মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, শনিবার রাত ১২টা ১০ মিনিটে ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তিনি আরও জানান, বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শফিকুল ইসলাম আজ দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন। তবে রবিবার সকাল পর্যন্ত কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে না পারলেও ঘটনায় ব্যবহৃত স্পিডবোটটি জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেন, আড়াই বছরের ছেলেকে নিয়ে শনিবার চরফ্যাশনের দক্ষিণ আইছা গ্রাম থেকে মনপুরায় শ্বশুরবাড়ি ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু লঞ্চ মিস করায় স্পিডবোটে ওঠেন ওই নারী, যাতে আরও দুজন যাত্রী ছিল। পথে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জনতার খালেরপার এলাকা থেকে আরও দুজন যাত্রী ওঠেন।
বোটে থাকা চার যাত্রী- বেলাল বেপারী (৩৫), মো. রাশেদ পালোয়ান (২৫), শাহীন খান (২২) ও কিরন প্রত্যেকেই উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামের। তারা স্পিডবোট চালককে চরপিয়াল নিতে বাধ্য করে এবং সেখানে তাকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে।
এদিকে সবাইকে চরপিয়ালে নামিয়ে দিয়ে চালক স্পিডবোট নিয়ে জনতা বাজার চলে যায়। পরে জনতা বাজার থেকে স্পিডবোটের মালিক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নজরুল চরপিয়াল গিয়ে ওই চার ধর্ষককে মারধর করে এবং তিন হাজার টাকা রেখে তাদের ছেড়ে দেয়। পরে নজরুলও গৃহবধূকে ধর্ষণ করে এক হাজার টাকা দেয় এবং নাম না প্রকাশ করতে ধারণ করা ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অলি উল্লাহ কাজল জানান, চরপিয়ালের গণধর্ষনের ঘটনাটি তিনি জেনেছেন। ওই নারীর ভাষ্য মতে, নজরুল তাকে ধর্ষণের পর স্পিডবোটযোগে চরফ্যাশন রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ওই নারীকে আবার চরফ্যাশন বেতুয়াঘাট থেকে মনপুরা জনতা বাজার ঘাটে সন্ধ্যার আগে আনা হয় এবং থানায় খবর দেয়া হয়।