শরিফুল ইসলাম সেন্টু দৌলতপুর প্রমোদা সুন্দরী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও স্থানীয় মৃত মাঈনুদ্দিন খোশনবিশের ছেলে। যৌন নিপীড়নের ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা মামলা করেছেন।
মামলার অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত জানুয়ারিতে শিক্ষক সেন্টু তাকে প্রথম যৌন নিপীড়ন করে। এরপর একাধিকবার সেন্টু নিজ স্কুলের ওই শিক্ষার্থীকে নানাভাবে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ওই ছাত্রী বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালেও লোক-লজ্জার ভয়ে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল প্রাঙ্গণে সহপাঠিদের সাথে ফুটবল খেলার সময় শ্বাসকষ্টে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরবর্তীতে মুন্নু মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথেও সেন্টু তাকে যৌন নিপীড়ন চালায় বলে জানা গেছে।
মুন্নু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ছাত্রী শিক্ষক শরিফুল ইসলাম সেন্টুর দ্বারা যৌন হয়রানি হওয়ার ঘটনা কয়েকজন নার্স ও চিকিৎসকের কাছে জানায়। পরে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানালে ঘটনা প্রকাশ পায়।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুনীল কর্মকার জানান, হাসপাতালে ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে। সে শিক্ষকের যৌন নিপীড়নের বর্ণনা দেয়ার সময় অনেক কাঁদছিল।
ওসি আরও জানান, শিক্ষক সেন্টু অন্য কোনো শিক্ষার্থীর সাথে একই ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা সে বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে।