মঙ্গলবার দুপুরে তিনি নগর ভবনে মেয়র আরিফুল হকের সাথে সাক্ষাত করেন এবং নগরীর বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে তার কাছ থেকে অবহিত হন।
মেয়র জানান, দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করায় তিনি ছড়া ও নালা উদ্ধারের মাধ্যমে নগরীকে শতভাগ জলাবদ্ধতামুক্ত করতে পারবেন। নগরীকে যানজটমুক্ত করারও প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানান আরিফ।
সিলেটকে একটি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অনুযায়ী নগরীর উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে।
আরিফুল হক জানান, নগরবাসীকে সার্বিক সেবা দিতে নগর এক্সপ্রেস নামের বাস সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। নগরীর শিক্ষার উন্নয়নেও পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, সিলেটে বিভিন্ন ধর্মের লোকজনের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিদ্যমান।
বৃটিশ হাইকমিশনারের প্রশ্নের জবাবে আরিফুল হক বলেন, সিলেটে মুসলিম সম্প্রদায় ছাড়া সিলেটে শতকরা ৩০ ভাগ অন্য ধর্মাবলম্বী। তাদের মধ্যে হিন্দু-খ্রিস্টান ছাড়াও আদিবাসীরা রয়েছেন।
সরকারি দলের লোকজনের কাছ থেকে কি ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছেন এ প্রশ্নের জবাবে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সিলেট সিটি করপোরেশনের উন্নয়নের ব্যাপারে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনও তাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করে চলেছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিলেটের উন্নয়ন করতে চাই।’
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট নগরীর মাস্টার প্ল্যানসহ অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বৃটিশ সরকারের টেকনিক্যাল সহযোগিতা কামনা করেন। জবাবে বৃটিশ হাইকমিশনার বিষয়টি ভেবে দেখবেন বলে তাকে আশ্বস্ত করেন।