বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত রাত ১২টার দিকে ঝিলেঘাট নামক স্থান থেকে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।
নিহত আদনান সামি বাবু ওই গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর হেসেনের ছেলে এবং স্থানীয় কওমিয়া কারিনিয়া মাদরাসার ছাত্র ছিল।
শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানায়, বৃহস্পতিবার এশার নামাজ পড়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে মসজিদে যাওয়ার পর থেকে আদনান সামি বাবু নিখোঁজ হয়। পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। পরে তার খোঁজে এলাকায় মাইকিং করা হয়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাবুদের বাড়ির ২০০ গজ দূরে ঝুরঝুরে খালের পাড়ে ঝিলেঘাট নামক স্থানে নতুন মাটি কাটা দেখতে পায় গ্রামবাসী। বিষয়টি তাদের সন্দেহ হলে সেখানে দুই ফুট মাটি খুঁড়ে বাবুর লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়।
স্থানীয়রা জানায়, বাবুর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ও ঘাড় ভেঙে দেয়া হয়েছে। তার মুখের ভেতর থেকে গলা পর্যন্ত গাছের ডাল ঢুকানো ছিল। নির্মম নির্যাতন ও আঘাতে মাথার মগজও বের হয়ে গেছে।
খবর পেয়ে রূপসা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি শিশুটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী তথ্য জানানো যাবে।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা জাকির হোসেন বলেন, ওই শিশুকে হত্যার পর মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই এলাকার আশপাশের পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।