কোনো নিবন্ধন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে রোগী দেখে আসছিলেন তিনি।
শার্শা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, মাহফুজ হোসেন বিএমঅ্যান্ডডিসি রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে আটক করার পর কাগজপত্র দেখানোর শর্তে রাত ১১টায় ছেড়ে দেয়া হয়। পরে শনিবার দুপুরে কাগজপত্র ঢাকা থেকে যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, তিনি ভারতের সুরাবালা মেডিকেল কলেজ থেকে পাঁচ বছর মেয়াদি এমবিবিএস কোর্স করেছেন। কিন্তু তার কোনো উপযুক্ত প্রমাণ তিনি দেখাতে পারেননি। মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ অনুযায়ী একজন চিকিৎসক নিবন্ধন ছাড়া অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা করতে পারবেন না।
নিবন্ধন ছাড়া মেডিসিন, হৃদরোগ, নবজাতক ও শিশু-কিশোর রোগ অভিজ্ঞ হিসেবে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা করায় মাহফুজ হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং বিএমঅ্যান্ডডিসির নিবন্ধনের পূর্বে চিকিৎসা সংক্রান্ত সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার অঙ্গীকারনামা নেয়া হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের বাসিন্দা এসএম মাহফুজ হোসেন ঝিনাইদহে প্রথমে একটি এনজিওতে চাকরি করার সময় টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হওয়ায় বাড়ি চলে আসেন। পরে ২০০৭ সালে নাভারণে এসে সেবা ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রামের কাজ করতেন। এখানে তিনি ডাক্তার পরিচয়ে রিপোর্ট দিতেন। সেখান থেকেই এক সময় তিনি হয়ে ওঠেন এমবিবিএস ডাক্তার।