিবার বিকাল ৫টার দিকে যুবলীগ কর্মী আকাশ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মামুনকে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য দুইজন মুকেশ চন্দ্র দাশ ও মো.ইকবালকে চাঁদপুর জেলার পুরান বাজার হতে রাত ৮টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: মসজিদে জমি দেয়ায় ছেলে ও নাতির হাতে বৃদ্ধ খুন!
হত্যার কারণ জানতে চাইলে আসামি মামুন জানায়, ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মামুনের ছোট ভাই আফজাল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করে আকাশ। আসামি মামুন ও তার ভাই ইকবাল তখন নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলায় জেল হাজতে ছিলেন। মামুন গত ১৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান। মুক্তি পেয়ে মামুন তার ভাইয়ের হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তার সহযোগী মোতালেব, রাজু, নেজাম, হামিদ ও মুকেশসহ হত্যার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী গত ১৯ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পাওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় যুবলীগ কর্মী আকাশকে কুপিয়ে হত্যা করেন। মূলত ভাইয়ের হত্যার প্রতিশোধ নিতেই জামিনে বের হয়ে আকাশকে কুপিয়ে হত্যা করে।
র্যাব আরও জানায়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার চিনকিরহাট বাজারে নিজ ফার্নিচার দোকানের সামনে যুবলীগ কর্মী আকাশকে আসামি মামুন ও তার সহযোগীরা কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় তার বাবা ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে আসামি মামুন তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত আকাশের বোন বাদী হয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৭-৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এর আগে এই মামলার পাঁচ নম্বর আসামি হিঙ্গুলী ইউনিয়ন পরিষদের(ইউপি) সদস্য মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন!