বৃহস্পতিবার বিকালে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা বাজারে ১ কোটি ৫৬ লাখ ১৮ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত উপজেলা মুক্তিযুযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় যে ভুল-ত্রুটি হয়েছে, একজন মন্ত্রী হিসেবে তার দায়-দায়িত্ব আমারই। আগামীতে যাতে রাজাকারের প্রকৃত ও সঠিক তালিকা উঠে আসে সেজন্য উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠনের চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদু, পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনিরুল শহীদ, পাঁচবিবি পৌরসভারর মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।
পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি পর্যালোচনা করে প্রথম ধাপে গত ১৫ ডিসেম্বর ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
যেখানে অনেক গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার নাম আসায় দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর নামও এসেছে রাজাকারের তালিকায়।
রাজাকারের তালিকায় অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের নাম আসায় সমালোচনার মুখে ১৮ ডিসেম্বর ওই তালিকা স্থগিত করে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তালিকাটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকেও সরিয়ে ফেলা হয়।