ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাসেল শিকদার জানান, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আগুনে বস্তির একশ’র বেশি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
সকাল পৌনে ১০টার দিকে বস্তির একটি খুপড়ি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই তা আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। আশপাশের মানুষজনও এসময় দমকলকর্মীদের সাহায্য করে। প্রায় তিন ঘণ্টার প্রাণপণ প্রচেষ্টার পর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের পরিচালক (অপারেশন্স এন্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান জানান, আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ, গ্যাস লিকেজ ও গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবহারের কারণে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তবে তদন্তের পরে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আগুনের ঘটনাটি তদন্তের জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তাদেরকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লা বলেন, বস্তিতে প্রায় ২ হাজার বসতঘর ছিল এবং বেশিরভাগই আগুনে পুড়ে গেছে। ওই বস্তিতে মোট ২০ হাজার মানুষ বসবাত করত।