মানিকগঞ্জে এক সমাবেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি, বল্লার চাকে হাত দিয়েছি রাজাকার-আলবদরের তালিকা প্রকাশ করে। এখন বিভ্রান্তি করে কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে সেদিকে সকলের নজর দিতে হবে।’
প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকাশ হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত ২৫-৩০ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন হয়তো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রক্ষিত কাগজপত্র ম্যানিপুলেট (কারসাজি) করে থাকতে পারে, সেখানে কারচুপি করে কিছু কথা লিখে যেতে পারে। যেটা আমরা কল্পনাও করিনি। সে কারণে আমাদের ভুল হয়ে গেছে, তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।’
রাজাকারদের তালিকায় থাকা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নামগুলো প্রত্যাহার করে নেয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘পরবর্তীতে জেলা ও উপজেলায় রাজাকারদের সম্পূরক যে তালিকা করা হবে তা পরিপূর্ণভাবে যাচাই-বাছাই করে করা হবে। যাতে কোনো মুক্তিযোদ্ধার নাম ভুলেও প্রকাশ না পায়।’
বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের প্রতিটি জেলায় অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করে তাদের ১৪ হাজার বাড়ি দেয়া হবে।’
সমাবেশে যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার তোবারক হোসেন লুডুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের যুগ্মসচিব আসাদুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মহীউদদীন, পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম, বিজয়মেলা কমিটির সদস্য সচিব আবদুল মজিদ ফটোসহ জেলার সাত উপজেলার সহস্রাধিক মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।