এছাড়া ঘর ও গাছচাপা পড়ে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এদিকে শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আঘাত হানা এ ঝড়ের কবলে পড়ে বসতবাড়ি হারানো অসহায় পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, শনিবার মধ্যরাতে হঠাৎ করেই ঝড়ো বৃষ্টির সাথে ধমকা হাওয়া বইতে শুরু করে। কয়েক সেকেন্ডের টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় আসলামপুর ইউনিয়নের ৫ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড এবং চরফ্যাসন পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শতাধিক ঘরবাড়ি।
আবুল কালাম নামে ক্ষতিগ্রস্ত একজন জানান, ঘরের ভেতর পরিবারের সবাই যার যার মতো শুয়ে বসে ছিলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাথার ওপর থেকে ঘরের চাল উড়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে ঘরের মালামালও উড়ে গেছে।
গৃহকত্রী শারমিন আক্তার জানান, আকস্মিক বাতাসের চাপে মাথার উপরের ঘর ভিটায় মিশে যায়। স্বামী-সন্তানসহ ঘরের নীচে চাপা পড়েন তিনি। কয়েক মিনিট স্থায়ী এই ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বসত ঘরটি। একই পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন গ্রামের অন্য অনেকেই।
আসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম জানান, তার ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে শুকনো খাবার দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনে সরকারি সহায়তার দাবি জানান তিনি।
চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মো. রুহুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে তাৎক্ষণিক শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। সোমবার জেলা প্রশাসকের বরাদ্দকৃত দুই মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হবে।
তালিকা শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের গৃহ নির্মাণেরও সহায়ার আশ্বাস দেন তিনি।