মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ জানান, গত পাঁচ দিনে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় বিদেশফেরত ১৬৯ জন ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ না থাকলেও বিদেশফেরত হওয়ার কারণে তাদেরকে নিজ নিজ বাড়িতে স্বাস্থ্যকর্মীরা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
কারো শরীরে কোনো উপসর্গ পাওয়া গেলে তাদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দিতে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ১২ শয্যার নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা দুইটি করোনা আইসোলেশন ইউনিট চালু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও শহরের পাশে কেওরজানি এলাকায় জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশনের নতুন ভবনে কোয়ারেন্টাইন ইউনিট খোলা হয়েছে এবং সেখানেও ১০০ শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গত মঙ্গলবার দেশে আসা প্রবাসীদের শনাক্ত ও তাদেরকে তাদের নিজ বাড়িতে পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলা প্রশাসন উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মানুষদের সার্বিক সহযোগিতায় আগত প্রবাসীদের শনাক্ত করা হচ্ছে। তাদেরকে নিজ নিজ বাসায় বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার শনাক্ত হয় ৫৯ জন, বুধবার ২০ জন ও বৃহস্পতিবার ৩০ জন এবং শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত আরও ৬০ জন প্রবাসীকে শনাক্ত করা হয়েছে। গত পাঁচ দিনে জেলায় মোট ১৬৯ প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।