সোমবার দুপুরে বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নে একটি পানের বরজ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত কলেজ ছাত্র সুমন ওই এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে।
এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় পুলিশ মিঠু নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী সুমনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, গত ২০ জুন সন্ধ্যায় সুমন বন্ধুদের চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় একটি ফোন আসলে সুমন সেখান থেকে চলে যায়। আধা ঘণ্টা পর সুমনের এক খালাতো ভাই সোয়েব সুমনকে ফোন দেয়। তখন আসতেছি বললেও দীর্ঘ সময় পরও না আসলে আবার তাকে ফোন দেয়। কিন্তু তখন থেকে সুমনের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সুমন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় রবিবার বোরহানউদ্দিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
ওসি আরও জানান, পরে সুমনের মোবাইলে কল লিস্ট চেক করে মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে মিঠু নামে এক যুবককে সোমবার দুপুরে আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ বোরহানউদ্দিনের পক্ষিয়া ইউনিয়নের একটি পানের বরজ থেকে মাটি খুঁড়ে সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে।
ওসি এনামুল হক বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে সুমনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মিঠু ও সুমন এক সাথে নেশা করছিলো। মারার পর একাই সুমনকে মাটি চাপা দিয়েছে বলে মিঠু স্বীকার করেছে।
এ হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করেছে বলে জানান এ ওসি।
উল্লেখ্য, এ ঘটনার একদিন আগে ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বটতলায় গত শনিবার রাতে প্রবীর নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে হত্যা করে তার সাথে থাকা ৫ লাখ টাকা ও ১০ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।