মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সরেজমিনে শহরের দুধবাজার এলাকায় গিয়ে নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে লবণ বিক্রি হচ্ছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে, বিক্রেতাদের দাবি লবণ বিক্রি হচ্ছে প্যাকেটের গায়ে থাকা নির্ধারিত মূল্যেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, তারা তাদের নিকট আত্মীয়দের কাছ থেকে ফোন পেয়ে ৪-৫ কেজি করে লবণ কিনছেন। বিক্রেতারা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি টাকা নিচ্ছেন বলে জানান তারা।
মাসুদুর রহমান নামের এক ক্রেতা জানান, প্রতিবেশিরা সকলেই পাঁচ থেকে ১০ কেজি করে লবণ কিনেছেন। দুই একদিনের মধ্যে প্রতি কেজি লবণের দাম ২০০ টাকা হয়ে যাবে এমন খবরে তিনি ১০ কেজি লবণ কিনে রাখছেন বলে জানান।
মানিকগঞ্জ শহরের দুধবাজার এলাকার মেসার্স আল মাসুদ জেনারেল স্টোরের পরিচালক মাসুদ খান জানান, দুপুরের পর থেকে হুট করে পাইকারী ও খুচরা লবণের ক্রেতা বেড়ে যায়। সারাদিনে কমপক্ষে ৫০ বস্তা লবণ খুচরা বিক্রয় করা হয়েছে। তার দোকানে থাকা চিকন লবণের সব প্যাকেট বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
মহিউদ্দিন স্টোরের রফিকুল ইসলাম জানান, দুপুর থেকে লবণ কেনার জন্য প্রচুর পরিমাণে ক্রেতা আসছে। দুপুর থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তিনি কমপক্ষে দুই হাজার কেজি লবণ বিক্রি করেছেন। প্যাকেটের গাঁয়ে দেয়া নির্ধারিত দামেই লবণ বিক্রি করেছেন বলে জানান তিনি।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস জানান, লবণের দাম বাড়ার বিষয়টি ঠিক নয়। এটি একটি গুজব। এ ব্যাপারে মাইকিং করে জনসাধারণকে সচেতন করা হচ্ছে।