টর্নেডো
মিসৌরিতে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত, নিহত ৫
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্ব মিসৌরির মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এতে পাঁচজন নিহত হয় এবং গত দুই সপ্তাহে দেশটির প্রাণকেন্দ্রে আঘাত হানা মারাত্মক ঝড়ের সিরিজের তৃতীয় হিসেবে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে।
এ বছরের তীব্র ঝড়ের মৌসুম অব্যাহত থাকায় আবহাওয়াবিদরা আরও চরম আবহাওয়ার জন্য সতর্ক নজর রাখছেন। এই ঝড়ের ফলে প্রধানত দক্ষিণ ও মধ্য-পশ্চিমে কয়েক ডজন টর্নেডো তৈরি হয়েছে, যার ফলে কমপক্ষে ৬৩ জন মারা গেছে।
মিসৌরিতে ঘূর্ণিঝড় মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে আঘাত হানে এবং সেন্ট লুইস থেকে প্রায় ৫০ মাইল দক্ষিণে বলিঞ্জার কাউন্টির একটি গ্রামীণ অঞ্চলের মধ্য দিয়ে চলে যায়। গাছ উপড়ে গেছে, ঘরবাড়ি স্তূপে পরিণত হয়েছে এবং এর পাশে একটি ভবন ভেঙে পড়েছে।
স্টেট হাইওয়ে পেট্রোল সুপারিনটেনডেন্ট এরিক ওলসন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পাঁচজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গ্লেন অ্যালেন গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে অন্তত কয়েকজন একটি পরিবারের সদস্য, যারা রাষ্ট্রীয় মহাসড়কের পাশে একটি ট্রেলারে থাকতেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ইয়ান: ফ্লোরিডায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
কেনটাকিতে টর্নেডোর আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৭
১ বছর আগে
সাতক্ষীরায় টর্নেডোর আঘাতে ৪৫টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে টর্নেডো আঘাতে ৪৫টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টর্নেডো আঘাত হানে, যার স্থায়িত্ব ছিল মাত্র এক মিনিট। তবে হতাহতের কোনও তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
টর্নেডোতে সুন্দরবন সংলগ্ন কালিঞ্চির মধ্যপাড়া, কলোনিপাড়া, গেটপাড়া ও গোলাখালীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য গাছ উপড়ে গেছে। ১৫টিরও বেশি বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে এবং ৩০টিরও বেশি বাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।
রমজাননগর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আজগার আলী জানান, টর্নেডোর সময় কালিন্দী নদীতে ভেসে যাওয়া দুই ব্যক্তিকে নৌপুলিশ ও বিএসএফ সদস্যদের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে টর্নেডো কালিঞ্চি ও গোলাখালী এলাকায় তাণ্ডব চালায়। এতে ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া অসংখ্য গাছ উপড়ে বাড়িঘর, রাস্তাঘাটে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড শতাধিক ঘর-বাড়ি, আহত ১৫
এতে কলোনিপাড়ার বৃদ্ধা রহিমা বেগম, খোকন এবং মধ্যপাড়ার আজগর আলী বুলু, রেজাউল, অবনী ও ভুপেন মণ্ডলসহ ১৫ জনের বাড়িঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। টর্নেডোর পরপরই প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়।
রমজাননগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন জানান, টর্নেডোর আঘাতে প্রায় ৪৫টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হলেও কেউ হতাহত হননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আকতার হোসেন বলেন, প্রবল বৃষ্টির কারণে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। পরে এর তালিকা পাওয়া যাবে। তবে টর্নেডোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তরা নিরাপদে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় বিষাক্ত জুস খেয়ে ছেলের মৃত্যু, মা আটক
সাতক্ষীরায় ট্রাক্টর-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত
১ বছর আগে
কেনটাকিতে টর্নেডোর আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৭
চলতি মাসের শুরুর দিকে কেনটাকিতে আঘাত হানা বিধ্বংসী টর্নেডোতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৭ এ দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
রাজ্যের গভর্নর জানিয়েছেন, রাজ্যটির পশ্চিম অংশের গ্রেভস কাউন্টিতে একটি শিশু গত সপ্তাহে মারা গেছে। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলীয় মেফিল্ড শহর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যেখানে শত শত ভবন ধ্বংস হয়।
কেনটাকির গভর্নর বেসিয়ার বলেছেন, আমরা যা তার পুরো কাঠামো বদলে দিয়েছে এই টর্নেডো।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার দুই রাজ্যে রেকর্ড করোনা শনাক্ত
তিনি বলেন, আমি সকলকে আমাদের সাথে সকলের পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনদের জন্য প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করতে আহ্বান জানাচ্ছি।
বেসিয়ার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ধ্বংসাবশেষ অপসারণ অনেকটা শেষ পর্যায়ে। তবে গ্রেভস কাউন্টির প্রায় ২৬ শতাংশ এখনও বিদ্যুৎবিহীন, অন্যান্য কাউন্টিতে এই বিভ্রাট এক শতাংশ-এরও কম। ইতোমধ্যে প্রায় ১১ হাজার ৬০০ বীমা দাবি দাখিল করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই বাড়ি, কাঠামোগুলো পুনর্নির্মাণ করতে কয়েক বছর সময় লাগবে এবং আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যাতে আমরা পরিবারগুলোকে সাহায্য করার ব্যাপারে একটি ব্যবস্থা করতে পারি।
সব মিলিয়ে পাঁচটি রাজ্যে ঝড়ের আঘাতে ৯০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস ১০ ও ১১ ডিসেম্বর কমপক্ষে ৪১টি টর্নেডো রেকর্ড করেছে, যার মধ্যে ১৬টি টেনেসি এবং আটটি কেনটাকিতে হয়েছে৷
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় ওমিক্রনে প্রথম রোগীর মৃত্যু
২ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকিতে টর্নেডোর তাণ্ডবে শতাধিক মৃত্যুর শঙ্কা
যুক্তরাজ্যের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যে ভয়াবহ টর্নেডোর তাণ্ডবে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্মকর্তারা আশঙ্কা করেছেন। টর্নেডোর আঘাতে কেনটাকির একটি ছোট শহরে মোমবাতি কারখানা, একটি নার্সিং হোম এবং অ্যামাজনের একটি গুদামের ছাদ ধসে ভেঙেচুড়ে গেছে।
কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার বলেন, রাজ্যের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ টর্নেডো। ঘটনার সময় মোমবাতি কারাখানায় প্রায় ১১০ জন লোক ছিলেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মেফিল্ডের দমকল প্রধান এবং ইএমএস ডিরেক্টর জেরেমি ক্রিয়েসন বলেছেন, ‘উদ্ধারকারীদের আহতদের কাছে পৌঁছতে নিহতদের ওপর দিয়ে ক্রল করে এগোতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, শুধুমাত্র কেন্টাকিতে শনিবার বিকাল পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে, যার মধ্যে বোলিং গ্রিন এবং এর আশেপাশে ১১ জন রয়েছে। ২০০ মাইল বেগে ধেয়ে যাওয়া টর্নেডোর আঘাতে ৭০ জনের উপরে নিহত হতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতিরক্ষা প্রধান বিপিন রাওয়াতকে বিদায় জানাল ভারত
মেক্সিকোতে ট্রাক দুর্ঘটনায় ৫৩ অভিবাসী নিহত
২ বছর আগে
ভোলায় টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড শতাধিক ঘর-বাড়ি, আহত ১৫
ভোলার চরফ্যাসন উপজেলায় আকস্মিক টর্নেডোর আঘাতে তিন গ্রামের অন্তত শতাধিক ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়েছে।
৪ বছর আগে