মিরপুর
মেধাভিত্তিক ভর্তির দাবিতে মিরপুর সড়ক অবরোধ
মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তির দাবিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর রেসিডেনসিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের মিরপুর সড়ক অবরোধ করেছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা গেট ভেঙে রাস্তায় নেমে এলে মিরপুর রোডের উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।
মোহাম্মদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান জানান, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে পোশাকশ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধে যানজট
বেলা ১১টা ১০ মিনিটে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে তাদের দাবির সমর্থনে অনলাইনে প্রচার চালান এবং নির্ধারিত সময়ে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে তিন দিন ধরে মহাসড়ক অবরোধ
২ ঘণ্টা আগে
মিরপুরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় আরও ৫ জন আটক
রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাঙচুরসহ সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও পাঁচজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। শনিবার রাতে কাফরুল ও ভাষানটেক থানাধীন কচুক্ষেত ও মিরপুর-১৪ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
গ্রেপ্তাররা হলেন- আলমগীর, রেশমা খাতুন, মাহফুজ মিয়া, আমিনুল ইসলাম ও কাজী রাসেল।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তারদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২ বিদেশি ফিশিং ট্রলার আটক করেছে নৌবাহিনী: আইএসপিআর
গত বৃহস্পতিবার ঢাকার মিরপুর-১৪ ও কচুক্ষেত এলাকায় সড়ক অবরোধ করে পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পোশাক শ্রমিকরা। এসময় তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দিকে পাথর ছুড়তে থাকে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তাদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়লে দুই পোশাক শ্রমিক আহত হন।
আরও পড়ুন: লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যায় সরাসরি জড়িত ৬ জন আটক: আইএসপিআর
২ সপ্তাহ আগে
মিরপুরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আটক ৩
ঢাকার মিরপুর-১৪ ও কচুক্ষেত এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে সংঘর্ষের সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছে সেনাসদস্যরা।
শুক্রবার(১ নভেম্বর) সেনাবাহিনীর একটি দল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় এবং ভাষানটেক থেকে তাদের আটক করে বলে জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আটকরা হলেন- রিফাত, হৃদয় ও ইয়াছিন।
পরে তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি পদক্ষেপের জন্য ভাষানটেক পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিরপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পোশাক শ্রমিকদের সংঘর্ষ, সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন
বিবৃতিতে আইএসপিআর জানিয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে সেনাবাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকার মিরপুর-১৪ ও কচুক্ষেত এলাকায় পোশাক শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পাথর নিক্ষেপ করে এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তাদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও বেশ কয়েকটি গুলি ছোড়ে, এতে দুই পোশাকশ্রমিক আহত হন।
আরও পড়ুন: মিরপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পোশাক শ্রমিকদের সংঘর্ষে দুই শ্রমিক গুলিবিদ্ধ
২ সপ্তাহ আগে
মিরপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন মিরপুরের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
ঢাকা-ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন কচুক্ষেত এলাকার ইউনিফর্ম নামে একটি কারখানার শ্রমিকরা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করেন। এর ফলে মিরপুর-১৪ থেকে কচুক্ষেত পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৯টার পর থেকে ওই গার্মেন্টসের কর্মীরা রাস্তার সামনে নেমে চলতি মাসের বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
আরও পড়ুন: ৩৯ পোশাক কারখানার জন্য সহজ শর্তে ৫৪ কোটি টাকা ঋণ চায় বিজিএমইএ
ভাষানটেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, ইউনিফর্ম নামে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা সকাল ৯টা ১৫মিনিটে ক্যান্টনমেন্ট-মিরপুর-১৪ এলাকার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। তারা চলতি মাসের বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
ওসি জানান, এ সময় মিরপুর-১৪ থেকে কচুক্ষেত পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। এরপরই আশেপাশে আরও ছয় থেকে সাতটি কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পরে কারখানার কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বকেয়া বেতন দেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা সাড়ে ১০টার দিকে অবরোধ তুলে নেন। পরে সড়কে স্বাভাবিকভাবে যান চলাচল শুরু হয়।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাকশিল্পে অসন্তোষ পতিত স্বৈরশাসকের সুবিধাভোগীদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: রিজভী
১ মাস আগে
মিরপুরেই শেষ টেস্ট খেলবেন সাকিব, ইঙ্গিত বিসিবি প্রধানের
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে শেষ টেস্ট ম্যাচে খেলতে পারেন সাকিব আল হাসান- এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ।
কানপুরে ভারতের বিপক্ষে শেষ টেস্টের আগে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব। একইসঙ্গে ঢাকায় নিজের শেষ ম্যাচ খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। তবে সাকিবের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে তার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়, যার ফলে তার প্রত্যাবর্তন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
সেসময় বিসিবি সভাপতি জানিয়েছিলেন, বোর্ড সাকিবের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দিতে পারবে না। এ ধরনের যেকোনো ব্যবস্থা সরকারকেই নিতে হবে।
আরও পড়ুন: রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশকে হারাল ভারত
সাকিবের প্রত্যাবর্তন নিয়ে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয় যখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেন, অন্য খেলোয়াড়দের মতো সাকিবও একই ধরনের নিরাপত্তা পাবেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, জনগণের মধ্যে ক্ষোভ থাকলে, জোরদার নিরাপত্তা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এর উদাহরণ হিসেবে তিনি গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা উল্লেখ করেন।
তবে আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপলক্ষে আরব আমিরাত সফরকালে ক্রীড়া উপদেষ্টা বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাকিবের অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে তার দেশের মাটিতে অবসর নেওয়ার ইচ্ছার প্রতি সমর্থন জানালে সাকিবের প্রত্যাবর্তনের আশা জোরালো হয়।
সোমবার ফারুক আহমেদ জানান, তিনি সাকিবের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এবং সাকিবের শেষ টেস্টে দেশের দর্শকদের সামনে খেলার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
বিসিবি সহকর্মীদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, ‘শেষ টেস্ট খেলতে সাকিবের দেশে ফেরার সম্ভাবনা প্রবল। বোর্ড সভাপতি হিসেবে আমার ক্ষমতা এখানে সীমিত। সাকিবের বিষয়টি চূড়ান্তভাবে সরকারের ওপর নির্ভর করে, যার মধ্যে উপদেষ্টারা আছেন এবং প্রধান উপদেষ্টা আছেন, তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।’
বিসিবি সভাপতি আশ্বস্ত করেন যে বোর্ড স্টেডিয়াম এলাকার মধ্যে সাকিবের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে, তবে স্টেডিয়ামের বাইরে এই নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট করে দেন।
অবসর ঘোষণার সময় সাকিব বাংলাদেশে থাকাকালীন এবং দেশত্যাগের সময় নিরাপত্তার আশ্বাস চেয়েছিলেন। দেশ ছাড়ার সময় তিনি বাধার সম্মুখীন হতে পারেন বলে তার আশঙ্কা প্রকাশ পেয়েছিল।
জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় তার নাম জড়িত থাকার কারণেই এই আশঙ্কা। ২০২৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সাকিব। তৎকালীন সরকারের অধীনে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের ক্ষেত্র না থাকার অভিযোগ তুলে বিরোধী দলগুলো এই নির্বাচন বর্জন করেছিল।
আরও পড়ুন: ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১২৭ রানে গুটিয়ে গেল টাইগাররা
১ মাস আগে
মিরপুরে হত্যা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৪৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিরপুরে দুজনকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরুদ্ধে আরও দুইটি মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান খুনের পৃথক দুটি অভিযোগ এজাহার হিসেবে রেকর্ড করতে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
এই দুটিসহ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৭টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি খুনের মামলা এবং একটি অপহরণ মামলা।
গত ৪ আগস্ট দুপুরে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে নবম শ্রেণির ছাত্র লিটন হাসানকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৪৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের বড় ভাই মো. মিলন।
আরও পড়ুন: রংপুরে শিক্ষার্থী হত্যা: শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা
বাদীর আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর বলেন, ‘৪ আগস্ট মিরপুর গোলচত্বরে আন্দোলনের সময় তাকে গুলি করা হয়। আগারগাঁও নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগষ্ট মারা যায় লিটন।’
মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান (নিখিল), ইলিয়াস মোল্লা, কামাল আহমেদ মজুমদার, আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিআইজি হারুন-অর-রশীদ, অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব এস এম মান্নান (কচি) সহ আরও অনেকে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, দেশে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলাকালে হাসান ৪ আগস্ট মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। দুপুর ২টার দিকে উল্লেখিত আসামিদের নির্দেশে অন্যান্য আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ২০০/৩০০ জন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি করে।
অন্যদিক মিরপুরের ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি আবদুল্লাহ কবিরকে হত্যার অভিযোগের শেখ হাসিনাসহ ৬৭ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী আফসানা আক্তার।
মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ৪ আগস্ট দুপুরে মিরপুর ১০ গোলচত্বরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করছিলেন বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ কবির। শেখ হাসিনার নির্দেশে পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচার গুলি চালায়। এতে ১০ নম্বর গোলচত্বরের কাছে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে অবস্থান করা আবদুল্লাহ কবিরের বুকে গুলি লাগে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, কামাল আহমেদ মজুমদার, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদসহ ১০৮ জনের নামে মামলা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’য় ইউরোপিয়ান আ. লীগের প্রতিবাদ
২ মাস আগে
কুষ্টিয়ায় বাউলের আস্তানায় ভাঙচুর
কুষ্টিয়ার মিরপুরে নিশান আলী নামে এক বাউলের আস্তানায় ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার দিবাগত রাতের দিকে কোনো একসময় বাউলের আস্তানায় ভাঙচুর চালায় তারা।
বাউল নিশান আলী বাড়ি মিরপুর উপজেলার আহমদপুর গ্রামে।
আরও পড়ুন: ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
স্থানীয়রা জানায়, গত ৬ তারিখ নিশান ও তার চাচাতো ভাইয়েরা মিলে রোহেল শেখ নামে এক রঙ মিস্ত্রিকে মারধর করেন। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নিশানও আসামি। তার জের ধরেও ভাঙচুর চালানো হতে পারে।
নিশান আলী বলেন, কেন আমার ধামে ভাঙচুর হলো আমি জানি না।
রোহেলের সঙ্গে দ্বন্দ্বের বিষয়ে এই বাউল বলেন, আমার চাচাতো ভাইদের সঙ্গে পাওনা টাকা নিয়ে রোহেলের দ্বন্দ্ব ছিল। তারা টাকা উদ্ধার করতে গেলে সেখানে মারামারির ঘটনা ঘটে। এখন চাচাতো ভাইদের সমস্যা আমার উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবদুল খালেক ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, কে বা কারা, কেন এটা ভাঙলো তা খতিয়ে দেখছি।
হামলার সত্যতা পেলে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান কুষ্টিয়ার মিরপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার।
তিনি আরও বলেন, গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) প্রকল্পের ক্যানাল পাড়ে অবস্থিত ধামটি জনপদ থেকে অনেক দূরে হওয়ায় এলাকাবাসীও কিছু জানাতে পারেননি।
তবে সবার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই ধামে সন্ধ্যার পর গানের আসর বসাতেন বাউলরা।
আরও পড়ুন: দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
৫ মাস আগে
মিরপুরের ঝিলপাড় বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
ঢাকার মিরপুর-১২ নম্বরের ঝিলপাড় বস্তির আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা ৫৭ মিনিটে ঝিলপাড় বস্তিতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের (এফএসসিডি) কর্তব্যরত অফিসার লিমা খানম।
এফএসসিডির কর্তব্যরত অফিসার রাশেদ বিন খালেদ জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: মিরপুরের ঝিলপাড় বস্তিতে আগুন
তিনি বলেন, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের একটি দলও ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দেয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ফোম কারখানায় আগুনে ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি
৮ মাস আগে
মিরপুরের ঝিলপাড় বস্তিতে আগুন
ঢাকার মিরপুর-১২ এর ঝিলপাড় বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। সোমবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এই অগ্নিকাণ্ড হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স (এফএসসিডি) সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, দুপুর ১২টা ৫৭ মিনিটে বস্তির একটি ঝুপড়ি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে চারটি অগ্নিনির্বাপক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। পরে আরও চারটি ইউনিট তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।
আগুন লাগার কারণ এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি এবং দুপুর দেড়টা পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ফোম কারখানায় আগুনে ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি
আন্দোলন জমাতে আগুন লাগাতে পারে বিএনপি: আইনমন্ত্রী
৮ মাস আগে
মিরপুরে বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান, ২ জনের কারাদণ্ড
রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে দুইজনকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিএ মিরপুর ও ঢাকা মেট্রো সার্কেল-১ অফিসে দালালদের দ্বারা গ্রাহক হয়রানি ও দালালদের দৌরাত্ম্যের ক্রমবর্ধমান অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুদক এ অভিযান পরিচালনা করে।
সহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার কর্মকারের নেতৃত্বে এবং সহকারী পরিচালক আল-আমিন, মো. জাকিউল আলম ও মো. মেহেদী মুসা জেবিনের সমন্বয়ে চার সদস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এই অভিযান পরিচালনা করে।
গোপন অভিযানের সময় দলটি সাধারণ গ্রাহক সেজে বিআরটিএ কার্যালয়ে দালালদের উপস্থিতি উদঘাটন করে। এরই ধারাবাহিকতায় দুদক দল একজন দালাল, দায়িত্বরত দুই আনসার সদস্য এবং বিআরটিএ-র সঙ্গে যুক্ত একজন সিএনএস কর্মীকে আটক করে।
আরও পড়ুন: চসিক কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
অধিকতর যাচাই-বাছাই করে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সন্দেহভাজনদের মোবাইল ফোনে সংরক্ষিত বিভিন্ন সেবা গ্রহীতার সঙ্গে অনিয়মিত আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়।
আটকদের পরিচালক (প্রকৌশল) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র কাছে হাজির করা হলে দালাল ও সিএনএস কর্মীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাৎক্ষণিকভাবে দুই মাসের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে জড়িত দুই আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়।
বিআরটিএ অফিসে অধিকতর গ্রাহকবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট প্রধান মিঠুর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে দুদক
৯ মাস আগে