লাইন সংস্কার কাজে নিয়োজিত প্রকৌশলীর গাফলতির কারণে তেলবাহী ট্রেনটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযুক্ত সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শহিদুল ইসলাম জানান, রেল লাইন সংস্কারের সময় পুরাতন স্লিপার পরিবর্তন হয়। কিন্তু যারা সংস্কার কাজ করছেন তারা স্লিপারের সাথে লাইন আটকানো কয়েকটি পিন (ডগস্পাইক) খুলে রেখেছিল। পর পাথর ফেলার কারণে সেটি ঢেকে গেলে সবার চোখ এড়িয়ে যায়। ফলে পরে ট্রেন আসার সময় লাইন সরে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ ও গাফিলতি অনুসন্ধানে বিভাগীয় ট্রান্সপোর্ট কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উলেখ্য, বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সারদা স্টেশন থেকে এক কিলোমিটার রাজশাহীর দিকে এসে তেলবাহী একটি ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়। পাবনার ঈশ্বরদী জংশন থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরের দিকে যাচ্ছিল। এতে করে প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে রাজশাহীর সাথে সকল রুটের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।