আহত সুজয় চাকমা (২৩) উপজেলার লংগদু সদর ইউনিয়নের দোজরপাড়া এলাকার রাঙ্গাধন চাকমার ছেলে।
লংগদু উপজেলা সদরে জেএসএস কার্যালয়ে (বর্তমান সংস্কারের দখলে) পাশে গোডাউন কোয়ার্টারে মঙ্গবার মধ্যরাত দেড়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
সুজয় চাকমাকে প্রথমে লংগদু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সুজয় চাকমা জেএসএস সংস্কারের থানা কমিটির একজন সদস্য বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এ ঘটনায় উপজেলা সদরে সাধারণ পাহাড়িরা চাপা আতংকিত হয়ে পড়ে।
বুধবার ভোর রাতে লংগদু জোনের সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
জনসংহতি সমিতি (লারমা) সংস্কার দলের লংগদু উপজেলা শাখার সভাপতি অলঙ্গ চাকমা দাবি করেন, ‘মধ্যরাতে জেএসএস (সন্তু) গ্রুপ ও ইউপিডিএফ গ্রুপের লোকজন যোগসাজসে অস্ত্র নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমরা তখন ঘুমাচ্ছিলাম। আমাদের এক সদস্যকে গুলি করে এবং আমাকে তালা দিয়ে বাইরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরানোর চেষ্টা করে। পরে তারা পালিয়ে যায়।’
তবে জেএসএস (সন্তু) দলের লংগদু উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, তারা নিজেরাই নাটক সাজিয়ে আমাদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।
লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মোহাম্মদ নুর বলেন, গতকাল মধ্যরাতে জেএসএস সংস্কারের এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছে এবং তাকে চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি নেয়া হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে এনিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দায়ের করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।